এলোমেলো ভাবনা—৪
ইমেল নাঈম
যুদ্ধক্ষেত্র... হালকা বিশ্রাম... শংশয়...।
আমরা কী হেরেই যাবো এ’ যুদ্ধে—
প্রশ্নবাণ! উত্তর নেই— পরাজিত মুখ,
স্বপ্ন ভেঙেছে পশ্চিমের বাঁধ ভাঙায়।
আলোহীন পৃথিবী, অদৃশ্য শত্রুপাঠ
বারবার পালটায় তার খোলস,
অনুমান মিথ্যে হয়, বাস্তব কড়া নাড়ে,
সময় দূরত্ব শেখার—
পালিয়ে যাওয়ার—
জেলজীবনের ধারাপাত শেখা শুরু।
একটুও সামনে দিকে নয়, ফিরে যাও
ঘরে, প্রার্থনায় রাখো হাত, তৃতীয় বিশ্বে
নেই প্রযুক্তির ঘনঘটা তাই ঈশ্বরেই
রাখি বিশ্বাস, প্রথম বিশ্ব নাস্তানাবুদ—
রাষ্ট্রনেতাদের চোখেমুখে অসহায়ত্ব
চেয়ে আছেন আকাশের দিকে,
দৈব কিছু পাবার আশায়—
প্রতিটি ডাক্তার যেন একেকজন
হারকিউলিস, মাথায় ধরে রাখছে
গোটা আসমান, ঢেবে যাচ্ছে পা
মাটিতে, প্রথমে হাটু, পরে কোমড়,
এভাবেই লুটিয়ে যাচ্ছে প্রাণ—
প্রকৃতিও ফিরিয়ে দিচ্ছে তার হিসাব
পাইপাই করে বুঝিয়ে দিচ্ছে সব
অজস্র মৃতদেহের সৎকারে,
একদিন আঁকা হবে বিজয়
সেদিন ভীতু মানুষরা রাস্তায় নামবে
নাচবে, গাইবে, উল্লাস করবে, বিজয়ী
যোদ্ধারাও রেখে দিবে তাদের অস্ত্র
হায় সুদিন... কতদেরি তোমাকে দেখার...
(গ্রিক মিথে আছে, গ্রিকরা বিশ্বাস করতো আকাশকে ধরে রেখেছে যে পর্বত, তার নাম অলিম্পাস, সেই পর্বতের চূড়ায় আকাশকে কাঁধে নিয়ে রাখতেন দেবতা থেটিস, একবার এক কাজে যাওয়ায় হারকিউলিসকে উনি স্মরণ করেন, হারকিউলিস আকাশকে মাথায় তুলে রাখেন, এতে ওর পা হাটু পর্যন্ত ঢেবে যায়।)