Monday 26 November 2018

প্রান্তিক দুঃখবোধ

প্রান্তিক দুঃখবোধ
ইমেল নাঈম


পরম্পরা। নিজেকে নিয়ে লিপিবদ্ধ কবিতাগুলো বিষণ্ণতার বিজ্ঞাপন দেয়। কত সুন্দর, সুশৃঙ্খল অথচ বাস্তব। দূর থেকে দেখলে সাজানো গোছানো। কাছে গেলে মেলে না কিছু। হিসাবের খাতায় কিছু মলিন দাগ, রঙ পেন্সিল অব্যর্থ হয়। স্কেচে ভরে ওঠে প্রাত্যহিক জীবনের হিস্যা। লুকোচুরি খেলে দূরে পালিয়ে যায়। নিজেকে খুঁজে দেখছি অন্তঃ লীন অনুভবে। বিবর্ণ ভালোবাসা ঝরে যায় দূরের ক্যানভাসে।

আঁকছি নিজেকে। প্রতিবিম্ব ঝুলছে দেয়ালে। পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি আমাকে দেখে অবজ্ঞার হাসি হাসে। বড্ড তির্যক সে হাসি। নির্মাণ করছে অবজ্ঞার অট্টালিকা। মোটের উপরে ঝুলতে থাকে নির্বাক জীবন। মর্মান্তিক জীবনে কিছু ছবি কথা বলে। টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাউ পিছন পথে। মুহূর্ত রঙিন হয়। অথচ প্রাণহীন রঙিন। ফেরি করে চলেছি ব্যক্তিগত দুঃখবোধ। মিছিল নয়, জনসমাবেশ নয়, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য নয় পরিষ্কার। তবু ছুটে চলেছি পিছুপিছু একটা মোহের টানে।

ছুটে চলা মানুষ, কিছু চিহ্ন রেখে দাও আঙুলে। ভুলের প্রাচীর টেনে নিয়ে যায় আমাকে দূরে। কাছের মানুষগুলো গান গায়। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাই। দুর্নিবার আকর্ষণে আমরা ছুটে যাই। মলিন মুখে ক্ষতচিহ্ন আঁকি। রক্তিম সিংহাসনে আঁকা হয় দুঃখবোধ। চুপিসারে পালিয়ে যাচ্ছে, কেবল ছুঁতে চাইছি নিজেকে।

প্রান্তিক জীবনের গল্প মলিন হয়। অনিঃশেষ জীবন, ছুটে চলেছি ভ্রান্ত পথে। বিভ্রান্ত সময়ের গ্যাঁড়াকলে নিজেকে ব্যস্ত রাখি সময়ের দোলাচলে। অনির্বাণ সময়ের সাক্ষী, পিছুটানে মুহূর্তগুলো মনের ক্যানভাসে আঁকা তৈলচিত্রের মতো জ্বলজ্বল করে। ধ্রুপদী হাহাকার বাড়িয়ে দেয় মনের ক্ষুধা। উড়িয়ে চলি নিজের ভিতরের হতাশা। সৌখিন অবসাদে ডুবে গেলে জীবনের মানে বদলে যায়। তাসের রঙয়ের মতো হাতে হাতে ঘুরে। ছুঁড়ে দিলেই বদলে যায় প্রেম, ভালোবাসার মানে...

No comments:

Post a Comment