Friday 29 April 2016

মেসোপটেমিয়া

সভ্যতার বিবর্তনে অনেক অন্ধ বিশ্বাস টিকে থাকে
বিজ্ঞান, সভ্যতা, তাকে ছিঁড়তে পারে না এতোটুকু
টলতে টলতে মিশে যায় ধুলোর সাথে
সেখানেও লুকানো ভ্রান্ত বিশ্বাসের জাল
স্বর্গ, নরক, স্থল অথবা জলভাগ নিয়ে কল্পকথা।

শুনেছি সেখানে পৃথিবী ফাঁপা, গোলাকার চাকতি
চারপাশ জুড়ে শুধু জলরাশি, আসমানজুড়ে স্বর্গ
মাটির নিচে লুকিয়ে নরক... ঈশ্বরদের সন্তুষ্টি
লাভে জন্ম নেয় শ্রেণিবিভাগ। অক্ষরের জন্ম
খুলে দেয় নতুন দরজা, সময়ের হাতেখড়ি এখানে।

মুদ্রার বিনিময়ে শিখে নিই ভালবাসার সব মন্ত্র
সিমেটিক হরফে অনেক চিঠি প্রাপকহীন থাকে
রেখে দিই মাটির পাত্রে, লোকচক্ষুর আড়ালে
জন্মানো প্রেম আড়াল ভেঙে আসে না বাহিরে।

পুয়াবি - আপনাকে নিয়ে লিখা আমার চিঠিগুলো
রেখেছি যত্ন করে, যোগ্যতার নিরিখে অযোগ্য
তাই সামলে উঠি, চলার পথে দৃষ্টি থাকে নিম্নমুখী
চোখ কে নিয়ে আমার ভয় হয় খুব, সে যদি
বলে দেয় আপনাকে ভালবাসার মিষ্টি স্পন্দন

এতকিছুর বিনিময়ে একজন প্রেমিকের জন্য কী
শাস্তি বরাদ্দ করে রেখেছে আপনার আদালত!

প্রকাশকালঃ ১৬ বৈশাখ ১৪২৩

Thursday 21 April 2016

পাখিজন্ম

ইমেল নাঈম

একটা নাতিদীর্ঘ ঘুম একটা ব্যর্থ শীতকালকে ডেকে যায়
পত্রিকার পাতায় এরচেয়ে বেশি কিছু ছাপা হয় না।
গত জন্মে পাখির নামে আমার নাম ছিলো, ওড়ার
ক্ষমতাও ছিলো। ছিলো ঠোঁটের আদরে গড়া ছোট্ট নীড়।
ক্ষয়ে পড়া একগুচ্ছ শাদা পালকও লেগেছিল নিচে
শুভ্র মানচিত্রে লিখা কোনো দেশ ছিলো না আমার।

কাঁটাতারে লিখা শুভ্র চিহ্নের কোনোরূপ বসবাস নেই।
রক্তাক্ত চিহ্নের পরে ক্ষয়ক্ষতি রয়ে যায়, বুনট হিসেবে
প্রান্তিক চাষাভুষো। কীইবা দিতে পারে নগর সভ্যতা
কিছু মিথ্যে শব্দের রেশ টেনে বলতে শেখা বুলি
সেখানেও তো সমাপ্তি টানি নি, গ্লানি মুছে দাঁড়ালে
নিজের বলে কোনো কিছুই থাকে না। বেদনা পুষছি
আপন মহিমায়। রক্তক্ষরণ রেখে দ্যায় আমিত্ববোধ।

সেই জন্মের কথা আমার জানা নেই, ইতিহাসের
জন্ম নিয়ে পাতায় লিখা অনেক শব্দই আমার কাছে
মিথের সমতুল্য মনে হয়। শুনেছি জন্মকালে ছিলো বর্ষা।
এরপর কোনো কিছুই আর তেমনটা নাড়া দেয় নি
পাখিদের সংবিধানে বেশি শব্দ লিখা নেই, চাহিদা
মেটানোর তাড়া নেই। হুঁশ হুঁশ করে তাড়িয়ে দেয়ার
লোকও নেই। বৃক্ষের সাথে ঘটে যাওয়া প্রণয় নিয়েও
কানাঘুষা করার সময় নেই কারো। গত জন্ম নিয়ে
অতীত নিয়ে আমি এরচেয়ে বেশি কিছু জানি না,
এই জন্মে আরো ঘোলাটে কিছু শব্দ'র জন্মভূমি হয়।

এর বেশি কিছুই হয় নি...আমার কোনো অতীত নেই
বর্তমানও নেই, ভবিষ্যৎ নিয়েও কোনো রাশিফল নেই
আমার একজোড়া পালক ছিলো, আর ছিলো স্বাধীনতা।

০৮০১১৪২৩

Wednesday 13 April 2016

চিঠি

প্রিয়তা

তোমার ঠিকানা জানি, শুধু অধিকার নেই বলেই আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিলাম। রুদ্রের মতো তোমার কোনো আকুতি ছিলো না। আকাশের ঠিকানায় চিঠি দেয়ার। তবে আমি ভালো থাকি সে তুমি বিচ্ছেদের দিনেও শুনিয়েছিলে। সেই থেকে আমি ভালো আছি। ভালো থাকতেই হয়। এই সমাজে খারাপ আছি বলাটা যে পাপ তাও আবার প্রেমের জন্য। আসলে কিছু ব্যথা বুকে পুষে বড় করেছি। আর সেগুলো এখন বিশালাকৃতির ফলন দিচ্ছে।

রুদ্রের কবিতার মতোই এক মুঠ অন্ধকার নিয়ে বসে আছি। অন্ধকারই তো। প্রেমহীন বেঁচে থাকাটাও অন্ধকার নিয়ে বাঁচা। শূন্যতা নিয়ে পেরিয়ে যাওয়া একেকটি মাইলফলক। আমাদের স্বপ্ন দেখাটা অমূলক ছিলো না। কেউ কাউকে ছেড়ে যাবো তেমন ভাবি নি। বিচ্ছেদের মন্ত্র পড়ি নি কেউই। তবুও ছুটে চলার নিরিখে ছুটে চলি। মাঝেমাঝে ভাবি আমাদের দেখা হয়েছিলো ভুল সময়ে। নইলে এতোটা কাছে এসে কিভাবে হারিয়ে গেলে অবেলায়।

অংকে আমি খুবই কাঁচা। কাঁচা বলেই সহজেই তৃপ্ত হয়ে যেতাম। আমার এই অল্পতুষ্টি সত্যি আমাকে অবাক করে। তোমার অনেক কিছুই আমি বুঝতে পারি না এখন আর তখন আমি এই জিনিসগুলো বুঝতেই চাইতাম না।
ব্রেইলে লিখা অনেক প্রেম আমি পড়তে পারি নি
আঙ্গুলের ইশারা অজানা বলে তোমায় চিনি নি।
তোমাকে চিনি নি। যে দিন এসেছিলে আমার জীবনে সেদিন আর যেদিন চলে গেলে সেদিনও আমি তোমাকে চিনতে পারি নি। মাঝে কয়েকদিন কেটে গেলো তোমাকে আবিষ্কারের অজানা মোহে। আগেই বলেছিলাম অংকে আমি কাঁচা আর তোমার শরীর জুড়ে যেই কলা আর অনুর্বর মস্তিষ্ক কিছুতেই আবিষ্কার করতে পারে নি।

প্রিয়তা তুমি আকাশ হও নি। আসলে আকাশ তোমার জন্য নয়। জীবনের টানে তুমি এখন আমার থেকে অনেক দূরে। অন্য কোনো মহাদেশে সুখের সংসার পেতেছো। আমার হাত ছেড়ে যার হাত ধরেছিলে তাকে তুমি কি দিয়ে বোঝালে। মানে সেও তো পায় নি তোমাকে তার মতো করে। নাকি সেও আমার মতো করে বলেছিলো সুখী হোক তোমার আগামী।

বরফ শীতল দেশে তোমার পহেলা বৈশাখ কেমন কাটে। তুমিহীন বৈশাখ আমার ভালোই কাটে। প্রথম বার কেমন জানি অসহায় লেগেছিলো। মনে হচ্ছিলো গতবার তুমি ছিলে। সন্ধ্যে নামলে রয়েলহাটে খেতে বসে বিশাল জনারণ্যে একা হতে আমরা ছাড়া আর কেইবা পারতো। এখন অবশ্য সমস্যা হয় না। মানিয়ে নিয়েছি। বিশ্ব ভালবাসা দিবস নিয়ে এখন আর কোনো উচ্ছ্বাস নেই। অন্য পাঁচ দশটা দিনের মতোই একটা দিন। অথচ এই দিনটা আমাদের জন্য কতো আনন্দের, কত প্ল্যানিং, কত হিসাব নিকাশের বিষয় ছিলো।

আমাদের নদী খুব ভালো লাগতো। আমার এখনো লাগে। আমাদের সম্পর্কের শুরু কিন্তু কর্ণফুলীর বুকে। সাম্পানে চড়তে চড়তে কখন যে ছুঁয়েছিলাম হাত কেউ জানে না। আমরা কেউ কখনো কাউকে বলি নি ভালবাসি। অথচ প্রেম, সে তো হয়ে যায়। আমার এখন মন খারাপ হলে কর্ণফুলীতে রেখে আসি সব দুঃখ। তোমার নদীটি এখন শুধুই আমার। আমার দুঃখ কষ্ট সবকিছুর একমাত্র ভাগীদার সে। তোমার যান্ত্রিক শহরে কি কোনো নদী আছে? নাকি সবকিছু ভুলে গিয়েছো ক্যারিয়ার নামক মিথ্যে মোহে।

প্রিয়তা, জানো এইবার চিঠি উৎসব হচ্ছে। সবাই সবার প্রিয় মানুষকে চিঠি দিচ্ছে। এরপর উড়িয়ে দিচ্ছে বেলুনে ভরে। আমিও তোমায় নিয়ে লেখা চিঠিটা উড়িয়ে দিবো। তোমার ঠিকানা আকাশ জানে। সেই হয়তো পৌছে দিবে তোমার ঘরে। তুমি জানবে না আমার চিঠির কথা। আবার আকাশ নিজেই রেখে দিতে পারে এই চিঠি। তারও তো আমার মতোই দুঃখ। বরং তোমার কোনো দুঃখ নেই। তুমি বুঝতে পারবে না কতটা পাহাড় ধ্বসে একটা প্রেমের চিঠি বিরহে রূপান্তর হয়। তুমি সুখে থাকো। এরপরো বলি সুখে থাকো।  সুখী হোক তোমার জীবন সংসার।

ইতি,
তোমার রোদ্দুর
১৩ এপ্রিল, ২০১৬
চট্টগ্রাম।

Saturday 9 April 2016

পাঠ

ইমেল নাঈম

সন্ন্যাসজীবন ডাকছে। একাকী পথ ডেকে চলে।
নদীর সাথে সখ্য পাততে বসে দীনতা ধার করি
প্রতিটি ঢেউ আমাকে শেখায়, আমিও শিখি
শিখতে বসে মনে হয় প্রকৃতির বিশালতার
কতটুকুই বা ধারণ করতে পারে এই জলধারা।

আমি ডাঙ্গার মানুষ। শহুরে পরিবেশে দূষিত
বায়ু জলে বাঁচা নিরক্ষর। পাঠ্যবইয়ের কঠিন
পাঠের ভিড়ে সবুজ ভোলা যুবক, ইট পাথরের
সভ্যতায় মনের রঙ বদলেছে ধূসর তামাটে বর্ণে।

বৃক্ষের কাছে রেখে দিই আমাদের অনেক পাঠ
সে আমাকে শেখালো মনের রঙ গাঢ় সবুজ
শহর গিলে খাচ্ছে আস্ত গ্রাম দশমিক আকারে
আমরা সভ্যতার নামে ধ্বংস করি হরিৎ বৃক্ষ
নদীও মরে যায় স্বার্থরক্ষারর নোংরা খেলায়

শহরের কৃত্রিম পরিবেশে বলি সবুজ বাঁচাও
আহাজারি করি, তোঁতাপাখির মতো লিপিবদ্ধ
নোট পড়ে নিজেকে প্রমাণ করি মহাজ্ঞানী

এর বাইরে আমরা ব্যস্ত সকল আয়োজনে
অপরিকল্পিত নগরায়নের পথে প্রকৃতি পাঠের
বিলাসিতায় ভাসিয়ে দিই সবুজের মাঝে।

Sunday 3 April 2016

আই পোয়েট

প্রিয়তা,

অনেক দিন পরে ডাক যোগে তোমার সান্নিধ্য এলো। কতদিন দেখা হয় না আমাদের। তোমাকে আমি অনুভব করি প্রতিদিনের মতো। আমাদের পরিচিত সব রাস্তাঘাট, মুঠো ফোনের ব্যস্ত সময়টুকু এখনো অবিনশ্বর, চোখের সামনে ভাসছে। পরিণতি সবসময় মনের মতো হয় না। বাস্তবতার সাথে অসম এক যুদ্ধে নিজেকে পরাজিত বীর মনে হয়। আর পরাজিত বলেই এই সফর আমার। মরুর দেশে। মধ্যপ্রাচ্যে। এই শহরটা প্রেম করতে জানে না। জানে না বলেই শুষ্ক বালুতে আটকে গেছে তাদের পথ ঘাট।

প্রিয়তা, কেমন আছো? প্রশ্ন টা অনেক পরেই করছি তোমাকে। মাঝের এই দূরত্বটুকু দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে অপরিসীম যন্ত্রণা। যন্ত্রণাকে আড়াল করে থাকি তোমার হাসিমুখ কল্পনায় এঁকে। সকাল ৬ টা থেকেই এখানের জীবন শুরু হয়। এরপর মরুভূমির মাঠ, তীব্র গরম, লূ হাওয়ার মাঝে একফোঁটা শান্তির জন্য খেজুর গাছের নিচে অলস পার করে যাই, পকেটের মানি ব্যাগে কোনো টাকা নেই, শুধু তোমার ছবি আছে বলেই আমি অনেক ধনী, একদম আরব শেখের মতো। জানি ও'প্রান্তে তুমিও এতোটা অস্থির পায়চারী করে সময় পার করো। আমাদের মুঠোফোনে থাকা অনেক বার্তা তোমাকে শান্তি দেয়। ভাবছি এই শীতে দেশে ফিরে আসবো। হয়তো আর কখনোই ফিরে আসবো না প্রাণহীন এই শহরে।

ভাবছো বাস্তবতার কথা। চিঠি পড়ে হাসবে, আর বলবে আবেগ জিনিসটা খুব খারাপ যা মানুষকে অন্ধ করে দিতে পারে। হয়তো চোখের কোণে জল ঠেকিয়ে বলবে আসা লাগবে না। তোমাকে একটা গল্প বলেছিলাম। ফ্রিজিয়ান শহরের দুই বুড়োবুড়ির গল্প। অভাব ছুঁয়ে ছিলো তাদের। মাথার উপরে ছাঁদ ছিলো না। ছাদ বলতে ছিলো নলখাগড়ায় ছাওনি। সেখানেই সেই বুড়ো দম্পতি বসবাস করেন। সেখানেই তারা বছরের পর বছর পার করে দিলো অভাব নিয়ে শুধু মাত্র প্রেম আর ভালবাসাকে সাথী করে। তুমি হয়তো বলবে পৌরাণিক কাহিনী, জীবন তো পুরাণ মেনে চলে না। প্রেম জিনিসটা জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম পর্যায়। তোমার আমার এই আবেগটুকু, তাকে কী করে ব্যাখ্যা করবে! সে তো নির্বাক অনেক আগেই। 

প্রিয়তা, দৈব জিনিসে একদম বিশ্বাস নেই আমার। আমি বিশ্বাস করি না, আমাদের প্রেমের কারণে এই শহরে সবচেয়ে সুন্দর কোনো প্রাসাদতুল্য বাড়ির মালিক হয়ে যাবো। এটা কিন্তু সত্য মৃত্যুর অনেক পরেও আমরা একে অপরকে ভালবেসে যাবো। কিন্তু আমাদের এই ভালবাসার স্মরণে কোনো গল্প কাহিনী রচিত হবে না ওভাবে। দরিদ্র পথিকের বেশে ঈশ্বরও নেমে আসবেন না মাটিতে। এসব কারণে হয়তো তুমি বলবে ওখানেই থেকে যেতে। দুবেলা ভাত আর একটু ভালো থাকার জন্য তুমিও বিসর্জন দিয়ে দিচ্ছো নিজের সবটা আনন্দ। 

আরো কিছু কথা জমে আছে এখানে বুকের ঠিক মাঝখানে। কবিতা কেমন আছে – এই শব্দটা জিজ্ঞেস করে আর বিব্রত করো না। লিখছি না, বলতে পারো আসছে না। এই প্রাণহীন শহর কোনো কবিতা পেতে পারে না। আর তুমিহীন স্বর্গ যেন নরক। সব কিছু থেকেও কি যেন নেই, শান্তির বুকে পুঁতে দেয়া অশান্তির বীজ। যেখানে টাকার পিছনে দৌড়চ্ছে দোপেয়ে যন্ত্র মানব। আর দৌড়তে দৌড়তে কখন যে হারিয়ে ফেলছে নিজের সত্ত্বা তাও জানে না। 

প্রিয়তা, আসলে অনেক কথাই বলার থাকে। লিখতে বসলেই সব কিছু গুলিয়ে ফেলি। আর সেই কারণেই অনেক কথাই তোমাকে জানানো হয় না। লিখা শেষ করার পর মনে হয় একথা সেকথা এখনো লিখা হয় নি। কতবার অর্ধেক লিখে কেটে দিয়েছি আর কতবার লিখা শেষ হবার পরে মনে হলো ওই কথা এখনো লিখা হয় নি। এই যে শেষ পর্যায়ে এসে মনে হলো তোমাকে দেয়া গত জন্মদিনে আমার দেয়া উপহারের কথা…কেমন আছে সেটি। খুব বড় হয়ে গেছে বুঝি। শোনো সামনের বার দেশে এলে কর্ণফুলী তে সাম্পান ভাসাবো। আর বেসুরো গলায় শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণবের প্রেমের গান গাইবো। তুমি অপেক্ষায় থেকো বন্ধু, শীত আসতে আর বেশি দিন বাকি নেই। ৩ থেকে ৪ মাসের মতো বাকি। 

আজ আর নয়। ভালো থেকো। দূরে বলেই কিন্তু তুমি দূরে নও। বুকের ঠিক এইখানটায় তুমি এখনো সদা হাস্যোজ্জ্বল ভাবে প্রাণিত করে চলেছো।

ইতি,

রোদ্দুর

জেদ্দা, সৌদি আরব
০৩ এপ্রিল ২০১৬।

Friday 1 April 2016

নিরাপদ

ইমেল নাঈম

কতটুকু নিরাপদ! কতটা নিরাপদে থাকলে হাসতে পারো?
রক্তের দাগ অদৃশ্যমান। ক্ষরণ সে তো উপলব্ধি করতে
পারে একমাত্র আমি, তৃতীয় পক্ষ আসতে পারে নি এখানে
আমি নেই, তুমিও নেই... অপরিচিত ক্রন্দন আছে লুকিয়ে
রাজনীতির মাখনের হিসাব আছে, ভোট পুজোর নিমিত্তে

দোষারোপ চলছে... চলুক...মৃত্যু মিছিলে আমার কেউ নেই
কে খেলো কত টাকা নাই বা জানলে, জেনে রেখো মরলে কিন্তু
লাখ পাঁচেক। আহতদের সামান্য কম, দু' লাখে চুকে যায়
সকল খেলা। এরমাঝে বিনোদন আছে, অনুভূতি জানতে
চাওয়া সাংবাদিকের দল - বড্ড আয়েশে টি.আর.পি বাড়ান

এর বাইরে আছে লুকানো ক্রিকেটীয় মাদকতার ব্যবস্থা
ধ্বসে পরা জমিন বোঝে তীব্র ব্যথা, পুরোটা জানে মৃত্যুস্তুপ

এতো ক্ষরণ বুকে নিয়ে নিরাপদ ভাবো, মৃত্যু সহজ যাত্রা
কারো কোনো দায় নেই, তদন্ত কমিটির কাজের ফলশূন্য
অপরাধীরা বেঁচে যাবেন আইন পুস্তকের ফাঁকফোকরে
গোল্ড ফিশ মস্তিষ্ক দুদিন পরে ভুলে যাবে সবকিছু, ব্যস্ত
সময় কাটবে সেলফি আড্ডা গানে। আজকের দিনের মতো
আমরা নিরাপদ, অথচ মৃত্যু সন্নিকটে আততায়ী বেশে...

নিরাপদ

ইমেল নাঈম

কতটুকু নিরাপদ। কতটা নিরাপদে থাকলে হাসতে পারো
রক্তের দাগ অদৃশ্যমান। ক্ষরণ সে তো উপলব্ধি করতে
পারে একমাত্র আমি, তৃতীয় পক্ষ আসতে পারে নি এখানে
আমি নেই, তুমিও নেই... অপরিচিত ক্রন্দন আছে লুকিয়ে
রাজনীতির মাখনের হিসাব আছে, ভোট পুজোর নিমিত্তে

দোষারোপ চলছে... চলুক...মৃত্যু মিছিলে আমার কেউ নেই
কে খেলো কত টাকা নাই বা জানলে, জেনে রেখো মরলে কিন্তু
লাখ পাঁচেক। আহতদের সামান্য কম, দু' লাখে চুকে যায়
সকল খেলা। এরমাঝে বিনোদন আছে, অনুভূতি জানতে
চাওয়া সাংবাদিকের দল - বড্ড আয়েশে টি.আর.পি বাড়ান

এর বাইরে আছে লুকানো ক্রিকেটীয় মাদকতার ব্যবস্থা
ধ্বসে পরা জমিন বোঝে তীব্র ব্যথা, পুরোটা জানে মৃত্যুস্তুপ

এতো ক্ষরণ বুকে নিয়ে নিরাপদ ভাবো, মৃত্যু সহজ যাত্রা
কারো কোনো দায় নেই, তদন্ত কমিটির কাজের
ফল শূন্য
অপরাধীরা বেঁচে যাবেন আইন পুস্তকের ফাঁকফোকরে
গোল্ড ফিশ মস্তিষ্ক দুদিন পরে ভুলে যাবে সবকিছু, ব্যস্ত
সময় কাটবে সেলফি আড্ডা গানে। আজকের দিনের মতো
আমরা নিরাপদ, অথচ মৃত্যু সন্নিকটে আততায়ী বেশে...