Friday 29 September 2017

প্রেমের ধুন

প্রেমের ধুন
ইমেল নাঈম

মন খারাপের দিনগুলো মুছে যায় বৃষ্টিতে। চারপাশে এতোটা জল, ঠাণ্ডাভাব... তার উপর পাশের ফ্ল্যাট থেকে বয়ে আসা নজরুল... মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতে থাকি "পদ্মার ঢেউ রে... পদ্ম নিয়ে যা যারে..."

কখনো দেখিনি তাকে। কণ্ঠস্বর শুনে অনুমান করি, ওপাশের মানুষটি অনেক সুন্দরী। নামটাও জানিনা এখনো। মাঝেমাঝে ইচ্ছে করে অনুরোধ করে বলি কবিগুরুর ওই গানটা শোনাতে... "আমার মন মানেনা..."

অবসর সময়টা বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকি। দূরের বিলাসবহুল অট্টালিকা। আকাশ দেখিনা। বাতাসটুকু আসেনা। গানটা মাঝেমাঝে শুনি, বেশিরভাগ সময় সেটাও শোনা হয়না। সুযোগ পেলে তোমাকে শোনাতে ইচ্ছে করে কবিতা... শুনেছি তুমি নাকি চোখে কাজল দাও। অবসর সময়ে ক্যানভাসে আঁকিবুঁকি খেলো। চারুকলা অনুষদে আমি কখনো যাইনি।

ছবির হাটে সিগারেট খেতে খেতে অচেনা মুখের চেনাজানা গান শুনেছি কত। সেখানে কেউ কেউ ছবি আঁকত। সেখানে কী তুমি ছিলে? এই ধরো ৩/৪ বছর আগের কথা বলছি। ওহ তুমি তো সেকেন্ড ইয়ার! শহর বদলে গিয়ে হয়েছে চট্টগ্রাম। তাহলে তোমাকে আমার দেখা হয়নি আজও। তবুও কেনো এতো আপন লাগে তোমাকে।

চেনাজানা মানুষের ভিড়ে কিছু অচেনা মানুষ এতো গভীরে ছাপ রাখে কী করে! জাদুকর নাকি হিপনোটাইজ করার প্রবল শক্তি। শুনেছি তুমি নাকি বের হও প্রতি বিকেলে। এরপর অভয়মিত্রঘাটে বসে কর্ণফুলীর সাথে কথা বলো। নির্বাক স্রোতে ভেসে ভেসে কবিতা শোনাও।

আমিও থাকি সেখানে। কর্ণফুলী আমাকে প্রেম শেখায়। আমার মনখারাপের দিনগুলো দিই তাকে। তোমার সাথে কী কথা হয় আমাকে নিয়ে? আমি যে কণ্ঠের প্রেমে পড়ি সে কথা কী বলেনি আজও! তোমার চুলের গভীরতায় ভেসে আসে অজস্র তিমির রাতের গল্প।

আমি পাঠ করি কবিতা, কল্পনায় ভাসো তুমি। ওদিকে চেনা কণ্ঠে কানে বাজছে কল্পনায় অনুরোধের গান "আমার মন মানেনা... "

প্রকাশকালঃ ১৪ আশ্বিন ১৪২৪

Thursday 28 September 2017

প্রলাপ - ২

প্রলাপ - ২
ইমেল নাঈম

পথ থেমে যায়। অনুভূতি হারিয়েছে গোপনে।
দিন ভিজেছে অসময়ের বৃষ্টিতে, ক্লান্তির শহরে
লিখছো উৎসব। চোরাবালিতে ডুবছে শরীর।
নষ্ট হবার গল্পগুলো মোনাটনাস ভঙ্গিতে লেখা,
হাতঘড়িতে বদলায় সময়, কার্নিশজুড়ে সন্ধ্যা।

ছুঁয়ে দেখার অপরাধে ঝরেছে টবের ফুল
প্লাস্টিকের স্টিক ফুলদানির শোভাবর্ধক যখন
তখন সারাদিন ধরে নীরবতাই আঁকতে হয়
ফুলের দিকে তাকিয়ে লিখি নিষ্প্রাণ কবিতা
বিনিময়ে মেলেনা প্রাপ্তি, শূন্যতাই প্রধান ভরসা

রাজপথ নষ্ট হয়েছে অতিবৃষ্টিতে, জোয়ারে
ডুবেছে আমার শহর, ভ্যানিসের স্বাদ কল্পনা
করতে করতে উপভোগ করছি জীবনকে
লোডশেডিং আর চড়া বিদ্যুৎবিলের মাঝেও
ভাবছি প্রেম আর অপ্রেম, আঁকছি পোট্রেট।

শরতের আয়োজনে কতটা রাঙালো জীবন
ব্যস্ততার ফাঁকগলে ঢুকে পড়ে তৃতীয়পক্ষ
নিয়নলাইট ম্লান হয়, ইউটিউবে ধ্রুপদী গান...
নিমন্ত্রণ করিনি, অথচ রাতটি প্রধান অতিথি।

প্রকাশকালঃ ১৩ আশ্বিন ১৪২৪

Tuesday 26 September 2017

দুঃখের আমলনামা

দুঃখের আমলনামা
ইমেল নাঈম

নিষ্কণ্টক জীবনের রূপরেখা আঁকতে বসে হারিয়ে গেছি। কথার ফাঁকফোকর গলে বাজছে অচেনা অর্কেস্ট্রা। সুরের ভাজে লুকিয়ে সর্বনাশা সঙ্গীত। অভিযোগের পারদ নামলে কোথাও বৃষ্টি হয়। উৎসবের সময়টুকু ভেসে যেতে পারে। কীর্তিনাশা সংলাপে দুমুঠো সময় রেখো আমার জন্য। এরবেশি এক শস্যকণাও নয়।

না পাওয়ার তালিকা সহস্র ছুঁয়েছে। পঞ্জিকার দিন বদলেছে সমান্তরালে। বিপ্রতীপ দ্বন্দ্বে রেশ টেনে ধরেছি সেই কবে... অলিম্পাস পর্বতকে কাঁধে নিয়ে আছি ভুলের কাফফারা হিসেবে। সমগ্র পৃথিবী যেনো সপে দিতে চাইছে নিজেকে। আত্মসমর্পণ করতে শিখে গেছে ত্রিভুজের সূত্র। ব্যর্থতায় মুখ লুকোচ্ছে ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসের যত অদ্ভুত নিয়ম।

ভুল সূত্রের মাশুল দিচ্ছি পড়ন্ত বিকেলে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করি নিজেকে। কূজনে, হিল্লোলে নিজেকে বেমানান লাগে। শাপমোচনের জন্য নিজেকে দাঁড় করাই অপরাধীর খাতায়। শালিসি মঞ্চে সবাই সার্কাসের রিং মাস্টার। ভুল জায়গায় খেলা দেখাতে চলে এসেছে।

কর্ণফুলীর জলে নিজেকে ভাসাই। উড়ছে অচেনা ফানুশ। নদীর ওপাড়ে কোজাগরী রাত। উৎসবের রঙ দেখছি শুধু। মুঠোফোনে ভাসছে কুমার বিশ্বজিৎ। পাহাড়ি মদের প্রতিক্রিয়ায় কোনো উপসংহার নেই। বিনিময়ে লিখে চলেছি দুঃখের আমলনামা।

প্রকাশকালঃ ১২ আশ্বিন ১৪২৪

প্রলাপ - ১

প্রলাপ - ১
ইমেল নাঈম

সুস্পষ্ট অভিমানের মেঘ, হারিয়ে যাবার পূর্বের প্রস্তুতি
শূন্যতার পরে থোকায়থোকায় সাজানো মিথ্যে প্রহসন

তুরীয় সময়ে নানা খানাখন্দ দেখে নিতে পারো
মৌলিক সময়ের আয়োজনে ব্যস্ত নিঃসীম অন্ধকার।
বাতিঘরে নেই শ্লোগান, পিছুটানে পেরুচ্ছি শেকড়
শিখরে ওঠার অভিপ্রায়, সত্যমিথ্যার হিসেব কবিতায়।

গড়িয়ে যাচ্ছে সময়, বদলে যাচ্ছে প্রেক্ষাপট
সাজঘর নেই, আলগা কোনো আস্তরণও লাগেনি
তবুও সার্কাসের ক্লাউন আর রিংমাস্টারের অভিনয়
দিনশেষে হাতে তালি মেলাটাই একমাত্র সম্বল

ভিতরের বিষটুকু উপড়ে নিলে কী থাকে অবশিষ্ট
জানা নেই মানব বিজ্ঞানের জন্মকথা, গুহাবাসীর
নানান আঁকাজোকায় খুঁজে নিচ্ছো শৈল্পিক আবরণ

কর্পোরেট মূকাভিনেতা নিজেকে উজাড় করে দেয়
দুবেলা আহারের সন্ধানে। প্রেমিকার চুম্বনগুলোকে
লিপিবদ্ধ করিনি কবিতায়, দিনান্তের গল্পে কেবল ভুল,
যাপিত জীবনের বিনিময়ে রাখিনি কোনো অভিযোগ।

প্রকাশকালঃ ১০ আশ্বিন ১৪২৪

Friday 22 September 2017

পাখিদের সঙ্গীত

পাখিদের সঙ্গীত
— ইমেল নাঈম

কোলাহলের শেষে লিখি বিরতিহীন ঘুমের জন্ম
চুপচাপ নেমে আসে রাত, আঙুল ছুঁয়ে জমে —
জমতে জমতে সৃষ্টি হয় অভিমানের মেঘ
শিউলির দেশে মাছেদের অভয়ারণ্য নেই
প্রজনন তত্ত্বের ভুল থিওরি কপচায় পাঠ্যবই।

মণিমুক্তার আবরণ খসলে দেখা মেলে সত্যের
জীর্ণশীর্ণ শরীরে একক মঞ্চাভিনেতা হয়ে
ক্রমাগত সংলাপ আওড়ে যাচ্ছেন নির্ভয়ে
উত্তাপ কমলে কিছু চিহ্ন থাকে — ক্ষত দেহে
পরাজয় ভুলতে মেঘের গায়ে আঁকি উত্তাপ।

উল্কিতে ভরেছে শরীর — অদ্ভুত চিত্রাঙ্কন
ছুঁয়েছে রাজপথ। মেঘের দেশে পাখিদের
আশ্রয় নেই। সভ্যতার নামে শিখেছে বিচ্ছেদ
পলেস্তারা খসা সমাজ প্রশ্নবাণে জর্জরিত নয়,
আশ্চর্যবোধক চিহ্ন আটকে দেয় বারবার।

ক্লান্তির বিনিময়ে কিনছি অখণ্ড অবসর
বেচাকেনার অংকে আমি নিজেও মুসাফির
উড্ডীন মেঘের গলায় পরিযায়ী প্রার্থনা নেই
পাখিরা সঙ্গীত ভুলেছে বিসর্জনের মন্ত্রপাঠে।

প্রকাশকালঃ ৭ আশ্বিন ১৪২৪

Thursday 21 September 2017

কবিতার ডায়রি

কবিতার ডায়রি
ইমেল নাঈম

প্রাক্তন প্রেমিকাকে লেখা কবিতার ডায়রিটা ফেলে দিয়েছি ডোবায়। তার আগে হত্যা করেছি বিনিদ্র রাতের অনুভাব। কাঙ্ক্ষিত দরজা বন্ধ দেখে অপেক্ষায় কাটিয়েছি বিকেল। ক্লান্তি মাখা শার্টের গায়ে লেপে দিয়েছি অবহেলা। তার উত্তাপ কমলে বেজে ওঠে আশাহত গান।

প্রান্তিক জীবনে কোথায় হারিয়ে গেলো সুখের অনুরণন? নিজেকে ঢেকে দিয়েছি লৌকিক চাদরে। রোদ চশমায় ঢাকা চোখ। আহা... ম্লান সময়ের বুকে ক্ষতরা জেগে ওঠে আজও। কীইবা হতো যদি বিচ্ছেদের ম্যাজিকটা না দেখতাম। কবিতারা স্যাক্রিফাইসের আনন্দে আত্মাহুতি দিলো তীব্র অপমানে। ধনুর্বিদ্যা শিখিনি অথচ কী নিপুণ লক্ষ্যবেধ! ছিঁড়ে গেলো জীবনের আয়োজন।

দুরমুশ আয়োজনে অপ্রাপ্তির কাছে ফিরি। অভিনয় আর বাস্তবকে অনুধাবন করতে করতে হারিয়ে ফেললাম ঠিকানা। অপরাধের পরিমাপক জানা নেই। জানলে নিজেকে মেপে নিতাম সেই মাপকাঠিতে। ভালোবাসার বেঞ্চমার্কের গায়ে লেপটে দিয়েছিলে কালিমা। প্রতিদানে মেলেনি কোনো উপহার।

কবিতাকে উপহাস করো না প্লিজ। কবিতার ডায়রিটা তলিয়ে গেছে মাটির স্তূপের নিচে। বিনিময়ে সেখানে গড়ে উঠেছে ফুলের বাগান। অসংখ্য প্রজাপতির মিলনমেলা। হয়তো সেখানে তারা গড়ে তোলে নিজেদের মধ্যে প্রণয়। কবিতা হয়তো কোনোদিন তোমার কাছে যেতে পারেনি। কিন্তু কারো শরীর তো ছুঁতে পেরেছে অলক্ষ্যে।

প্রকাশকালঃ ৬ আশ্বিন ১৪২৪

Wednesday 20 September 2017

সেকেন্ড ফ্লোর

সেকেন্ড ফ্লোর
ইমেল নাঈম

গোপন ব্যঞ্জনাগুলো ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। কৃত্রিম এক আবছায়ার পিছনে কেবল দৌড়ছি। পরাবাস্তব কল্পনা আর উত্তরাধুনিক শব্দরা কী শেষ পর্যন্ত খুঁজে পায় তাদের গতিপথ? ভোর হলেই জানলা খুলে দিই। সকালের রোদের সাথে স্নিগ্ধকর বাতাসই নয় আরো ঢুকে অনাবিল চিন্তা।

ঘামের গল্পে দুজন মানুষ থাকে। রাতগল্পের নিস্তব্ধতাও থাকে। ছিঁড়েফুঁড়ে করস হয় সম্পর্কের এক্সপেরিমেন্টস। ব্যাকুল মুখেদের কল্যাণে নিজেকে দেখিনি কখনো তোমার চোখে। উড়ন্ত ভোরের গল্পে অনেক অধ্যায় এড়িয়ে গেছো তুমি,  কিছুটা আমিও। কবিতার খাতায় কেনো আসে বৃষ্টির ছিটা... প্রেমের স্টার্টিং পয়েন্টে মেঘ থাকে। মনের ঘরে মেঘ জমে।

হাপিত্যেশ করা ভোরগুলো ইদানীং হারমোনিকায় শান দেয়। তারাও হয়তো প্রস্তুত ম্যাক্সিকান কোনো সঙ্গীতের তালে নাচাবে বলে। আমি আজন্মই মাতাল, ঘন কালো চুলের প্রেমে আটকে যাই বারবার। তুমি কী জানতে না মাতালদের সাথে প্রেম করা নিষেধ।

তুমি কী এখন ভোরবেলায় বারান্দায় আসোনা? সকাল কী গোপনেই দেখো? নিজের ভিতরেও কী আঁকা যায় সকালের ছবি। যদি আঁকা যায় তাতে কী কী দৃশ্য আঁকো রোজ? আমি সকাল দেখবো বলে আজও উঁকি দিই পাশের বাড়ির সেকেন্ড ফ্লোরের বাগান মণ্ডিত বারান্দাটায়।

প্রকাশ কালঃ ৫ আশ্বিন ১৪২৪

Monday 18 September 2017

হিসাবের খাতায়

হিসেবের খাতায়
ইমেল নাঈম

যাত্রাপথে চলে যাচ্ছে সময়, দুলদুল ঘোড়ায়
কেঁপে উঠছি বারবার, নিজের ভিতরে শূন্যতার বাস
শ্লোগানে মুখরিত জীবন, এরপরেও মায়াবী ঘ্রাণ
বহুদিন আগে বাস্তবের কাছে যুক্তি হেরে গেছে।

পরিচয়ের ভিড়ে লুকিয়ে আছে কৃষ্ণকাল
অপরিচিত কণ্ঠস্বর জানান দেয় একাকীত্ব
বিভ্রমের মায়াজাল পেরিয়ে যায় ত্রিভুবন
দশদিকের প্রতিধ্বনি নিজকানকে করে আহত।

শূন্যতায় মিশে যাবো — হিসেবের খাতায় নাম
রঙিন ছবি ক্রমশ হবে সাদাকালো, ভোরের গল্প
লিখার জন্য কেউ থাকবে না বেঁচে, হতাশার
বিনিময়ে বিক্রি করে দিবো নিজেকে। চুপচাপ
নেমে আসবে নিজের সাথে করা আলাপনগুলো

হাহাকারের রঙিন ছবি। ভুলে যাওয়া রোগের
হিসেবে নিজের ঠিকুজি হারিয়েছি এতদিনে
উপচে পড়া সময়ের গল্পে নিঃসঙ্গতার প্রলাপ
পালাচ্ছি বলেই হিসেবের খাতাজুড়ে বিষণ্ণতা।

প্রকাশকালঃ ৩ আশ্বিন  ১৪২৪

Saturday 16 September 2017

জিঘাংসা জীবন

জিঘাংসা জীবন
ইমেল নাঈম

রক্ত প্লাবনে লেখা অনেক কবিতাই
মুছে গেছে জীবনের বিনিময়ে, আর্তনাদে ঘুমোচ্ছে
তারা বইয়ের পাতার কঠিন বাক্যবিন্যাসে।
প্রাণ ফেরি করে আসা মানুষ, তাকে কীভাবে
রাঙাও ধর্মের রঙে! শিল্পীর ক্যানভাস ধূসর।

সেখানে প্রাণ নেই। আছে তীব্র ভয়। প্রাণ বাঁচানোর
তাগিদে বারবার কাটাছেড়া করছে নিজেকে,
পাহাড়ের দুর্গমতা, জলের শ্রোত পেরিয়ে আসে
জনস্রোত। বাঁধা দেবার শক্তি নেই, সামর্থ্য নেই।
প্লিজ, শুধু ধর্মের বাঁধনে বেঁধোনা মানুষকে আর।

মজলুম মরে যায়। মুহূর্তে শাসক হয়ে ওঠে শোষক।
ভুলে যায় অতীতের কথা, জেল জীবনই গায়
মানবতার সঙ্গীত। এরপর থাকে জিঘাংসু জীবন।
ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছো জীবনের আলাপন
কোথাও ওড়েনা শাদা পায়রা। সুইডেন পদকও
নিরুপায়, মৃত্যুর সামনে জীবন কতো অসহায়!

হয়তোবা মুছে যাবে অনেক শরীর, নাফের জলে
ভাসবে অচেনা শিশুর দেহ, দিনশেষে পাপপুণ্য'র
খেলায় লেখা হবে মানুষের নাম, অকপটে ধংস
হবে আমাদের প্রান্তিক জীবনের আনন্দ,
সঙ্কুচিত হতে হতে একদিন আকাশ দেখবোনা
সেদিন হয়তো অভিশপ্ত জীবন ডাকবে বারবার।

এতো প্রাণ হত্যার দায়ে তুমি কী ঘুমোতে পারবে?
নাকি ছটফট করে নিজের প্রায়শ্চিত্ত করবে...

প্রকাশকালঃ ১ আশ্বিন ১৪২৪

Friday 15 September 2017

ভুল কোরাস

ভুল কোরাস
— ইমেল নাঈম

খেলাঘরে শূন্যতা আঁকছি! ইউটিউবে ঝুলছে মোজার্ট
বিষণ্ণ দিনের স্বরলিপিতে কিছু শিহরণ লুকোনো আজো
হারিয়ে যাবার প্রাক্কালে গোপন ক্ষতগুলোকে ঢেকে দিও
জাজ্বল্যমান শব্দের কাছে বেদনাদের মৃত্যু দেখি বারবার

থেমে যাওয়ার মন্ত্র পাঠ করি অসময়ে
প্লেনচ্যাটে কেটে যায় নিঝুম দিনের সারগম
পোষা বিড়ালটিও ঘুরে ফিরে আসে স্বপ্নে
দুঃস্বপ্নের সঙ্গীত গাইতে গাইতে তারা হারায়

পৃথিবী থমকে দাঁড়াও,
থামিয়ে দাও সুন্দরের সব কোরাস
সঙ্গীতের মৃত্যু ঘণ্টা বাজুক প্রতিদিন
মানুষ আয়নার সামনে দাঁড়াবে না কখনো

বদলে ফেলার নিমিত্তে বদলে গেছে চারপাশ
কথার কথাদের মূল্যায়নে বদলাচ্ছে সমাজের ভাঁড়
ত্যাগের সংজ্ঞা লেখা হয় দু'ফোটা অশ্রু বিসর্জনে

ঘর থেকে বেরিও না কারণ এখন সময় ভালো না
সামলে চলো পা — এখন সময় অনুকূলে নয়
অপেক্ষায় থাকো পা, সুদিনের দিবাস্বপ্নের আশায়

প্রকাশকালঃ ৩০ ভাদ্র ১৪২৪

Monday 11 September 2017

চিৎকার

চিৎকার
ইমেল নাঈম

মধ্যবর্তী আলিঙ্গন আর কিছু অচেনা মুহূর্ত
লিপিবদ্ধ করতে হারাচ্ছে আবেগের শেষ বিন্দু
মুহুর্মুহু আর্তনাদে ভারী হচ্ছে চারপাশ আর
তার নিচে দাঁড়িয়ে আঁকছি বেখেয়ালি বিষণ্ণতা

কোরাসে ভাসছে চেনা গান, রিমেকের অবয়বে
বদলে যাচ্ছে অনুভূতির হিসেব। অবসরের
বিনোদনটুকু কেড়ে নিলো মুঠোফোন, তার ফাঁকে
মাথা চাড়া দিচ্ছে বৈধ কিম্বা অবৈধ প্রেমের গল্প

গোঁজামিল হিসেব খাতায়। উঠি করেও উঠিনি...
তাকিয়ে দেখি শূন্যতা গড়ে তুলছে বুভুক্ষু ক্ষত
গিলে খাচ্ছে আমার ভিতর, তীব্র দহনে পুড়ছি
হৈহৈ শব্দে পালাচ্ছি কেবল, রাখছিনা স্মৃতিচিহ্ন।

সময়ের কাছে বন্দী। মুক্তি খুঁজতে পেরুচ্ছে দিন
ঋতু বদলায় প্রহসনে, থাকে আর্তচিৎকার

প্রকাশকালঃ ২৮ ভাদ্র ১৪২৪

Saturday 9 September 2017

নিঃসঙ্গতা আর তুমি...

নিঃসঙ্গতা আর তুমি...
ইমেল নাঈম

বিষণ্ণতার লুকোচুরি খেলায় উড়িয়ে দিই ধোঁয়া
চশমার লেন্স জুড়ে খেলছে এক সমুদ্র নিঃসঙ্গতা
উড়ে যাবার প্রাক্কালে কার চোখ দেখেছিলে?
পুরোটা দেখাইনি, কিছু আছে অপ্রকাশিতভাবে।

মেঘের ভাজে জমাটবদ্ধ আনন্দ... চুইয়ে পড়ছে
নগ্নতার আলিঙ্গন — বাঁধার প্রাচীরে আঁকছি
নিঃসঙ্গতার ক্যানেস্তারা। উড়ে যাচ্ছে পরিযায়ী...
প্রান্তিক স্পর্শেও বিষাক্ত চুম্বন থাকে লুকিয়ে

খুলে দেখিয়েছো সবটুকু, মনের ভেলায় ভাসছি
ওল্ড মংকের শূন্য বোতল, আর জ্বলন্ত সিগারেট
This is not the proper time to get you
How much time, I'll waiting for...

শরৎ খেলছে বাহিরে, ভেতরে বসন্তের আঁচড়
ক্ষতবিক্ষত সময়ের প্রলাপ, রাসায়নিক বিক্রিয়ায়
ফলাফল শূন্য, ক্লান্ত দাগের তীব্র অবসেশন
পিচ্ছিল সময়ের হিসাবে কে কতটা অপরাধী!

প্রশ্ন করে যাচ্ছি নিজেকে, নগ্নতার উপাখ্যানে
তুমি হয়তো অভিজ্ঞ, অন্যদিকে আমি আনাড়ি
বিষণ্ণতার গল্পের শেষে তুমি ভুলে যাও স্পর্শ।

প্রকাশকালঃ ২৩ ভাদ্র ১৪২৪

Wednesday 6 September 2017

বিভুই পাখির গান

বিভুই পাখির গান
— ইমেল নাঈম

হাজার মেইল দূরে তীব্র শীত কিংবা গরমে আজো ফোটে ফুল। ক্লান্তি মুছে সামনে তাকালে দৃশ্যমান হয় কেবল সিমেন্টের কংক্রিট। রাস্তার পাশে সাজানো গোছানো সবুজ। কত সুন্দর পরিপাটি আয়োজন। অথচ উপভোগ করার সময় নেই, সময় থাকলেও শূন্যতা অনেক। শুধুই সবুজ মাঝেরটায় লাল নেই, তাই অধিকারও নেই। মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়েনা লালবিহীন সবুজ।

হাড় ভাঙা পরিশ্রমে নেমে আসে মধ্যরাত। রাস্তার পাশে মূকাভিনেতা শিল্পীটিও কানে কানে গ্রাম্য বাংলায় জিজ্ঞাস করে বাড়ীর খবর। তাকিয়ে দেখি অশ্রু ছলছল। সেটিকেও লুকোনোর কী প্রচেষ্টা! ব্যস্ত অফিস পাড়ায় সাদা চামড়াই নয়, দেখা মেলে স্বদেশ পাখির। তাকে জীবনানন্দ শুনিয়ে দেখো — সেও গুণগুণ করে শোনাবে "আবার আসিব ফিরে...’

উপভোগের জীবন দেখেনি সেসব প্রাণ। একমুঠো অবসর কেড়ে নেয় প্রযুক্তি। তার কল্যাণে দেখতে পারে বাবা মা'র মুখ। ভাই বোনের আবদার নীরবে শোনে। শূন্য পকেটে বুকের ভিতরে পাথর চাপা দিয়ে রাখে। ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখতে বলে আর নিজে ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস।

তুমি কোন বেনিয়া — ব্রিটিশদের আত্মা ধারণ করে শেখাও দেশপ্রেম। ভাদ্রের ভ্যাঁপসা গরমে শরীর থেকে বের হয় পচে যাওয়া অবক্ষয়। মুছে দাও পাপ, পাখিদের কাছে গিয়ে শেখো ভাতৃত্ববোধ, নদী কী শেখায়নি ভালবাসার সব সূত্র। প্রকৃতিও কী ব্যর্থ শিক্ষাদানে... থামো! আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখো পলেস্তারা খসে ঝুলছে তোমারই কংকালসার দেহ।

প্রকাশকালঃ ২২ ভাদ্র ১৪২৪

শেষকৃত্যর আয়োজনে

শেষকৃত্যর আয়োজনে...
ইমেল নাঈম

বিষণ্ণতা গিলে খাচ্ছে আকাশের পুরোভাগ। থমকে দাঁড়িয়েছে দেয়ালঘড়ি। পলেস্তারা খসলে জন্ম নেয় প্রান্তিক জীবনের আদিরূপ। আঘাতে জর্জরিত হচ্ছি বারবার। ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে দাঁড়াচ্ছি। পরিযায়ী জীবন আনন্দ উৎসবে মত্ত। ক্লান্তি ছুঁয়েছে আমায়। ভাদ্রের উষ্ণতা কীভাবে জানান দেয় নিঃসঙ্গতা!

আকাশের বুকে মেঘ জমেছে থোকায়থোকায়। কোথাও বাজছে প্রিয় গান। কোথাও উড়ছে পাখির দল। শান্ত নদীতে ভেসে বেড়ায় পানকৌড়ি। ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র জানিনা। শিখিনি আহত হবার পরে ক্রোধের চিৎকারটুকু। অসহায়ের সঙ্গীতেও শেষটুকু রয়ে গেছে আজো।

চারপাশে তাকিয়ে দেখি জীবনের ব্যস্ত রঙগুলোকে। নিজেকে নিয়ে সময় কাটাই। প্রশ্ন ছুঁড়ে দিই শূন্যতায়। গল্পের মতো ভেবে নিজের কানকে শোনাই আয়োজনগুলো। হাত ছুঁয়ে দেখে আঙুল। অটোসাজেশন দিই, নীতিবাক্যগুলো খাতায় লিখি।

এরপর পথে নামি। খালি পায়ে হাঁটতে থাকি। মানুষ দেখি। ফুটপাথের পাশে চা খেতে খেতে আবিষ্কার করি জীবনের গল্প। নিকোটিন শলাকা জ্বালিয়ে অভিসম্পাত করি নিজেকে। জীবনের রঙ ফিকে হতে হতে মিলিয়ে গেছে একেবারেই। সাদাকালো আয়োজনে লিখা হয় কেবল পরাজয়।

অন্ধ ও বধির অরিসিস। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে নিচ্ছেন রাত। মৃত্যু বরণ করে নিচ্ছে আমাকে প্রতিদিন। প্রতিনিয়ত সামাজিকতার আবডালে হাসছে যে মুখ সেও তার অন্তষ্টিক্রিয়া হয় প্রতিরাতে।

প্রকাশকালঃ ২২ ভাদ্র ১৪২৪

Monday 4 September 2017

স্থবির কিংবা প্রতীক্ষা

স্থবির কিংবা প্রতীক্ষা
ইমেল নাঈম

স্থির মেঘপুঞ্জ, ম্লান মুখে রয়ে যায় বিষণ্ণতা। কালো চশমায় ঢাকা চোখ, একহাতে আয়েশি ভঙ্গিমায় জ্বলছে তামাক। অন্যদিকে ক্যামেরার ট্রিগারে আঙুল।

কার দিকে তাক করে রেখেছ ধাতব আস্ফালন। বিমূর্ত দৃশ্য আঁকবে বলেই কী এখনো বৃথাই রাত জাগছো! স্পর্শ আঁকবে কোনো এক প্রেমিক জেগে থাকে নির্ঘুম রাতের শেষে। নির্বাক দৃষ্টিতে পড়ে নেয় ব্রেইলে লেখা কবিতা।

দিন পড়ছে ভূগোল। ব্রহ্মাণ্ডের খোলা মাঠ আর তার উপরে জমাটবদ্ধ দেশলাইকাঠি জানান দেয় ক্লান্তির অবকাশ। ছিঁড়ে ফেলে মেকি আয়োজন। না ফেরার দলে ফিরে যায় পাখি।

বাধা দিওনা ওভাবে, কেউ হয়তো ফিরবে না ঘরে। ভেসে আসে দুঃখের প্রাচীন সুর। আহত হয়ে ফিরে আসি। শূন্য ঘর, ধুলোজমাট থাই গ্লাস। ভেন্টিলেটরে চড়ুই দম্পতির বসত। মন গাইছে দুঃখ জাগানিয়া গান।

অচেনা বালিকা আলসে দুপুরের গান থামাও, চোখ থেকে সরিয়ে দাও কালো চশমা। দেখতে চাই চোখের বর্ণ... সময় বয়ে যায়... পেরিয়ে যায় প্রতীক্ষার সময়। অলস বসে থাকতে থাকতে পেরিয়ে যাচ্ছি মায়াকানন।

প্রকাশকালঃ ২০ ভাদ্র ১৪২৪

Sunday 3 September 2017

বিনিময়

বিনিময়
ইমেল নাঈম

লালমাটি। চুপচাপ নেমে আসে সন্ধ্যা। প্রলেতারিয়া সময়। ফেরারি আসামী হয়ে ঘুরছি। ছদ্মবেশে লুকোনো ছায়া দেখে শিউরে উঠি। প্রশ্নের সামনে দাঁড়াই। ব্যথার অনুবাদ করি ভুল বাক্য বিন্যাসে। জীববিজ্ঞানের নানা অধ্যায়ের শেষে ডারউইন ঘুমোয়, পরে থাকে চার্চের অলস ঘণ্টা। যিশুও তাকিয়ে আছেন নিশ্চল।

পাখির ঠোঁটে ঝুলছে আকুতি। প্রণয়ের ভাজে রূপকথা। ডানা ভাঙা পরীর গল্প মধ্যরাতে ডেকে ওঠে। প্রহরীর হুইসিল আর রাস্তার মোড়ের ল্যাম্পপোস্ট লিখছে যাবতীয় ব্যস্ততার শেষ ঘুম। প্রায়শ্চিত্ত করছি পুনর্জন্ম'র। মখমলি ঘাসে মুড়েছি হাটু। নিঃসঙ্গতার বিনির্মাণে আমি ঈশ্বরের বিপরীত আবার শয়তানের আদিম প্রতিদ্বন্দ্বী।

আয়নায় নিজেকে চিনতে পারিনা। মায়া, ভ্রান্ত বিশ্বাস... কীসের মোহে আহত হচ্ছি রাতভর। ক্লান্তিকর যাত্রা জিপসি জীবন। মুঠোফোনে ভেসে আসে ব্লুজ অ্যান্ড জ্যাজ। সেক্সোফোনে কেবল হাহাকার। নিকোটিনকে জ্বালাই, বিনিময়ে ছাই হয়ে যাচ্ছি নিজেই।

হাহাকার লিপিবদ্ধ করি কবিতার খাতায়। পাখিজীবন কল্পনা করে হতাশায় পুড়ি। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিই, হাতের ভাজে খেলছেন ডেভিড কভারফিল্ড। পিয়ানোর সুরে ইয়ান্নি। ভ্যানগঘ  কান কাটা চিত্রশিল্পী, গণিকার দাম দিয়েছিলেন নিজের কানের বিনিময়ে।

আমার দেয়ার কিছুই নাই, আধ্যাত্মিকতায় নেই কোনো বিজ্ঞাপন। কেবল শূন্যতায় তাকিয়ে থাকি... আমাকে সঙ্গ দেয় আমার ভিতরের সবটা কালো। বিড়বিড় করে বলতে থাকি, আফ্রোদিতি... আফ্রোদিতি... আফ্রোদিতি... আমাকে গ্রহণ করো... বিনিময়ে লিখে দিবো এক সাগর পরিমাণ পাপ।

প্রকাশকালঃ ১৯ ভাদ্র ১৪২৪

Saturday 2 September 2017

কাল্পনিকতা

কাল্পনিকতা
ইমেল নাঈম

ভাবছি লিখবো। কিছুটা লিখা দরকার। জ্বলছে সিগারেট। ক্ষয়ে যাচ্ছে হতাশা। তুমি কথার মাঝেই চুপ হয়ে যাও। যেনো কল্পনায় ভেসে যাও গভীর থেকে গভীরে। বাধা দিওনা। কবিতায় প্রকাশিত আবেগটুকু মুছে দিবো ইরেজারে। ইমেজারি শব্দের বুনটে লিখে নিবো কবিতা।

পেগাসাসে ভেসে যাবে স্বপ্নের আয়োজন। রোদ চশমায় টুকে রেখেছো বিষণ্ণতার আদি সূত্র। কবিতার খাতা থেকে মুছে দিচ্ছি আমাদের চলাফেরার মুহূর্তগুলো। ক্ষয়িষ্ণু সময়ের কল্যাণে। অলিম্পাস পর্বত কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়েছি আমি, প্রমিথিউস চুরি করে পালিয়ে গেছে আলোর মিছিল।

মশাল নিভেছে সেপ্টেম্বরের বৃষ্টিতে। মেঠো পথে অবহেলায় পরে আছে অজস্র ভাঁটফুল। আকুল দৃষ্টি বিনিময়ে চলে যাচ্ছি অনেকপথ দূরে। অর্থ খুঁজতে খুঁজতে চুপ হয়ে গেছি। পরের গল্পে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন আঁকা। গুহাচিত্র লিখে রাখি পৃথিবীর আদিম সভ্যতা। যেখানে প্রথম চুম্বনে জন্ম নিয়েছিলো কসমস।

এরপর পেরিয়ে গেছে সময়, ক্লিওপেট্রার সময়টুকু পেরিয়ে গেছি। বিনোদনে আক্রান্ত হচ্ছি ভুল সময়ে। কল্পনার রস মুছে গেছে। প্রিয় সামান্থা, আমাদের দেখা হয়েছিলো ভুল সময়ে। পর্যটকের বেশে আমিও ছিলাম নীরব ঘাতক। কেবল হত্যা করেছি নিজেকে।

হলি বুকসে বিজ্ঞাপনে কোথাও তোমার নাম নেই। বন্য মদের নেশাটুকু চেড়ে উঠলেই ভুলভাল বকতে বসি। নিজেকে খুঁজতে বসে বুঝি প্রান্তিক সময়ের ঋণে প্রাপ্তি কেবল শূন্য। সামান্থা, এরচেয়ে বেশি কিছু দেয়ার নেই তোমাকে আমার।

প্রকাশকালঃ ১৮ ভাদ্র ১৪২৪