Monday 30 January 2017

আবিষ্কার

আবিষ্কার
— ইমেল নাঈম

বিমুগ্ধতার কোনো সংজ্ঞা নেও, কাচ ঘেরা ঘরের
নেই কোনো গোপনীয়তার সনদ, সাবধানতার
মন্ত্র পাঠ করতে গিয়ে হারিয়ে গেছি বিপরীত পথে
পাহাড়ের কাছে ফেরার পথে হারিয়েছে ঠিকানা
সর্বহারার দলভুক্ত অথচ কোনো আফসোস নেই।

কার স্পর্শে খুঁজছি পড়ন্ত বিকাল, সূর্য ডুবে যায়
বৃদ্ধ নগরীতে, মৃত নদীতেও স্বপ্ন লুকিয়ে রাখি
কারুকার্যের প্রলেপের অন্তরালে বিনিসুতোয়
রেখেছি অষ্টাদশী স্বপ্ন, ঋণ নেই হিজলের কাছে
দীর্ঘদিন নাগরিক পাখিদের কণ্ঠের গান শুনিনি

পাহাড় প্রিয় নয়, জলও নয়, উষ্ণতা ব্যতীত অন্য
কোনো কিছু কখনোই আমাকে আকৃষ্ট করেনি
কিন্তু, উত্তাপহীন ক্ষত নিয়ে পরিব্রাজক রূপে
পালিয়ে যাচ্ছি আগামীর পথে, বেদুইনের চোখে
আঁকতে বসেছিলো পোর্ট্রেট, ইজেলে শুধু ছড়িয়ে
যাচ্ছে রঙ, ক্রমশ দুলছি অদৃশ্য সময়ের পেন্ডুলামে

আকাশের রূপ দেখে কোনো পূর্ব অনুমান নেই
মিলিয়ে যায় পশ্চিমের রাগ, হারাচ্ছে বিকেল
খানিক বাদেই রাস্তার নিয়ন আলো জ্বলবে, টঙ
দোকানে দৈনন্দিন চা সিগারেটের ভিড়ে আবিষ্কার
করি অসহায়ত্ব, জনারণ্যে মিলিয়ে নিই ধ্রুবসত্য —

এভাবেও হারিয়ে যাওয়া যায়, দৃশ্যমান কিন্তু অদৃশ্য...

Friday 20 January 2017

2 kobita

অসুখ
ইমেল নাঈম


ছিপ ফেললেই উঠে আসে না কিছুই
উৎকণ্ঠা নিয়ে পেরিয়ে যায় সুর্য
ভরদুপুরে তেমন তাড়া থাকে না

বুক পকেটে লিপস্টিকের দাগটি
শুকিয়ে যায় অভিযাত্রিক পথে
আমার পথ চাওয়াতেও সুখ নেই

কৌণিক হিসাব অনুসারে বিকাল
নামলে ছিপ তুলে বাড়ী ফিরে যাই...
ঝোলায় ঝুলছে কেবল শূন্যতা

জামার লিপস্টিক শুকালেও সন্দেহ
করে না এখন কেউ আমাকে, কিন্তু
মনের ঘরে পাপবিদ্ধ হচ্ছি প্রতিমুহূর্ত।


বর্ষাকাল
ইমেল নাঈম


একটা ছেলে সবুজ রঙের বৃষ্টি আঁকছিল
তোমার উঠোনে, হয়তো দেখেছিলে
তার রঙ পেন্সিলজুড়ে লেপটে থাকা
প্রেমের উপাখ্যান। ছেলেটি আর আসেনা।

বৃষ্টি নয়, প্রেম আঁকার পর চলে গেল
যাবার সময় ফেলে গেলো জলতরঙ্গ
পট আর জলরঙ বৃষ্টিতে ভিজেনি এখনো
ছেলেটি প্রেম নয় বৃষ্টি আঁকতে এসিছিলো

তুমি অপেক্ষায় থাকতে থাকতে খেয়াল
করলে না কখন যে বর্ষাকাল চলে এলো।

Wednesday 18 January 2017

পূর্বাভাষ

পূর্বাভাষ
— ইমেল নাঈম

থেমে যাওয়ার আগ মুহূর্তে শুনি বিষণ্ণতার সাইরেন
ঝড়ের পূর্বাভাষ বারবার ভুল হলেও থাকে আতঙ্ক
লাল মাটির শক্ত পলিও জানে মিলিয়ে যাবার মন্ত্র।
নিশ্চিহ্ন হবার পূর্বক্ষণে হাত পা ছুঁড়ে ব্যর্থ প্রতিবাদ
শিখেনি যে যুবক তাকে কেন বলেছিলে ভালবাসি!

অহেতুক চ্যাঁচামেচির শেষে উল্লাসের কারণ জন্মায়।
সুখের নামতা শেখা যুবক বুকেও সৃষ্ট শিহরণটুকু
হঠাৎ করে ঘুমিয়ে যায় প্রশান্ত মহাসাগরের মতো।
গভীরতা আর নীলাভ আঁচলের মায়াঘোর কাটাতে
চাইলে পিছনের দিকে চলে যেতে পারো — চিরতরে।

নাবিক জীবনের গল্প লিখে রেখেছি মানচিত্রজুড়ে
কম্পাসের মলীন চোখ ফিরেছে বন্দরের পর বন্দরে
তিরের নিশানা ভুলে গেছে দূরবীক্ষণ যন্ত্র, কাছের
চিত্রপট ঘোলাটে আর ধোঁয়াটে হতেই জ্বলে ওঠে
মাস্তুলের বাতি। নিদ্রারত সময়ের পথে শ্রান্ত নাবিক।

সকাল আসে স্রোতের দেখা পাই, রয়ে যায় রেশ
ঘড়ির কাটা জানে সময় আপেক্ষিক, ভ্রমণ ধ্রুব সত্য।

Tuesday 10 January 2017

নাগরিক আর্তনাদ

নাগরিক আর্তনাদ
— ইমেল নাঈম

পিছন ফিরে তাকাই, কুয়াশায় ঢেকে গেছে জনপদ
সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে বুঝি সকাল হতে অনেক দেরি

প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় আটকে ফেলেছি নিজেকে
ডাইনোসরের জীবন ব্যবস্থা জানতে গিয়ে ভুলেছি
দিনপঞ্জির ছুটির হিসাব নিকাশ। হাহাকার চাপা দিই
নিজেকে সান্ত্বনার সমারোহে, এরবেশি কিছু জানিনা...

মাঠের চাদর জুড়ে কুয়াশা মুছে যায়। কর্মব্যস্ত
নগরী নিজেকে আবিষ্কার করে বাঁচার তাগিদে
উদ্দেশ্যহীন পথ চলা মুখেদের সমারোহে রয়ে যায়
চাপা কষ্ট, মুখের নতুন কোনো বিজ্ঞাপন নেই...

ভাষা ভুলে গেলে যা বাকি থাকে তার নাম জীবন
এসবের মাঝে ফোঁস করে ওঠা শব্দগুলোকে ভাষার
আদলে ঢাকতে গেলে জন্মায় নাগরিক আর্তনাদের।

Monday 9 January 2017

পান্ডুলিপির কবিতা

গণতন্ত্র পাঠ
ইমেল নাঈম


সেদিনও গণতন্ত্র বলতেই ভেসে আসতো একটি নিরাপত্তা বলয় আবিষ্ট বাড়ী, কিছু বালুর ট্রাক আর পুড়ে যাওয়া মানুষের শবযাত্রা। তোমরা মাটি ভালবাস বলেই পুড়িয়ে দিচ্ছিলে সবকিছু। মাটি পুড়লেও মানচিত্র বাঁচে তাই আজও মাটি কামড়ে চলেছ তা দিনের পর দিন।

দাবী পালটা দাবী, মিশন- ভিশন, সবকিছুই কি লোক দেখানো। জনগণের স্বার্থে পুড়িয়ে ফেলেছিলো আমাদের। বাতাসে ক্রমান্বয়ে বেড়েছিলো পোড়া গন্ধ। স্বস্তির খোঁজে দৌড়চ্ছিলাম দিগভ্রান্ত হয়ে। একদিকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ অন্যদিকে আন্দোলনের সংজ্ঞা না জানা একদল লোক।

কারো কারো জীবনের সব আয়োজন চলেছিলো ঘরের ভিতরের মনোরম পরিবেশে। হুকুম দিতে অন্ধ চোখে। মায়াকান্নার রোলে সাজাতে নতুন নাটক। তথ্য জানার অধিকারে টুঁটি চেপে ধরেছিলে নিজেদের স্বার্থে। সত্যি তুমি মহান, তোমার থেকেই শিখে নিয়েছি অত্যাধুনিক গণতন্ত্রের পাঠ।

ছিলো সকাল থেকে সন্ধ্যাবধী অনিশ্চিত এক জীবনের হাতছানি। এখনো ভয়ে থাকি আবার যে কোন দিন ফিরবে এমন গণতন্ত্র। যদিও পাশের ঘর থেকে এখনো ভেসে আসে শব্দগুচ্ছ, "ডেমোক্রেসি ইজ আ গভর্নমেন্ট অব দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল এন্ড ফর দ্যা পিপল।"

আমি তাড়াতাড়ি আটকে দিই দরজা জানালা। এই কথাটুকু ভুলে যেতে চাই অনেক ভুলের যাওয়ার মাঝে।


এভাবেও বেঁচে থাকা যায়
ইমেল নাঈম

প্রতিদিন কে যেন বলে কিছু লিখো, অনেকদিন নিদ্রা যাপন আর বিরতিতে কাটিয়ে দিলে অব্যক্ত ফাগুন। খুব গভীর সেই ডাক। বলে অনেক উপেক্ষা আর অপেক্ষার আবরণে বলিদানের উৎসব হচ্ছে খুব।

প্রতিদিনই ভাবি আজ কিছু লিখবো। আত্মনিমগ্ন হতেই চোখে ভাসে জ্বলে যাচ্ছে মানচিত্র। ছাই হয়ে যাওয়া বাস আর তার অবশিষ্ট নিথর কৃষ্ণ কালো সেই দেহগুলো।

একদিন আমরা সবাই বেরিয়ে এসেছিলাম রাস্তায়। মাসটা ফেব্রুয়ারী, সাল দুই হাজার তেরো আর তারিখের ঘরে পাঁচ। আমরা এখন আর বের হই না। জাগরণের নাম কারা যেন দিয়েছিলো প্রহসন। পরিচিত নামগুলো অপ্রকাশিত থেকে যায়, ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়।

নিজেকে বয়ে চলেছি এতোটা পথ। প্রতিটা দিনকে মনে হয় অতিরিক্ত জীবনের আবির। সবাই পুড়লে তো অন্তত আমি ভালো আছি!

এভাবেও বেঁচে থাকে মানুষ...এভাবেও বাঁচে একটা দেশ...

মৃত্যুপুরী
ইমেল নাঈম

এখানে লাল বর্ণে রঞ্জিত হয় স্বপ্ন। ভিন্ন কিছু চিন্তা করা পাপ। বলতে গেলেই ঝুলে পড়ে মগজের ঘিলু। নির্বাক দর্শকেরা আলোচনায় মাতে। মোমবাতির ব্যবসাও হয়। লেখকেরা ঘুমাতে যায় দুঃখকে বুকে জমা রেখে। তারা অভিমানকে জুড়ে দেন সামাজিক মাধ্যমে, কেউ লেখেন কবিতা, আবার কেউ ছবি ঝুলিয়ে রাখেন প্রচ্ছদ হিসেবে।

কিছু মানুষ এই চলে যাওয়াতে নির্বিকার থাকেন। এমন ভাব যেন কিছুই ঘটেনি, প্রতিদিন কত মানুষ আমাদের ছেড়ে যান, ঠিক তেমন ঘটনাই ভেবে বসেন। তারা দল বেঁধে এটিকে সমাজ যুদ্ধ হিসেবে প্রমাণ করতে চান; আস্তিক, নাস্তিক, সরকারী দল কিংবা বিরোধী দলের আবরণে। ছড়িয়ে দেন দ্বিধাবিভক্তি দলের মাঝে। সাধারণ মানুষ জানে না, এতে তাদের কী লাভ! হয়ত গোপনে মাখনটা ঠিকই নিয়ে যান!

কবে থেকে চলে যাওয়া শুরু কেউ জানে না। এটা জানে গদি আঁকড়ে ধরা মানুষটি। বরাবরই নিশ্চুপ থেকে যায় এমন মৃত্যুর পরে।

২৭/০২/২০০৪; চলে গেলেন বহুমাত্রিক লেখক, ভাষা বিজ্ঞানী।
১১/০২/২০১২; চলে গেলেন সাংবাদিক দম্পতি।
২৭/০২/২০১৫; চলে গেলেন বিজ্ঞান লেখক।
৩১/১০/২০১৫; চলে গেলেন ফয়সল আরেফিন দীপন। আঘাত বুকে নিয়ে আজও হাসছেন আহমেদুর রশিদ টুটুল।

এসব হিসেবের বাইরেও মিছিলে অনেক মুখ, এতো রক্ত আর হিংস্রতা নিয়ে কিভাবে তুমি অন্ধ সাজো?

গণতন্ত্র পাঠ
ইমেল নাঈম

সেদিনও গণতন্ত্র বলতেই ভেসে আসতো একটি নিরাপত্তা বলয় আবিষ্ট বাড়ী, কিছু বালুর ট্রাক আর পুড়ে যাওয়া মানুষের শবযাত্রা। তোমরা মাটি ভালবাস বলেই পুড়িয়ে দিচ্ছিলে সবকিছু। মাটি পুড়লেও মানচিত্র বাঁচে তাই আজও মাটি কামড়ে চলেছ তা দিনের পর দিন।

দাবী পালটা দাবী, মিশন- ভিশন, সবকিছুই কি লোক দেখানো। জনগণের স্বার্থে পুড়িয়ে ফেলেছিলো আমাদের। বাতাসে ক্রমান্বয়ে বেড়েছিলো পোড়া গন্ধ। স্বস্তির খোঁজে দৌড়চ্ছিলাম দিগভ্রান্ত হয়ে। একদিকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ অন্যদিকে আন্দোলনের সংজ্ঞা না জানা একদল লোক।

কারো কারো জীবনের সব আয়োজন চলেছিলো ঘরের ভিতরের মনোরম পরিবেশে। হুকুম দিতে অন্ধ চোখে। মায়াকান্নার রোলে সাজাতে নতুন নাটক। তথ্য জানার অধিকারে টুঁটি চেপে ধরেছিলে নিজেদের স্বার্থে। সত্যি তুমি মহান, তোমার থেকেই শিখে নিয়েছি অত্যাধুনিক গণতন্ত্রের পাঠ।

ছিলো সকাল থেকে সন্ধ্যাবধী অনিশ্চিত এক জীবনের হাতছানি। এখনো ভয়ে থাকি আবার যে কোন দিন ফিরবে এমন গণতন্ত্র। যদিও পাশের ঘর থেকে এখনো ভেসে আসে শব্দগুচ্ছ, "ডেমোক্রেসি ইজ আ গভর্নমেন্ট অব দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল এন্ড ফর দ্যা পিপল।"

আমি তাড়াতাড়ি আটকে দিই দরজা জানালা। এই কথাটুকু ভুলে যেতে চাই অনেক ভুলের যাওয়ার মাঝে।

টক শো
ইমেল নাঈম

লাইট, ক্যামেরা, একশন বলা মাত্র টিভির পর্দা ছিঁড়ে শুরু হয়ে গেলো সার্কাস পার্টি। হাস্যোজ্বল উপস্থাপক এগিয়ে দিলেন দাবার ঘুটি ডানে। আলোচক বলেই যাচ্ছেন টিয়া পাখির মুখস্থ করা নামতা। বাম প্রান্ত দিয়ে প্রতিউত্তরে ক্ষোভ আর শ্লেষ ভেসে আসে। মাঝের জন বারবার থামিয়ে দেন আর মিটিমিটি হাসেন।

কার আছে কতো জোর, তা নিয়ে টেবিল চাপড়ে চলেছেন ক্রমান্বয়ে। খানিকটা উত্তাপ বাড়লেই আসছে বিজ্ঞাপন বিরতি।

ও'দিকে বিরামহীন পুড়ছে আটষট্টি হাজার গ্রাম, ভাতের দাম বাড়ছে ক্রমান্বয়ে...না খেয়ে মরেই গেলো কোন এক রহিমুদ্দিন। ঘরছাড়া হলেন গ্রাম্য নাপিত হরি রঞ্জন। সালিশি ব্যবস্থায় বলীর পাঠা হয়ে গেলো মাত্র পেকে ওঠা কৈশোর। মাওলানারূপী ভন্ডটা ধর্মের নামে চালিয়ে দিলো ব্যবসা। চতুর শিয়ালটা খেয়ে দিলো কৃষকের নির্মল হাসি।

Sunday 8 January 2017

মায়াজাল

মায়াজাল
— ইমেল নাঈম

হারিয়ে যাবার আগে বেজে ওঠে সাইরেন
হুইসিল পেরিয়ে গেছি সময়ের সাথে
নানাবিধ উপমায় বাঁধা আজ স্বপ্নিল অবয়ব।
কার দিকে তাকালে নামে ঘোর অন্ধকার...

ছবি কথা বলে, বুঝিনি স্বরলিপি তার
আমার কাছে লিখিত কিছু স্বপ্ন ছিলো
মাত্রাজ্ঞান সীমিত বলে হারিয়ে ফেলেছি
নিজের কাছে রাখা যাবতীয় অক্ষর,

শব্দবিন্যাসের উপর দখল নেই
কেনো পুষেছো চোখে এতো আগুন
লেলিহান শিখায় বাঁধা প্রান্তিক অবয়ব
গণিতের মাপে কষে রেখেছো ছক
যেনো সুযোগ পেলেই খামচে ধরবে

উড্ডীন পথেরও হিসাব রেখে দিই
মায়াজাল নেই, তবু রক্তক্ষরণ অনেক
সকালের অপেক্ষায় তাকাই সামনে
বেঁধে রাখি নিজেকে সামনের দিকে

হায় অনন্তকাল, তোমারও কী মায়াজাল!
বেঁধে রেখেছো সময়ের কাছে বন্দী করে...

Tuesday 3 January 2017

হারানো বিউগল

হারানো বিউগল
— ইমেল নাঈম

থেমে যায় অপরিণত প্রান্তরের রক্তাক্ত ক্ষতচিহ্ন...
বুকের খোলা বোতাম , সার্টের আস্তিন জুড়ে
টিকে থাকে অপরিপক্ব এক জোড়া হাহাকার।
সন্ধ্যার মেঘের প্রলেপে বুক বিদীর্ণ করা
শব্দ রোলে হারিয়ে ফেলেছি শঙ্খধ্বনির রেশ।

কেমন করে সব মিলে যায়। রূপকথার অলিখিত
শব্দমালা নিয়ে পালিয়ে গেছে,পলাতক আগন্তুকও
বাঁশির সুর নিয়ে হারিয়ে গেছে দূরের গতিপথে
হাহাকার নিয়ে বেঁচে আছি আনত রাতের কাছে

গল্পের বেশে প্রহসন নিয়ে যা বাঁচে তাই স্বপ্ন
এটিকে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে আটকে ফেলেছি
অনেক গল্প শেষে ক্লান্তির রাত আসে পৃথিবীতে
দীর্ঘ ঘুম জীবনের গল্প লিখি রাখি ছেঁড়া পাতায়
ঘুম ভাঙতেই দেখি রাতও অনেক বেশি দীর্ঘ...

ছদ্মবেশী রাত নীচে নামাতে নামাতে নিয়ে যাচ্ছে
অতল কোনো গহ্বরে, অবেলায় তাল হারিয়ে
ফেলা বাঁশিটিকে খুব মনে পড়ে, বারবার
মনে হয় কোথায় কী যেনো হারিয়ে ফেলেছি!