রূপকথার দেশ
ইমেল নাঈম
ভরসা রাখার বিজ্ঞাপন দেখে খুব হাসি পায়
নিজের উপরে আজও ভরসা রাখতে শিখিনি
কীভাবে বিশ্বাস রাখি তৃতীয় কোনো পক্ষে।
দিনান্তের গল্পে সিংহাসন আঁকতে ব্যস্ত শিল্পী
তাতে আঁকড়ে থাকার স্বপ্নে মশগুল রাজা,
এমন দৃশ্যপট দেখে ছোট্টবেলার গল্পের কথা
মনে পড়ে, রাজার পোশাক বানানোর গল্প...
সেই পোশাকে যাচ্ছেন উলঙ্গ রাজা, বুদ্ধিমান
সাজতে গিয়ে ভুলছি গাইতে সত্যের জয়গান।
কেউকেউ সেই অবুঝ বাচ্চার মতো চিৎকার
করে উঠলে, নেমে আসে তার উপর খড়গ,
অদৃশ্য গদাঘাতে নুয়ে যাচ্ছে সমাজের মাথা।
রাস্তার ধারে বনসাই দেখে গাই সভ্যতার বুলি
জাদুঘরে স্থান হারিয়ে তারা এখন রূপকথায়।
রোজ বিদ্যুতের আগমনী সঙ্গীত শুনতে আর
মেগাওয়াটের অংকে ঘামে ভিজে রোমকূপ।
শিক্ষক যায় জেলখানায় দুর্নীতির অভিযোগে।
পেশাদারী রাজনীতিবিদ লিখেন চিত্রনাট্য
দুর্বল চিত্রনাট্যে তাপ বাড়ে জ্যৈষ্ঠে চা'র কাপে
প্রহসন ভেবে ঘুম ভাঙেনা রূপকথার দেশের,
মানুষগুলো অল্পতে খুশি, বেকারত্ব বোঝা
আলগাতে তারা খুশি, মূল্যবৃদ্ধির সাথে খাপ
খাইয়ে চলার মাঝে তারা খুশি। নিজের
শখ আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে তারা আনন্দিত।
এই রূপকথার দেশটার টাকশাল লুটে যায়
টাকশাল আগুনে পুড়ে যায়, প্রতিদানে মন্ত্রী
রোজকার সুরে ভাঙা রেকর্ডার বাজিয়ে যান
জনগণ চুপচাপ মাথা নামিয়ে মেনে নেয়।
দেশটা রূপকথার, মানুষগুলো খুব অন্যরকম।
প্রকাশকালঃ ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪