Friday 29 January 2016

পথ

থেমে যেতে অনেক সময় লাগে
আবার চলার পথে দেখা হয়
চোখ মেলে তাকাতে হারিয়ে যাও
চাঁদ জানে, পুড়ে গেলে বাকি পথে
ঈর্ষা নামের কানাকানি বেরোয়।

পথ আগলে রাখে মায়া ফড়িং।
প্রতিনিয়ত পিছু নিয়ে ছুটছে
স্বপ্ন মেদুর ছোঁয়ার ব্যর্থতার
প্রয়াসে তাতে রাখো বকুল ফুল...
পড়ার টেবিলে অযত্নের কাব্য

হারাতে বসলেই উঠে দাঁড়াই
সব দাঁড়ানোর অর্থ এক নয়
মানে বদলানোর সুখে আহত
হয়ে ফিরে আসি অনির্ণীত পথে

ভাবি, কী করে চেনাজানা রাস্তাটা
মুহূর্তে অচেনা হয়ে গেলো এতো!

Wednesday 27 January 2016

পড়শি কে

ডান বাম করতে করতে সময় চলে যায়। একদলা কথা গলায় বেঁধেছে সংসার। নিচেও নামে না, আবার বেরিয়েও আসে না। উভয় সংকটে পেরিয়ে যায় সূর্যোদয়। দেখা সাক্ষাতে প্রতিটা মুহূর্ত যেন বিরক্তিকর দাপ্তরিক, কাজের কথা আর কাজ বুঝে নিয়েই বিদায়।

পাশের ফ্ল্যাট, তবুও মনে হয় কতদূর। কোনো একদিন সকালে মর্নিং ওয়াকে দেখা না হলে, মনে হয় কতদিন দেখা হয় নি। আর সন্ধ্যায় ক্লাশ শেষে বাড়ী ফিরে ছাদ আর মামার টঙ দোকানের কৌণিক দৃষ্টিপাতটুকু দেখেও না দেখার ভান...সবটাই বুঝি, মৌন সমর্থন। তবুও আগাতে শিখি নি দুই পা।

প্রতিদিন ইচ্ছে করেই তোমার ফ্ল্যাটে ডোরবেল বাজাই, কখনো তুমি খোলো আর বাকিটা সময় অন্যকেউ। খোলা মাত্রই ঘরের চাবিটা, নয়তো গতকালের পত্রিকাটা খোঁজ করেই ফিরে আসি। আর তুমি সামনে দাঁড়ালে ভুলে যাই গল্প বিজ্ঞান। তখন নিজের উপরে অভিমান জন্মে। আর তুমিও সব বুঝে মুচকে হাসিতে দরজা বন্ধ করে দাও।

দরজা বন্ধ হলে আঘাতের চিহ্নটুকু উপলব্ধি করি। সুখের আঘাত, আমি ছাড়া বাকিটা কেউ জানে না। আর জানে পড়শি।

পড়শি কে

ডান বাম করতে করতে সময় চলে যায়। একদলা কথা গলায় বেঁধেছে সংসার। নিচেও নামে না, আবার বেরিয়েও আসে না। উভয় সংকটে পেরিয়ে যায় সূর্যোদয়। দেখা সাক্ষাতে প্রতিটা মুহূর্ত যেন বিরক্তিকর দাপ্তরিক, কাজের কথা আর কাজ বুঝে নিয়েই বিদায়।

পাশের ফ্ল্যাট, তবুও মনে হয় কতদূর। কোনো একদিন সকালে মর্নিং ওয়াকে দেখা না হলে, মনে হয় কতদিন দেখা হয় নি। আর সন্ধ্যায় ক্লাশ শেষে বাড়ী ফিরে ছাদ আর মামার টঙ দোকানের কৌণিক দৃষ্টিপাতটুকু দেখেও না দেখার ভান...সবটাই বুঝি, মৌন সমর্থন। তবুও আগাতে শিখি দুই পা।

প্রতিদিন ইচ্ছে করেই তোমার ফ্ল্যাটে ডোরবেল বাজাই, কখনো তুমি খোলো আর বাকিটা সময় অন্যকেউ। খোলা মাত্রই ঘরের চাবিটা, নয়তো গতকালের পত্রিকাটা খোঁজ করেই ফিরে আসি। আর তুমি সামনে দাঁড়ালে ভুলে যাই গল্প বিজ্ঞান। তখন নিজের উপরে অভিমান জন্মে। আর তুমিও সব বুঝে মুচকে হাসিতে দরজা বন্ধ করে দাও।

দরজা বন্ধ হলে আঘাতের চিহ্নটুকু উপলব্ধি করি। সুখের আঘাত, আমি ছাড়ক বাকিটা কেউ জানে না। আর জানে পড়শি।

পড়শি কে

ডান বাম করতে করতে সময় চলে যায়। একদলা কথা গলায় বেঁধেছে সংসার। নিচেও নামে না, আবার বেরিয়েও আসে না। উভয় সংকটে পেরিয়ে যায় সূর্যোদয়। দেখা সাক্ষাতে প্রতিটা মুহূর্ত যেন বিরক্তিকর দাপ্তরিক, কাজের কথা আর কাজ বুঝে নিয়েই বিদায়।

পাশের ফ্ল্যাট, তবুও মনে হয় কতদূর। কোনো একদিন সকালে মর্নিং ওয়াকে দেখা না হলে, মনে হয় কতদিন দেখা হয় নি। আর সন্ধ্যায় ক্লাশ শেষে বাড়ী ফিরে ছাদ আর মামার টঙ দোকানের কৌণিক দৃষ্টিপাতটুকু দেখেও না দেখার ভান...সবটাই বুঝি, মৌন সমর্থন। তবুও আগাতে শিখি দুই পা।

প্রতিদিন ইচ্ছে করেই তোমার ফ্ল্যাটে ডোরবেল বাজাই, কখনো তুমি খোলো আর বাকিটা সময় অন্যকেউ। খোলা মাত্রই ঘরের চাবিটা, নয়তো গতকালের পত্রিকাটা খোঁজ করেই ফিরে আসি। আর তুমি সামনে দাঁড়ালে ভুলে যাই গল্প বিজ্ঞান। তখন নিজের উপরে অভিমান জন্মে। আর তুমিও সব বুঝে মুচকে হাসিতে দরজা বন্ধ করে দাও।

দরজা বন্ধ হলে আঘাতের চিহ্নটুকু উপলব্ধি করি। সুখের আঘাত, আমি ছাড়ক বাকিটা কেউ জানে না। আর জানে পড়শি।

Monday 25 January 2016

দিনলিপি

আমার প্রেমিকাদের তালিকা করলেই উঠে আসে কুয়াশামাখা সকাল। আলো নেই, সূর্যের উত্তাপে মৌন আবেদন নেই। অথচ দৃশ্যমান শব্দ কল্পনা। মাঝেমাঝে এই আধ ঘুমন্ত শহরটাকে খুব আপন লাগে, সাজানো গোছানো ছিমছাম, পাহাড়িয়া পথে সিলিং এর কাজ রাস্তার দু’পাশে গাছের সারি। ইট, সিমেন্টের সভ্যতা আঘাত হানলেও তা মুছে দেয় নি স্পর্শ আর বোকা বোকা নির্ভেজাল চাহনি কে। 

এখন কান পেতে বাতাস শুনি না। চাপা কষ্টের কিছু অনুরণন এসে হানা দেয় আমার চোখে। কান্নার শব্দ পাই। অনুমান করি এর হেতু। হাইপোথেটিক্যালি চুলচেরা বিশ্লেষণ করি। এনালিটিক্যালি কোনো কারণ জমা থাকে না অন্দরে, মন খারাপের গল্পের ছোটাছুটি চলতে থাকে কিছুটা সময়। এই শহরটা আমার প্রেমিকা। আগ্রাবাদ এক্সেস রোড পেরিয়ে যেখানেই যাই তাই আমার কৈশোর। 

এরপর দশ নাম্বার বাস চেপে চলে যাওয়া জিইসির পথে। মূল সড়কের ডানে বামে অনেক কানাগলি, যা লিখে রাখে শিল্প ও ঐতিহ্য। চকবাজারের দুপুরকালের জাম পেরিয়ে হেঁটে যাওয়া চট্টেশ্বরি রোড হয়ে সারসন গলি। আহ, ইতিহাস জীবন্ত হয়ে দুপুরের নামতা শেখাও।

রাস্তার পাশে টঙ দোকান। চা আর বেনসন পুড়িয়ে দিতেই অজস্র প্রশ্নের ভিড় খেলে যায় দরজাহীন কক্ষে। বহুগামিতার অংকে কষে ফেলি যোগ বিয়োগ। ভাবনায় পরে যাই কে আমার প্রেমিকা, কার জন্যই এই উদ্দেশ্যহীন এই পথচলা। তীব্র যন্ত্রণার জন্ম দিয়েই শেষ হয়ে যায় আমার দিন। বাকিটা সময়ে শুধু অনুভব করি, পাহাড়ের নির্জন ডাক, সমুদ্রের তীব্র কোনো হাতছানি।

Sunday 24 January 2016

নীতিকথা

কবিতা লিখুন ফুল নিয়ে, ফল নিয়ে, প্রেম নিয়ে। চাইলে হালকা করে যৌনতা কে ঢুকিয়ে দিন। প্রাসঙ্গিক হলে ভিন্ন স্বাদের মজা লুটে নিবে লুটেরা। অপ্রাসঙ্গিক হলে বেচা বাট্টা ভালই। প্রচার মাধ্যম হিসেবে মুখবই, সস্তাদরের ই-পত্রিকার পাশাপাশি নামীদামী অনলাইন পত্রিকা খারাপ না। কানেকশন থাকলে সুবহে সাদিকেও নাকি প্রবেশাধিকার মিলে যায়।

প্রেম নিয়ে কবিতা লিখুন, পিঠ চাপড়ে দেবার অনেক আঙুল আছে অবশিষ্ট। ভালোলাগা আর ছড়িয়ে দেয়ার ফাঁকে প্রচারণাপত্র ছাপার অক্ষরে জ্বলজ্বল করবে। খুশিতে গদগদ হয়ে কাটাবেন দিনের সবটা সময়। গোপনঘরে সুন্দর মুখের সাথে প্রেমালাপে কেটে যাবে সময়। পত্রিকার পাতায় বাড়বে চাপ, একের পর এক লিখে চলবেন কলমের জোরে।

যদি প্রেম না এঁকে দ্রোহ আঁকেন, কবিতা যদি লিখা হয় দেশ নিয়ে! রাজনৈতিক অস্থিরতা কে কলমের জোরে সাজাতে চান অবেলায় তবে খোদার কসম সত্যি বলছি আপনার পাশে থাকা নীতিবান লোকটিকে মনে হবে ধান্ধাবাজ, দেশ প্রেমিক লোকটির আয়োজন দেখে মনে হবে লোক দেখানো উৎসব।

যে কোনো অপশাসনের বিরুদ্ধে ন্যায়ের বুলি ঝরানো প্রকাশকও হয়তো বা টিনের চশমা পরে কবিতা পড়বেন, দিন শেষে আবিষ্কার করবেন আপনার সামনে চমৎকারভাবে পিরানহা'র মতো হা করে তাকিয়ে আছে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা।

Friday 22 January 2016

ডিজুস

ভুল ঠিকানায় চিঠি অনেক দিন আসে না। রং নাম্বারে টেলিফোন। কিম্বা টাকার মাঝে নাম লিখে দেয়ার নির্মল বিনোদন। হাজারটা অজুহাত, সারারাত জেগে থাকা চোখ, ডিজুস মোড়কে। তারুণ্যের ভাষায়, ঢুকিয়ে দেওয়া মায়াবী বিষ। পচে যাওয়া আনন্দের ভিড়ে খোলা আকাশের কনসার্ট। সারারাত কথোপকথন মাত্র পৌনে তিন টাকা।

কিশোর মন জড়তা ভাঙার গল্প শুরু। সাহস করে সামনে দাঁড়ানো। অপরিপক্ব শুরু, তবুও রাত ভোর হয়ে আসে। ঘুম চোখে কলেজ বাস, ক্লান্তি নেমে আসে পৃথিবীর বুকে। ক্যাফেটেরিয়ার গরম সিঙ্গারা, চায়ের কাপ, বন্ধুদের সাথে আড্ডায় উঠে আসা নৈশকালীন স্মৃতিরোমন্থন।

স্মৃতির ভিড়ে ভুলে যাওয়া সময়। গা ভাসিয়ে দেওয়া প্রণয়। লুকিয়ে থাকা বয়ঃসন্ধিকালের ভুল, সদ্য জন্ম নেওয়া গোফ, ক্ষুরের দাগ নিতে শেখা গাল, অভিভাবকের টেনশন অন্যতম কারণ। সময়ের অভিশাপে হারিয়ে ফেলা নৈশকাল, এখনো প্রিয়তী নামের একটা নাম স্মৃতিকোঠা জুড়ে খেলে যায় ভাঙনের খেলা।

ডিজুস

ভুল ঠিকানায় চিঠি অনেক দিন আসে না। রং নাম্বারে টেলিফোন। কিম্বা টাকার মাঝে নাম লিখে দেয়ার নির্মল বিনোদন। হাজারটা অজুহাত, সারারাত জেগে থাকা চোখ, ডিজুস মোড়কে। তারুণ্যের ভাষায়, ঢুকিয়ে দেওয়া মায়াবী বিষ। পচে যাওয়া আনন্দের ভিড়ে খোলা আকাশের কনসার্ট। সারারাত কথোপকথন মাত্র পৌনে তিন টাকা।

কিশোর মন জড়তা ভাঙার গল্প শুরু। সাহস করে সামনে দাঁড়ানো। অপরিপক্ব শুরু, তবুও রাত ভোর হয়ে আসে। ঘুম চোখে কলেজ বাস, ক্লান্তি নেমে আসে পৃথিবীর বুকে। ক্যাফেটেরিয়ার গরম সিঙ্গারা, চায়ের কাপ, বন্ধুদের সাথে আড্ডায় উঠে আসা নৈশকালীন স্মৃতিরোমন্থন।

স্মৃতির ভিড়ে ভুলে যাওয়া সময়। গা ভাসিয়ে দেওয়া প্রণয়। লুকিয়ে থাকা বয়ঃসন্ধিকালের ভুল, সদ্য জন্ম নেওয়া গোফ, ক্ষুরের দাগ নিতে শেখা গাল, অভিভাবকের টেনশন অন্যতম কারণ। সময়ের অভিশাপে হারিয়ে ফেলা নৈশকাল, এখনো প্রিয়তী নামের একটা নাম স্মৃতিকোঠা জুড়ে খেলে যায় ভাঙনের খেলা।

জীবন

সরল অংকের মতো আমাদের মোটেও ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় -
মধ্যমা প্রসারিত হলে মুখ নিঃসৃত সবুজ পাটাতনে ছড়ানো শব্দ
আছড়ে পরে হতাশায়, পরিচিত মহলে তার কোনো ডাকনাম নেই
এখানে শব্দের বিপরীতে স্বপ্ন, স্বপ্নের বিনিময়ে অট্টালিকার সারি।

আকাশ ছোঁয়ার ব্যর্থ প্রয়াসে মাথা উঁচু করতেই সমাপ্তি টানা যায়।
অসাড়তার পরিবর্তে নতুন কোনো উপাখ্যানের জন্মান্তর লেখেনি
মিথ্যে শানশৌকত অবহেলিত অচল মুদ্রার মতো পরে থাকে কোণে
প্রকৃত সত্য মধ্য বিন্দুতে হাসেন, কেউ দেখে না অন্ধত্বের আবরণে।

মোহবন্দী সবাই ছুটেছে, গন্তব্য পড়তে পারে না গণক টিয়া পাখি
ফুটপাত জুড়ে রকমারি দোকান, হাতিয়ে নিয়ে পারে মাসের সব
সারাদিনের দৌড়ের শেষে অচল হওয়া দেহটি শ্বাসপ্রশ্বাস ছাড়ে
চোখটুকু জেগে থাকে, তার কোনো ক্লান্তি নেই বরং সকালের অপেক্ষা...

সকাল হতেই আবার ছুটে চলা চেনা পথে অচেনা জীবনের টানে
পুরোটা যুদ্ধক্ষেত্রে অপ্রস্তুত যোদ্ধা ছুটে চলে সময়ের হাতেখড়িতে
বিজয় নামক শব্দটি খুব কাছের কিন্তু স্বপ্ন বলেই ডাকে সবাই।

জীবন

সরল অংকের মতো আমাদের মোটেও ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় -
মধ্যমা প্রসারিত হলে মুখ নিঃসৃত সবুজ পাটাতনে ছড়ানো শব্দ
আছড়ে পরে হতাশায়, পরিচিত মহলে তার কোনো ডাকনাম নেই
এখানে শব্দের বিপরীতে স্বপ্ন, স্বপ্নের বিনিময়ে অট্টালিকার সারি।

আকাশ ছোঁয়ার ব্যর্থ প্রয়াসে মাথা উঁচু করতেই সমাপ্তি টানা যায়।
অসাড়তার পরিবর্তে নতুন কোনো উপাখ্যানের জন্মান্তর লেখেনি
মিথ্যে শানশৌকত অবহেলিত অচল মুদ্রার মতো পরে থাকে কোণে
প্রকৃত সত্য মধ্য বিন্দুতে হাসেন, কেউ দেখে না অন্ধত্বের আবরণে।

মোহবন্দী সবাই ছুটেছে, গন্তব্য পড়তে পারে না গণক টিয়া পাখি
ফুটপাত জুড়ে রকমারি দোকান, হাতিয়ে নিয়ে পারে মাসের সব
সারাদিনের দৌড়ের শেষে অচল হওয়া দেহটি শ্বাসপ্রশ্বাস ছাড়ে
চোখটুকু জেগে থাকে, তার কোনো ক্লান্তি নেই বরং সকালের অপেক্ষা...

সকাল হতেই আবার ছুটে চলা চেনা পথে অচেনা জীবনের টানে
পুরোটা যুদ্ধক্ষেত্রে অপ্রস্তুত যোদ্ধা ছুটে চলে সময়ের হাতেখড়িতে
বিজয় নামক শব্দটি খুব কাছের কিন্তু স্বপ্ন বলেই ডাকে সবাই।

Wednesday 20 January 2016

নিষিক্ত অবিন্যাস

একদিন ক্ষতবিক্ষত শরীরে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে উঠে এসে ছুঁড়ে দিলাম ফ্লাইং কিস। চুম্বন টুকু পৌঁছোবার আগেই বিষে লীন হয়ে ওঠে শরীর। গোলাপ বাগানের রূপান্তর হয় আফিম বনে। বিজেতার পরাজয়ে ভ্রান্ত বিলাপে আটকে যায় কল্পনা বিজ্ঞান।

অগ্রন্থিত এক মুঠো কাগজে অনেক লিখাই বাকি। সাদাকালো পাতার দৃশ্যপট, ধুলোর ক্যানভাসে প্রেমিকার হাসি মুখ মলিন হতে হতে মুছে যায়। অনুপ্রেরণার প্রয়াসে আটকে যাওয়া পরিণতি, তার সামনে এসেই পরাজিত হই মুহূর্ত ব্যতিরেকে।

গোলাপের বাগানের ঝরাপাতা জানে নিষিদ্ধ অবয়বে রেখে যাওয়া বুনো আসক্তির ইতিহাস। ক্ষতবিক্ষত শরীরের পরতে একটা অলিখিত যুদ্ধের সত্য ঘটনা থাকে। অপ্রকাশিত বলেই অনেকে রূপকথা বলে হেসে উড়িয়ে দেয়।

আর অবহেলিত ফ্লাইং কিস রানওয়ের ট্রাফিকে আটকে পরে শূন্যে ওড়ে।

Tuesday 19 January 2016

নিষিক্ত অবিন্যাস

একদিন ক্ষতবিক্ষত শরীরে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে উঠে এসে ছুঁড়ে দিলাম ফ্লাইং কিস। চুম্বন টুকু পৌঁছোবার আগেই বিষে লীন হয়ে ওঠে শরীর। গোলাপ বাগানের রূপান্তর হয় আফিম বনে। বিজেতার পরাজয়ে ভ্রান্ত বিলাপে আটকে যায় কল্পনা বিজ্ঞান। 

অগ্রন্থিত এক মুঠো কাগজে অনেক লিখাই বাকি। সাদাকালো পাতার দৃশ্যপট, ধুলোর ক্যানভাসে প্রেমিকার হাসি মুখ মলিন হতে হতে মুছে যায়। অনুপ্রেরণার প্রয়াসে আটকে যাওয়া পরিণতি, তার সামনে এসেই পরাজিত হই মুহূর্ত ব্যতিরেকে।

গোলাপের বাগানের ঝরাপাতা জানে নিষিদ্ধ অবয়বে রেখে যাওয়া বুনো আসক্তির ইতিহাস। ক্ষতবিক্ষত শরীরের পরতে একটা অলিখিত যুদ্ধের সত্য ঘটনা থাকে। অপ্রকাশিত বলেই অনেকে রূপকথা বলে হেসে উড়িয়ে দেয়। 

আর অবহেলিত ফ্লাইং কিস রানওয়ের ট্রাফিকে আটকে পরে শূন্যে ওড়ে।

Monday 18 January 2016

পরশ্রীকাতর

বিশাল বটবৃক্ষ, তার নিচে শ্যাওলা জমে, ছত্রাক জন্মায়, পিঁপড়া দৌড়ে। স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে ওঠে বৃক্ষের গা। শিকড়ের প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে যায় নেংটি ইঁদুর। তুমি সব কিছু বাদ দিয়ে দেখো বৃক্ষের দিকে। বিনয় দেখো, দেখো তার পাণ্ডিত্য। দেখো শ্যাওলাগুলো, ফাঙ্গাস জমা সবুজ বর্ণগুলো, লাল পিঁপড়া কিম্বা আশ্রিত কোনো নিরপরাধ প্রাণীকে, বটবৃক্ষকে ব্যবহার করে বেঁচে থাকা প্রাণ।


একদিন দেখবে শ্যাওলাদের জড়ো হওয়া সমাবেশ, ছত্রাকের ক্রমাগত বংশবিস্তারে, আরো স্যাঁতসেঁতে হয়ে ওঠা গা। একসময় মিথ্যে অহমিকায় নিজেরাই নিজেদের বৃক্ষ মনে করে গড়ে তোলে সমবায় সমিতি। ইঁদুরটি নিজেকে ভাবে পাইথন, পিঁপড়েটি বাঘ। নিজেদের মাঝে গড়ে ওঠা প্রেমে ক্রমশ রাজনীতি এসে যোগ দেয়। সুন্দরের চেয়ে বহুগুণ বাড়ে অসুন্দর। পরশ্রীকাতরতা এখানে বাসা বাঁধে অবলীলায়। উদারতার গল্প হারিয়ে গেছে কঠিন কোনো পুস্তকের পাতায়.... এখানেও রাজনীতি , স্বজনপ্রীতি , হিংসা লালিত হয়.... টিকে থাকে সত্ত্বার ভিতর আর বাইরের মাঝে বিশাল পরিবর্তন।

বট বৃক্ষটি নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। আহত হয়, কাঁদে, দুঃখ প্রকাশ করে। অমরত্বের এই সাধনাটুকু গন্তব্যহীন পথে যাত্রা। এখানে থেমে যাওয়াই গন্তব্য ঠিক করে দেয় আবার ছুটে চলার পিছেই লুকানো থাকে অচেনা অনন্ত এক যাত্রাপথ। যার শুরুটা মোটামুটি সবার জানা থাকলেও শেষ বিন্দুটার অবস্থান কোথায়, কেউ দেখে নি।


প্রকাশিতঃ আই পোয়েট পত্রিকা।

Sunday 17 January 2016

আমিত্ববোধ

পথ চলতে চলতে অকারণে থেমে যাই
এখনো অনেক কিছুই দেখা বাকী অথচ
কুকুরটা প্রতিদিন ঘরের সামনে দাঁড়ায়
মাছি তাড়ানোর মতোই সরে যেতে বলি
জিহ্বা বের করে তাকিয়ে থাকে নির্বিকার
আমি চোখের ভাষা বুঝি না একদম...

আজ সকালে একমুঠো ভাত ছিটালাম
লেজ নাড়লো অথচ কিছুই খেলো না
আনন্দের ভাষা বুঝে মাথায় হাত
বুলাতে বুলাতে বললাম, এখানে কী ব্যাটা?
মুহূর্তেই শরীরের সাথে লেপটে গ্যালো

কেউ কখনো এভাবে আমার সাথে
অঙ্গাঙ্গীভাবে মিলেমিশে যেতে চায় নি
প্রাক্তন প্রেমিকারা দূর থেকে ভালবেসে
দূরেই হারিয়ে গ্যাছে। আমিও বদলাতে
বসে শ্রান্ত হয়ে এখানে দাঁড়িয়ে একাকী।

বর্তমানে আমি আর আমিত্ববোধে ডুবেছি
কুকুরটিও আমার ঘরে ঢুকতে চাইছে
জানি না, অনিশ্চিত জীবনে তার প্রয়োজন
কতটা অলিপিবদ্ধ অবস্থায় শানিত আছে।

Wednesday 13 January 2016

ভূগোল পাড়ি

সবকিছুর থেমে যাওয়ার নিয়ম আছে
শুধু আমরাই শিখি নি দাঁড়ি, কমা।
সেমিকোলন টুকু মেনে নিয়ে উঠে
দাঁড়াই, চোখমুখ বন্ধ করে হামলে পড়ি
আমরা কেউ জানি না পথের শেষ,

পথ মাপি নি তথাকথিত গল্পের
এখানে নায়ক নেই, নায়িকাও নেই
ভিলেইন চরিত্রেও কারো নাম লিখি নি
তবুও দাঁত আর নখের ব্যবহার
করে চলেছি বিরতিহীন,
আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত সময় বয়

সোনালি চুলের ভাঁজে ভাঁজে থাকে
প্লাস্টিক হাসি, আন্তরিকতার মোড়কে
লেপটে গেছে কিছু অচেনা মুখ
আপন ভাবতেই হারিয়ে যায় হাত
কিছু আঁকড়ে ধরতে বসে, বুঝি ভুল।

চারপাশে কতশত সাধারণ মানুষ
তবুও নিজেকে প্রকাশ করে চলেছে
আঙুল উঠিয়ে, ঠোঁট বাঁকিয়ে।
কাউকে বিশ্বাস করতে ভয়,
কিন্তু অবিশ্বাসে মৃত্যু ঘটে পৃথিবীর

আমি এদের সাথেই সংসার পাতি
যাযাবর পাখি হয়ে ভূগোল দিই পাড়ি।

ঈশ্বর প্রেম

আমি এক ঈশ্বর কে ভালবাসি
যিনি আগে কবিতা লিখতেন
কবিতায় প্রেম, দ্রোহ, সমাজ
রাজনীতি নিয়ে গড়েছিলেন স্বর্গ...
...এখন আর লিখেন না কিছুই।

একদিন টুপ করে ঈশ্বরের কোলে
চড়ে বলি, আমার সাথে প্রেম করবে?
উনি কিছু না বলে নীরব থাকেন।

আর দিন শেষে নিজেকে আবিষ্কার
করি জাহান্নামে, কে যেন শূলে
চড়িয়ে রেখে গেছে এখানে
আমি নরকের আগুনে পুড়তে পুড়তে
খলখল করে হাসতে থাকি
প্রেম চোখে ঈশ্বরের দিকে তাকিয়ে।

Friday 8 January 2016

ভাগ্য

থেমে যেতে যেতে পিছনে ফিরি
লোকচক্ষুর অন্তরালের গল্পটা অচেনা
মিথ্যের পাহাড় গড়ে বিনম্র চোখ
ভুলটুকু সখ্য পাতে হুড়মুড়িয়ে

যেও না - কেউ ডাকে না আর
তবুও পিছনে তাকাই
কিছু পাবো না, অনেক পুরনো কথা
সত্য নীরবে হাসেন ব্যর্থতা দেখে

অর্গল ছিঁড়ে বেরোতে চাইলে
লাগাম টেনে ধরে মধ্যবিত্ত মন
কেউ কারো নয়, শব্দটা অমোঘ সত্য।
একুরিয়াম জলে ভাসা স্বাধীন মাছ
অক্সিজেন আর খাবারের নেই তাড়া

আমি তো কারো জন্য পথ মাপছি না
তবুও কেউ একজন নিষ্ঠুর কলমে
অমোচনীয় কালিতে লিখছে ভাগ্য...

Wednesday 6 January 2016

আঙুলের বিজ্ঞাপন

খালি আছে বরাবরের মতোই। কেই বা ধরেছিলো কবে? বেশি প্রত্যাশা জমা নেই আস্তিনে, দস্তানা মুড়ে দেয় বরফ কাল। উষ্ণতা খুঁজতে থাকা পরিযায়ী চোখ দেখেও বোঝে না অনেক কিছু। প্রান্তিক সময়ের হাঁটাচলা, বয়স এসে জানান দেয় সূর্যতাপ। মধ্যাহ্ন জানে অনেক না জানা কথা।

মাটির পথ, এখানে খড়ের সমাবেশে আগুন জ্বলে। সেখানে তাপ পোহায় অনেকে। আমি কাছে যাই না, দূরে দাঁড়িয়ে দেখি। ছোট বাচ্চাদের দিকে তাকালে নিজের কথা মনে হয়, শৈশব কালের স্মৃতির আড়ালে নীরবে কারো ছায়া চলে আসে সঙ্গোপনে।

কৈশোর কাল সত্যি আনন্দের, আনন্দের মাঝেই ঘোরাঘুরি। মার্বেল ছেড়ে ক্রিকেট ব্যাট আর ফুটবল। বালিকারা তখনই হঠাৎ যুবতী হয়ে যায়। আর ক্রমশ গুটাতে থাকে চার দেয়ালে। কৈশোর অধ্যায় আসার আগেই একটা সখ্য গড়ে ওঠে একজনের সাথে।

নাম তার চামেলি, আমি অবশ্য লিলিথ বলেই ডাকতাম। লিলিথ কে? এই প্রশ্ন জিজ্ঞাস করলে নীরব থাকতাম। বাকহীনতার এই মানে আমার আজও জানা হলো না।

লিলিথ এখন ব্যস্ত সংসারী। অনামিকায় এখনো ঝুলছে একটা আংটি। প্রতিদিন বিকালে ছোটোবাচ্চার জামা রোদে শুকিয়ে ঘরে নেয়। ও'দিকে আমার আঙুল আজও খালি। খালি আছে অনেক দিন। খালি থাকে না সম্পর্কগুলো, ব্যথা বোঝে শীতের পাখি।

Monday 4 January 2016

অন্ধকার ৮

চলুন বৃক্ষ কেটে গড়ে তুলি সিমেন্ট সভ্যতা। পাহাড় কে সমতায়নের সূত্রে মিশিয়ে দিই মাটিতে। একে একে গড়ে তুলি আকাশ ছোঁয়া বাড়ী। অক্সিজেনের পরিমাণ কমুক আরো। নির্মল বাতাসের কী এমন দরকার! উড়ে চলুক রাস্তা দিয়ে চার চাকার যান। শীশা ভরিয়ে দিক আমার আকাশ। এসিড রেইন কে রূপকথা ভেবে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন করি। বর্জগুলো ঢেলে দিই নদীতে। মাছেরাও শিখুক ভেজাল খেতে।

ওজোনস্তর বাড়া কমায় কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নেই পানির স্তর বাড়া কমায়। আধুনিকতার মোড়কে হারিয়ে গেছে গ্রামীণ সভ্যতা। প্রকৃতি হচ্ছে অসহায়। ওদিকে সভ্যতার দরজা খুলুক, পারমানবিক সভ্যতা। টিকে থাকার মন্ত্রে সেও আজ নির্ভরতার প্রতীক। অস্ত্রের ঝনঝনানি তে বেঁচে থাকুক ব্যবসা। অস্ত্রের বেচাকেনায় টিকে থাকুক অর্থনীতি।

সহ্যের পরীক্ষা দিতে দিতে ক্লান্ত পৃথিবী। বুড়ো শরীরে মানিয়ে নিতে নিতে দুলে উঠছে খুব। প্রতিটা দুলুনি তে কেঁপে উঠছি আমরা। বিভীষিকা পেরিয়ে না যেতেই আবার দুলুনি খাচ্ছি। ভয়ে মিশে যাচ্ছি নিজেরই ভিতরে। দু'দিন বাদে হাসি ঠাট্টায় মাতিয়ে তুলছি চারপাশ।

নিজের স্বার্থে ভুলে যাই প্রকৃতির সব আয়োজন। চারপাশ সাজিয়ে নিই নিজেদের মতো করে। কমে যেতে থাকে সবুজের পাঠশালা। কমতে কমতে শূন্যের কোঠায় পৌছে যায় সবটা সুন্দর্য। আর্টিফিশিয়াল রূপসজ্জায় সাজিত পৃথিবীও জানিয়ে দেয় ক্রোধের সীমারেখা। এরপর খবরের কাগজ আর নিউজ চ্যানেলের কাটতি বেড়ে যায় একে একে। কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে একে নিয়েও করে চলেন নিষ্ঠুর রসিকতা।

Saturday 2 January 2016

অন্ধকার ৭

সাজানো গোছানো পাণ্ডুলিপি! সুনিপুণ অভিনয় বোঝে নি আঙুল। রাতের আঁধারে বদলে যায় পতাকা। বিশ্বাসের বদলে প্রতারণার খেলা। নাট্যকার লর্ড বেলফোর। আর এটায় তাশের কার্ড হেইজ বাইজম্যান। কৃত্রিম ফসফরাস দিয়ে দিলো জোর খুঁটি, উপেক্ষিত বিশাল জনরাশি। দিনের আলো উঠতেই দেখে কেউ নেই তার, ভিটেমাটি দখলে।

হাগানাহ, ইরগুন, স্ট্যার্ন গ্যাং নামগুলো অচেনা, কিন্তু কেউ কেউ ঘৃণায় লিখে রাখে তাকে। থুতু ছিটিয়ে দেয় বিতৃষ্ণায়। সন্ত্রাসী তো শুধু বিপক্ষের কেউ। নিজদল হলে চোখ বন্ধ করে চুপ থাকো। আত্মাহুতি জানে জীবনের রঙ কালচে বিষাদ। মৃতদেহ জানে দেশ প্রেম আর বিভেদের সংজ্ঞা।

উত্তর আটলান্টিকের দ্বীপ হতে উড়ে আসে শকুন আর নেকড়েবাঘ। এরপর রাতের অন্ধকারে বের করে দেয় নিরস্ত্র সব মানুষকে। এরপর জলপানি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ লাইনের বিচ্ছেদ জীবনকে দিয়েছে তিক্ততার স্বাদ। এভাবেই একদিন রাতের অন্ধকারে জন্ম নিলো পৃথিবীর প্রথম অবৈধ সন্তান।

জন্ম সালটা ১৯৪৮, তারিখের কাটা ১২ মে, সময় ১২ টা বেজে ১ মিনিট। আর তার নয় মিনিট পরেই তার পিতৃত্ব নিজ কাঁধে নিলেন "এ প্লুরিবুস উনুম"।

চিত্রশিল্পী

প্রাপ্তির খাতায় আঁকলো বিশাল শূন্য
হারিয়ে যাওয়া শীতকাল জানলো না
সবুজ মনের আকুলতা, প্রেমহীন
অশান্ত মনের অহেতুক বাড়াবাড়ি।

ইচ্ছেমত নিজেকে ভাঙতে বসে দেখি
ভুলে গেছি গড়বার সূত্র, চুরি গেছে
অনেক কিছু, নতুন কোনো ভোর নেই।
মিথ্যে অজুহাতে গড়ছি মস্ত পাহাড়
হারিয়ে যাওয়া দিনের পঞ্জিকা মেপে।

পৃথিবীর সকল সুন্দরী নারী মানে
প্রেমিকা, অথচ আমি নেই কোনোখানে
থার্টিফাস্ট নাইটে সারারাত নির্ঘুম
বিগত বছর সেও আমার প্রেমিকা
নতুনের সাথেও গড়ে তুলি প্রণয়

নিজেকে প্রেমিক ভাবতে ভাবতে দেখি
সাদা ক্যানভাসে লাল কালিতে বিরহ,
বিস্ময় চোখে দেখি সময়ের হিসাবে
প্রেমিক একজন নীরব চিত্রশিল্পী।