Sunday 31 July 2016

রুই সিমোদাইরা

রুই সিমোদাইরা
- ইমেল নাঈম

১।

কিছু ঋণ অপরিশোধিত থাকে,
বন্ধুত্বের বিনিময়ে এমন প্রাপ্তিতে স্তম্ভিত
হয় নি ষোলোকোটি মুখ। মূকাভিনয়
দেখতে দেখতে বুঝতে পারে নি
প্রতিবাদের ভাষা কতটা জরুরি।
আর্টিজান শব্দটা আমাকে বোঝালো
নীরবতা মানে অন্ধকারের দিকে যাওয়া।

২।

সন্ধ্যা হারালে কবিতাদের বিষণ্ণতা নামে
মুখ বইয়ের পাতাজুড়ে ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন,
ঝুলতে থাকে কবিতার মতো অনেক
আবেগময় কথারম্ভ। পচন দেখতে পাইনি;
খসে পড়ছে পলেস্তারা। নির্মাণকুশলতায়
প্রখর বলে হিসেব করে বলতে পারো
ইট, সিমেন্ট, পাথর আর রডের পরিমাণ।
অন্ধ হওয়ায় জন্ম নিলো এতো রক্তপাত।

৩।

ঠিকই হিসেব করছো ইট পাথরের হিসাব
অন্যদিকে মৃত্যুর হিসাব আঁকছে কেউ
মাহাত্ম্য গাইতেই মৃত্যু পরোয়ানা জারী
ঈশ্বর তার জন্যই এতো আয়োজন, কাকে
দেয় বাঁধা কাকে। কেইবা শোনায় ধর্মবাণী।

বিবেক অন্ধ হলে তার দায় ঈশ্বরের নয়
তার পুরোটা দায়ভার মানুষের। কিছু
অপরাধ কবিতার কাঁধে। বিষণ্ণতার
পাশাপাশি সে লেখেনি মানবতার বিজ্ঞাপন।

৪।

রুই সিমোদাইরা,
নিজ অপরাধ ঢাকার জন্য নয় এলিজি নয়।
পচে যাওয়া শরীরের রক্তক্ষরণ বোঝাতে
আর ধর্মের নামে অধর্মের বিস্তারে নীরবতাকে
আঙুল দিয়ে দেখাতে দুই একটা শোঁকচিহ্ন
আঁকছি মানবতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।

Friday 29 July 2016

পলাতকা-কে

পলাতকা-কে
ইমেল নাঈম

১।

দীর্ঘ পরিভ্রমণে ক্লান্তি লিখে রেখেছিলো কপাল
থেমে যাওয়ার মন্ত্রপাঠ, সুড়সুড়ি দিয়ে ওঠা
পুরোনো অভ্যাস। নাম ভুলে গেছি যে রমণীর
আজকাল প্রায় রাস্তার মোড়ে দেখা মেলে তার।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে পিছনে ফিরে দেখি না
পাঠ পরিক্রমায় পালানোর মন্ত্র নেই,
অথচ নিজেকে খুব পলাতক মনে হয়।

২।

একবার পিছনে তাকিয়ে দেখি। পথ ভুলেছি,
পরিবেশও বদলেছে অনেক। শরীরের অতিরিক্ত
চর্বি আবেদন কমায় নি, শুধু তাল হারিয়ে ফেলা
কোনো র‍্যাম্প মডেলের মতো উদ্দেশহীন
পথে ছুটে চলেছো চোখের সামনে থেকে।

৩।

মাঝেমাঝে তোমাকে খুব অসুখী মনে হয়।
জ্যোতিষ নই, তাও হাত ধরার ইচ্ছে...
ছুঁয়ে দেখার প্রবল ইচ্ছেটা ফিকে হয় শুধু
কোমলতা ভুলে কতটা রুক্ষ হয়েছে
সেই হিসাবটুকু ক্যালকুলেটরেই করি ইদানীং।

৪।

সাহস করে দাবী করে ফেললাম এক দুপুরের
সঙ্গ, কোনো অভিজাত রেস্তরায় কাঁটাচামচের
টুংটাং... সেদিনই শেষ দেখা আমাদের
অফিসের ঠিকানাটা ঠিকই টুকে নিয়েছিলাম
ভিতরে ঢোকার সাহসটুকু দুঃসাহস হয়ে গেলো।

৫।

ইচ্ছে করে চিঠি লিখি নির্জন রাত এলে
বুঝতে পারি গভীর রাত বলে কিছু হয় না
অখণ্ড অবসর স্মৃতির পাঠ শেখায় আমায়।

প্রকাশ: ১৪ শ্রাবণ ১৪২৩।

Thursday 28 July 2016

হিরোশি তানাকা

হিরোশি তানাকা
- ইমেল নাঈম

থেমে যায় আর্তনাদের চেনাজানা উপকরণ
বিভ্রান্তি নামে কলমের নিবে,  মৃত্যু আঁকতে
খুবই অপ্রস্তুত নয় মধ্যবিত্ত কবি ও কবিতা

রক্তের প্রপাতে ভেসে গেলো চতুর্দশপদী
কবির কাজ নয় ঘৃণাকে আঁকা, তবু আঁকি...

স্বভাষী অথচ স্বীকার করি না, এক ভূগোল
চেনা মানুষ, একই স্বরাঘাত, তবুও হাঁটি
বিপরীত পথ ধরে। মুখোশ দেখে অভ্যস্ত
আলাদা করতে পারি নি, দুর্বৃত্তের চেহারা।

রাজনৈতিক বক্তা ঘুমোয় গৎবাঁধা বক্তব্যে
খেয়াল করেনি কখন যে বাসা বেঁধেছে
অসুখ, বাড়তে বাড়তে আজ মহামারি
ঘুম ভেঙে দেখেন তির্যক হাসি অসুরের
অসহায় ষোলোকোটি মুখ প্রলাপ বকছে।

মৃত্যুর পর এলিজি ছাড়া সঙ্গীত নেই
পাখি হওয়া প্রাণ পুনরায় ফিরে আসে না,
শোকপ্রকাশ মানেই ব্যর্থতার আস্ফালন
নিরীহ প্রাণ জানে আজ সে কতো অসহায়

সভ্যতা আটকে যায় মানুষের করাঘাতে
চাকা বন্ধ হয়, দালানকোঠা ভাসে রক্তে,
অস্থায়ী চুনকাম ভেঙে বেরোয়নি কুশ্রীরূপ
ঈশ্বরের গল্প চাপা পরে ঈশপের কাছে

হিরোশি তানাকা এইসব গল্প ব্যতিরেকে
নতুন গল্প নিয়ে ফিরে গেছেন; ঈশ্বরকে
শোনাচ্ছেন পাখি প্রাণের প্রায়শ্চিত্ত

Wednesday 27 July 2016

ইয়কো সাকাই

ইয়কো সাকাই
- ইমেল নাঈম

একপ্রস্ত প্রলয় ঝড় নোঙর ফেলে অচেনা বন্দরে
একটা সাধারণ দিন অচেনার মতো সামনে আসে
ভাঙাগড়ার কোনো হিস্যা লিপিবদ্ধ নেই
কেউ ভাবেনি দিনশেষে অপেক্ষমাণ বিভীষিকাকে
অতিথিশালায় আগত মেহমানদের জীবনচক্রে
পুনর্জন্ম বলে কোনো শব্দ নেই —

চাকা ঘুরলেই দাঁড়ায় মানচিত্র, রেশ নিয়ে ফিরতে
হয় অনেক সময় পিছনের পথে, আগানোর
গল্পটা আক্রান্ত হলে থমকে যায়, উড়াল ট্রেনের
মতো বিকটশব্দে আর্তনাদ জানায় মানুষ
ছিঁড়তে থাকে প্রাসঙ্গিক বিষয়, ধর্মের আড়ালে

পড়ে দেখে নি ভিতরে কী — শুধু লিখছে রচনা
মানবসত্ত্বার বাইরের সত্ত্বাটি জাগলে পুড়ে যায়
তিলোত্তমা, ঈশ্বরের বাইরেও এক ঈশ্বরের বাস
অর্থ গড়ে দেয় তার খুঁটি, তার খোঁজটিও অচেনা
চেনা জানাদের মধ্যে পড়ে থাকে ইয়কো সাকাই
যদিও তাকে চিনতে পারি নি গত রাতে...

শৈশব বলে মানুষ মরলে ঈশ্বরের কাছে যায়
একই গল্প শোনা ইয়কো সাকাইও হয়তো
এতোটা ভালোবাসা খুঁজেন নি তাঁর থেকে।

Tuesday 26 July 2016

রবিউল করিম ও তাঁর ফুল

রবিউল করিম ও তাঁর ফুল  
- ইমেল নাঈম

ফুল ফোটার আগেই মরে গেলো স্রষ্টা
তার শরীর জুড়ে ঝরে পড়া রক্তস্রোত

ধর্মের বাড়াবাড়ি আর চাপিয়ে দেয়ার
প্যারামিটার নেই, নেই ন্যায় অন্যায়ের
মাপকাঠি, আছে ইচ্ছেমত ভুল প্রয়োগ
আমি কখনো ঈশ্বরের চোখ দেখি নি,
জানি না এসবে চোখ তুলে কী তাকান!

জ্বলছে পৃথিবী আগ্নেয়াস্ত্র'র ব্যবহারে
ওনার নির্লিপ্ত দৃষ্টি ভাবায় অবস্থান
মৃত শরীর জানে না মরছে কেনো
হন্তারক জানেনা আঙুলের ইশারা কার!

অঘটনের পর, শুনি ওনার গুণকীর্তন
উনি সামনে নেই, পিছনেও নেই
সাথে বা আড়ালেও নেই, ধৈর্য পরীক্ষায়
ওনাকেই মনোযোগী ছাত্র মনে হয়।

ধর্মের শরীর জুড়ে ফিনকি দিয়ে ওঠা
রক্ত, দেখে যেতে পারলো না ফুল
বাগানজুড়ে হাহাকার, জানলো না
পিতা নামক স্রষ্টার শ্রেষ্ঠত্ব অমরগাঁথা।

সালাউদ্দিন খান

সালাউদ্দিন খান
- ইমেল নাঈম

অন্যায়ের প্রাচীরের নিচে ডুবে যাওয়া একটি নাম
ভাবিনি এইভাবে দৃশ্যপট বদলে সামনে এসে দাঁড়াবে!
রোমাঞ্চকর প্রেক্ষাপট নেই, জয়পরাজয় নয় মুখ্য।
অপরাধের স্তূপের নিচে শায়িত মহানায়ক, বাড়িয়ে
বলছি না, অতীত মুছতে গেলে মুছে যাবে গল্পগুচ্ছ।

ইতিহাস পাঠ আজ অপঠিত থাকুক, অন্য হিসেবের
লেখা লিখবো ভিন্ন কোনো সময়ের আলিঙ্গনে।
বছরের মধ্যভাগে সন্ধ্যা পেরুলে ছুটে গেলেন...
গন্তব্য গুলশান, এরপরের অংশটুকু সবারই জানা,
মৃতদেহ কোনো কথা বলেনা, তার কোনো দাবী নেই।

ইশ্বরের প্রতিষ্ঠায় আয়োজন এই নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলার
সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মকে প্রতিষ্ঠাকল্পে মানুষ হত্যা জায়েজ,
এটি সম্ভবত একবিংশ শতাব্দীর বিশুদ্ধ বিনোদন।
নিঃসংকোচে আত্মাহুতিও দেয় স্বর্গ পাবার নেশায়
বায়বীয় জগতে ধর্ম'র ভুল ব্যাখ্যা একদম ফ্রি,
তার ফাঁকফোকরে হয় মগজধোলাই পর্বের মঞ্চায়ন।

আশঙ্কা নিয়ে ফিরে যাই প্রতিদিন, মৃত্যু মানে সমাপ্তি
নেই হতে পারে অনেক কিছু, মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে
স্বর্গ থেকে
     ঈশ্বর হাসছেন,
             কাঁদছেন,
                    প্রলাপও বকছেন
                           অথচ নিজেকে প্রকাশে খুব অনীহা

উনি মিথোলজির চরিত্রের মতো বিনোদন খুঁজছেন
সালাউদ্দিনের রক্তে, অদূর ভবিষ্যতে আমাদের রক্তেও।

Monday 25 July 2016

কালো সঙ্গীতের শেষপ্রান্তে

কালো সঙ্গীতের শেষপ্রান্তে
- ইমেল নাঈম

একটা খুনসুটি বিকেল খুন হয়ে যায় অবেলায়
পারিবারিক বন্ধন চেনা কোকিলটিও চলে যায় দূরে
পাশাপাশি অথচ দূরত্ব, মুখোমুখি কিন্তু নীরব
ভাবিয়ে যায় শার্টের বুক পকেটের অজানা শিহরণ

জামার আস্তিনে হাতে হাত রাখার সময় পালায়
নিজের ভিতরে জন্ম নেয় অচেনা সত্ত্বা, রেখে দিই
ক্ষোভ প্রকাশের সব অনুনাদ, ঐকতানে বাজছে
কালো সঙ্গীত, ঘর পালানো যুবক ফেরে না ঘরে...

দূরত্ব তৈরি হয় ভূগোল মানা মানুষদের, বিভেদের
সীমারেখা টানতে কলকাঠি নাড়ছে অদৃশ্য অবয়ব
বিভাজন সৃষ্টিতে খুব গোপনে চাল চালছে কেউ
ধর্মের কোলাজে শ্রেষ্ঠত্বে শুরু, ক্রমাগত রাত নামে।

খবরের পাতায় অনেক শিরোনাম এড়িয়ে যাই
রাজনীতি বিমুখ প্রজন্ম অতি সামান্যতেই বশীভূত
সরলীকরণের মারপ্যাঁচ, ধর্ম না জানার ফাঁরাক
এসবের মাঝে পৃথিবীর বিষণ্ণ রাত কাটতে থাকে।

অমাজুড়ে আমি ঈশ্বর খুঁজি আর খুঁজি অপরাধী...

মার্কো তান্ডট

মার্কো তন্ডাট
- ইমেল নাঈম

ফেলে আসা সময়ের আর্তনাদ, অনুনাদ ভাঙা প্রহর।
নুহের নৌকা বড্ড অসহায়, মৃত্যু লিখে দেয় অক্ষমতা
পাহাড় সম ঢেউ, কেউ দেখে না উচ্চতা, মিথ্যের
অংকগুণে ভোর আসে, সেইসাথে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর

ছিঁচকাঁদুনী সময়ের প্রতিবিম্বে ঘড়ির কাটা উলটো
পথে হাঁটতে হাঁটতে খুঁজে পায় নরকের ত্রিসীমা
মৃত্যু অমোঘ, তরিকা অনাকাঙ্ক্ষিত, কালো তালিকা
ভাঙলে গভীর এক চোরাবালি, স্বার্থপর বিশ্ব নগ্নতার
প্রদর্শনীতে বুঝিয়ে দিচ্ছে স্বার্থপরতার মাপকাঠি।

ছিঁড়ে ফেলো আবেগ, এতোসব এলিজি তার সবটা
মিথ্যে, বিশ্বাস করো না বাণিজ্যর পথ রুদ্ধ হোক
বারবার আঘাতের পর আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীর
আর আঘাত করো না ধর্ম ব্যবসায়ী, তোমার অন্ধ
বানিজ্যের জন্য প্রাণ হারালো পোশাক ব্যবসায়ী।

নিথর মার্কো তন্ডাট ফিরে গেছেন ইটালিতে, রেখে
গেছেন অজস্র অবজ্ঞা, কতটা সইবে লাল সবুজ
কতটুকু হিস্যা বাকি ঈশ্বরের, ব্যবসায়ীদের জন্য
প্রতি কণা রক্ত সাক্ষ্য দিচ্ছে দীর্ঘ বৃষ্টিতে লিখা
কবিতাগুলো ক্রমাগত নষ্টদের দখলে চলে গেলো।

Saturday 23 July 2016

অদৃশ্য পিকাসো

অদৃশ্য পিকাসো
- ইমেল নাঈম

সময়ের আলাপনে গভীর রাতের অবসাদ
কিছু প্রলোভন দরজায় কড়া নাড়ে, প্রকাশিত
অনুভব রেখেছিলো প্রান্তিক বুক, ফানুশ রাত
উড়ে উচ্ছল নদীর বুকে সাক্ষী মিতালী পেতে

বুকে সাম্পান ভাসায় চিরচেনা নদী কিম্বা নারী
প্রেম খুঁজতে গিয়ে আসি নি ফিরে পিছনের পথে
চোখ বুজলে বুঝতে পারি ঘন মোহাচ্ছন্ন রাত,
পলাশের বুনো ঘ্রাণে সকাল নামে শরীরজুড়ে।

প্রেম নিয়ে আদিখ্যেতা স্পর্শ খুঁজে পেতে চায়
পাশে আসার বিনিময়ে জুটেছে অসংখ্য মুহূর্ত
শরতের আকাশে আশঙ্কা ওড়াই রঙিন খামে,

প্রেম তো চোখের মায়া...কবিতারা উড্ডীন বলাকা
তুমি ইচ্ছের তুলিতে বুকজুড়ে আঁকছো পিকাসো...

Friday 22 July 2016

নাদিয়া বেনেদেত্তি

নাদিয়া বেনেদেত্তি
- ইমেল নাঈম

এমন একটি আঘাত বন্ধ করে দিতে পারে শিল্পের চাকা
পৃথিবীর সব দরজা উন্মুক্ত, খোলা নয় কিন্তু সব পথ
সবাই লাল সবুজ চিনেছে রঙবেরঙ পোশাকআশাকে
বিশ্ব পরিক্রমায় আপনি আমাদের সহকর্মী, বাণিজ্যিক
সীমারেখায় সবটা অর্থের মাপজোখের নিরিখে হয় না।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন, ব্যস্ততাকে ছুটি দেয়ার অপেক্ষায়
সন্ধ্যা মানে শহরের রেস্তরাঁয় ইফতারির ভোজ উৎসব
বন্ধু আর সহকর্মীদের মাঝে সময়ের খানিক আলাপ
এরপর ইদ আয়োজনে শপিংমলের দোকানে দোকানে।

অভিজাত রেস্তরাঁ, খুব মানুষের ভিড় নেই, যারা আছেন
তারাও ব্যস্ত নিজেদের নিয়ে, ক্লান্তি শেষে ফিরবেন ঘরে
পালটে যায় সবকিছু, হঠাৎ শুরু হয় বিভীষিকা পর্ব
কেউ জানেনা দোষ ত্রুটি, পরে থাকে ক্ষতবিক্ষত শরীর
অস্ত্রের আঘাতে, শুধু বুঝতে পারছিলেন বদলেছে সময়

ঈশ্বরের নামে গণহত্যা, ঈমানী দায়িত্ববোধ। রক্তেমাখা
সময়ের পেগাসাসে চড়ে চলেছেন নাদিয়া বেনেদেত্তি।
তাঁর দেখা পেলে যুদ্ধ খেলার জয় পরাজয়ের হিসেব
খুঁজবেন না, শুধু চোখের দিকে কড়া দৃষ্টিতে তাকাবেন।

হিদেসি হাসিমতো

হিদেসি হাসিমতো
- ইমেল নাঈম

আতঙ্কিত সময়ের এস্রাজে আজ দানবের আঙুল...
অকৃত্রিম বন্ধু, আপনি এসেছিলেন খুব খারাপ সময়ে
আনন্দমুখর জাতি বুঝতে পারেনি তার শরীরজুড়ে
ছড়াচ্ছে নীরব মহামারি, ক্রমশ গিলে খাচ্ছে সবটুকু।

কাজ শেষে সামান্য বিরতি, নাশতা পানির ফাঁকগলে
ঢুকে পড়েছে অচেনা দৃশ্যপট, মুহুর্মুহু বারুদের শব্দে
আতঙ্কিত হবার আগেই অনবরত গুলির শব্দপাঠে
নিস্তেজ হয়ে পড়েলেন আপনি ও আপনার সহবন্ধুরা

হয়তো সেই কথোপকথনে উঠে আসছিলো আগামী
কর্ম পরিকল্পনা, নির্মাণশিল্পের নতুন খুঁটিনাটি বিষয় !
সব উলটে দিলো ধর্মের নামে অধর্ম, মানবিকতার
বিপরীতে দাঁড়ানো কিছু অন্ধ মানুষ। গুলির বৃষ্টিতে
ঝাঁঝরা হওয়া শরীরে কি ভাবছিলে পরিবারের কথা?

এই পৃথিবীতে ঈশ্বরের মতো অসহায় আর কেউ নেই
তার দিকে আঙুল তুললে কাপুরুষের সব হত্যাযজ্ঞ
জায়েজ। একদল লোক কিছু অল্প বিদ্যায় এগোয়
মৃত্যুর দিকে, স্বর্গ ভেবে নরকের দরজায় কড়া ফেলে

মানবিক মানুষেরা খুব অসহায়, আলোর অন্বেষণের
ব্যস্ততার মাঝে হারিয়ে ফেলছে প্রিয় মুখগুলোকে
আপনার মতো বন্ধুকে হারিয়ে ক্রমাগত অসহায় হয়ে
পড়ছি আমরা, মানবিক বিশ্বকে এর আগে এতো
গভীর অমাবস্যাতে ডুবতে দেখে নি কেউ কখনো...

হিদেসি হাসিমতো, আপনি ভালো থাকুন,
আমরা আলোর সন্ধ্যানে এগুচ্ছি সামনের দিকে...

Thursday 21 July 2016

ক্লডিয়া মারিয়া দান্তানা

ক্লডিয়া মারিয়া দান্তানা
- ইমেল নাঈম

ওহ ক্লডিয়া, বুলেট টি যখন ছিঁড়ে ফুঁড়ে বেরোলো শরীর
ভেদ করে, কতটা যন্ত্রণা সহ্য করে তাকিয়েছিলে বলো তো?

তুমি বুঝতেই পারো নি, মৃত্যুর রূপ ঠিক মানুষের আদলে
প্রাণঘাতী বুলেট টি শরীর ছেদ করার আগ মুহূর্তেও কী
ভেবেছিলে ঈশ্বর পৃথিবীতে যত্ন করে নরক সাজিয়েছেন।

তুমি চলে গেলে, এরপর তোমার মুঠোফোন থেকে ছড়ালো
বীভৎস সব চিত্রকল্প, আঘাতের পর আঘাতে মৃত্যু এসে
কড়া নাড়ছিলো তোমার সহযাত্রীদের, তুমি তখনো হয়তো
ভাবছো, তোমার অপরাধ, বাকটুকু কেড়ে নিলো বুলেট,
কল্পনাশক্তি মিশে গেছে ধুলোয়, নৃশংসতা কেড়েছে স্বর।

ক্লডিয়া, ও ক্লডিয়া, তুমি জানলে না পৃথিবীর মানচিত্রজুড়ে
মানবিক মানুষেরা আরো অসহায় হয়ে গেছে, কোণঠাসা
হয়ে মুখের লাগাম টেনে ধরেছে, নানা বেশে মানুষ মরছে
বিনা কারণে, ক্ষমতা আর ধর্মের মোড়কে পৃথিবীজুড়ে রক্ত
ঝরছে, তোমার মতো তারা সবাই জানে না অপরাধটুকু...

পৃথিবীতে তিনভাগ জল আর একভাগ রক্তেলাল, এখানে
কোথায় খুঁজো ধর্ম, সাগরের কোথায় ভাসে পবিত্র ধ্বনি?

Wednesday 20 July 2016

ক্রিশ্চিয়ান রসি

ক্রিশ্চিয়ান রসি
- ইমেল নাঈম

বাণিজ্যিক মোড়কে সবটুকু ভেবেছিলে ভুল সময়ে
শান্তিপ্রিয় শব্দের আড়ালে ঢুকে গেছে ভুল পোকা
অন্ধের দৃষ্টিতে দিনের আলো যেমন অন্ধকারমাখা
ঠিক তেমনভাবেই অন্ধকারাবৃত আমাদের চারপাশ

অন্যের দিকে আঙুল তুলতে গিয়ে দেখি নি মেপে
নিজের শরীরের গুপ্তস্থান কতোটা অনাবৃত, যেদিন
সবকিছু প্রকাশ্যে এলো, নড়েচড়ে বসলো সবাই
ভিতরে চলেছিলো রক্তের হলি উৎসব, নির্দয়তার
ছলাকলায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিলো মানবিক সম্পর্ক।

বিজ্ঞান দিয়েছে সামনে আগানোর অজস্র উপাদান
কেড়ে নিয়েছে কতটুকু সেই হিসাব রাখেনি কেউ
সৃষ্টির সেরা জীব মানতেই দানবের আঘাতে ক্ষয়ে
যায় শরীর, তোমার শরীর জুড়ে ফিনকি ওঠা রক্ত
নোংরা উল্লাসের শব্দ কী শুনেছিলো তোমার কান!

পরিবার পরিজনের কাছে কালোরাত নিয়ে এলো
মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণ সভা, আমাদের ভিতরে
ঝরছে গোপন রক্তক্ষরণ, কাঁদছে বাংলাদেশ!

পারিনি অনেক কিছু, গোপনে ক্ষতবিক্ষত করছে
প্রলেতারিয়াত ঝড়। ঈশ্বর খুব অসহায়, নিজের
অসহায়ত্ব কী দিয়ে ঢাকছেন, থেমে নেই ধর্মবণিক।

Tuesday 19 July 2016

সিমোনা মন্টি

সিমোনা মন্টি
- ইমেল নাঈম

স্বপ্ন সাজাচ্ছিলেন আপন পৃথিবীতে, ছোটো ছোটো পোশাক
আর জুতো জোড়া কিনে রেখেছিলেন নিজের কাছে, দেশে
প্ল্যান ছিলো ফিরে যাবারও, পুরোটা দখল করেছিলো মিকেল
প্রতিদিন আনমনে আলাপনে কতো কথাই হোতো তার সাথে।
ভাবতেন কেমন হবে লিটিল এঞ্জেল, হাসি আর আনন্দে
মাতিয়ে রাখবে আপনার চারপাশ। কেউ জানতো না অন্ধকার!

অন্য দশ দিনের মতোই সাধারণ, কালোমেঘ এসে ঢেকে দেয়
কারা যেনো ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে ঢুকে পরে ভিতরে, এরপর
থাকে ধর্মের নামে ঈশ্বরের নৈকট্য লাভের বিপরীত আয়োজন
রুক্ষতার সামনে দাঁড়িয়ে ক্রুদ্ধস্বরে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত
করে তোলে দেহ। মৃত্যুকে নিশ্চিত করার পর উল্লাসে মাতে।

শুনতে কি পেয়েছিলেন ধর্ম পরিবর্তনের ডাক, বায়বীয় বইয়ে
সস্তা জনপ্রিয়তার ধান্ধা বেরিয়েছে সামাজিকতার আড়ালে।
শরীর কতটুকু হয়েছে ক্ষতবিক্ষত তার পরিমাণ কেউ জানেনা
হয়তো মনেমনে ঈশ্বরের কাছে খুঁজেছিলেন প্রাণভিক্ষা।
কিম্বা মুখ দিয়ে টু শব্দ বেরোয় নি অপরিচিত বাংলাদেশ দেখে,
থমকে গেছেন বারবার নিজের চোখকে অবিশ্বাসী লাগছিলো।

আমরাও থমকে গেছি, মুষড়ে গেছি, মাথা নত করেছি, হয়েছি
অপমানিত, আপনাদের কাছে, আপনার কাছে, দশের কাছে
শুধু ঈশ্বরের এজেন্টরা আপন মনে খেলে যাচ্ছে যুদ্ধ খেলা
ক্রুসেডের আবরণে তারা ধ্বংস করছে স্বভূমি, সাধারণ মানুষ
ঘড়ি ধরে সময় দেখছে কতটা সময় লাগে অস্ত্রের দাগ মুছতে।

Monday 18 July 2016

স্মারক বিকেল

স্মারক বিকেল
- ইমেল নাঈম

বিষণ্ণতায় পাল্লা দিয়ে ফিরে আসে প্রেম বা দ্রাহ
দেহের উত্তাপে আঁকা চুম্বন ধুয়ে গেছে বৃষ্টির দিনে
নায়কের সংলাপ আঁকছিলো যে তরুণী তার নাম
মনে রাখে নি কেউ, উপভোগ করে গেছে সময়।

বৃষ্টিদিন মনে রাখে এক কাপ গরম কফি, চোখের
দিকে তাকিয়ে থাকা খুনসুটি, দৃষ্টিকে আঁকার
কলম জন্মায় নি, এরচেয়ে ভালো শুধু উপভোগ
প্রেমিক জানতে চায় শরীরের সবটা, মন পড়েছে
তারও অনেক আগে। চোখে কৌতূহল প্রেমিকার ...

সন্ধ্যা ঘনালে বৃষ্টি থামে, থেমে যায় বিটোফেন
ঘর্মাক্ত শরীর চায় শীতলতা, হাসি ঝরে প্রেমিকার
প্রেমিকও উঠে দাঁড়ায়, তাদের এই ল্যান্ডস্কেপে
প্রেম ছাড়া অন্য কোনো চিত্রায়ন নেই, তেল রঙে
অনেক ছবি আঁকলো দুজনে, কেউ জানলো না...

রাত বাড়লেই বাড়ি ফিরে যান কবিতার নায়িকা,
নায়ক দেখেন বিশাল পূর্ণিমারচাঁদ, প্রাপ্তির খাতায়
অংক নেই, ভুল সঠিক ভাববার অবকাশ নেই
যাবার পথে চাঁদ দেখে, আজ ঈর্ষা নেই তার উপর
মুঠোফোনে লিখে রাখে প্রাপ্তি অথবা বিসর্জন

প্রেমিকার মুঠোফোনে ঠিকই খবর পৌঁছে যায়
বুকের মাঝে কোলো ছোট্ট তিলের মাহাত্ম্যকথা।

অনামা স্বপ্ন

অনামা স্বপ্ন
- ইমেল নাঈম

মুহূর্তরা জেগে ওঠে মুহূর্তের মতো
ক্লান্তি ঝড়া ঈশ্বর জানে মানুষ কতো অসহায়,
প্রলেপ ঢাকতে বয়ে যায় আমাদের আয়োজন
অর্থহীন ডাকাডাকি আর শ্বেত মার্বেল প্রলেপের
ভিড়ে অসাড় সমাজের কিছু অবিরাম হাতছানি।

পালটে যাবার নিয়মে শুধু প্রহসন লিপিবদ্ধ
স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত নেই, তবুও দীর্ঘ প্রতীক্ষায়
নানা মতের হাতছানি। হাহাকারটুকু ভাঙলে
বেরিয়ে আসে জীর্ণশীর্ণ এক অষ্টাদশী দুঃখ
প্রাচীন পলেস্তারা তাই খসে পড়ে না আর...

আগের জীবনে বহুৎ রূপকথার গল্প শুনেছি
কল্পনার নিরিখে বিচার করতে গিয়ে হারিয়েছি
কক্ষপথ, আনন্দের জয়গান করতে বসে হোঁচট
খেয়ে ফিরেছি পিছনের দিকে, বিনিময়ে কিছুই
বদলায় নি, শূন্য'র সামনে দাঁড়িয়ে শূন্য হাত।

সকাল পেরিয়ে আলো করে আসে অন্য সকাল,
পরিচিত মুহূর্তরা দ্রুত লয়ে বড়ো হয়, মেনে নিই
রঙবেরঙের আয়োজন, নীরবতার মাঝে বেঁচে
থাকে অসহায়ত্ব, এর মাঝেই পেরোয় বসন্ত...
ফাঁকাবুলিতে, কিছু অনামা স্বপ্ন মিথ্যের মতো।

Sunday 17 July 2016

জীবন মন্থন

জীবন মন্থন
- ইমেল নাঈম 

​আমাদের থেমে যেতে হয়, বস্তুত এ ছাড়া অন্যকোনো
উপায় লেখা থাকে না ডায়রির পাতায়, আমার
চেনাজানা অনেকেই ফিরে আসে নি আর এখানে -
আক্ষেপের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে আবিষ্কার করি
এই ফেরা আর না ফেরায় কিছু উত্তাপ থাকে লুকিয়ে।

কিশোরের প্রেমগুলো ফ্যান্টাসি হারিয়েছে শীতাতপ
নিয়ন্ত্রিত আলো আধারির চুমুর উষ্ণ আলিঙ্গনে,
সেই প্রেমকেও পিছুটানে বাঁধতে না চাইলেও আটকে 
যাই পরিচিত পথের বাঁকে, বারবার মূল সড়ক পেরিয়ে
ভুল করে ঢুকে পড়ি অচেনা কোনো চোরাবালি পথে

প্রাপ্ত বয়স্ক মনে চাঁদের আলো, অঝোর বৃষ্টি প্রভাবিত
করে না। চাঁদের আলোয় ভিজিয়ে দিয়ে যায় না 
তাদের বিছানা, পড়ার টেবিল আর এলোমেলো খাট...
বৃষ্টি হলে পালিয়ে যায় শত্তুর পেরোনো বৃদ্ধের মতো
লম্বা ছাতি মাথায় হিসেবে করে মাইগ্রেনের পেইন

সাহস হারিয়ে ফেলে তারা আবিষ্কার করতে পারে না
অতীত প্রেমের সাতকাহন, একটা শতক সন্ধির গল্প।

Saturday 16 July 2016

ফায়াজ আয়াজ হোসেন

ফায়াজ আয়াজ হোসেন
- ইমেল নাঈম

বাংলায় মৃত্যু নিয়ে আসে কতো বিতর্ক, সামাজিক মাধ্যমে
যোগসূত্র বুঝতে বুঝতে দেখা মিলে অজস্র বোদ্ধার
মনগড়া মন্তব্য, সারাদিন নায়ক ভিলেনের কাল্পনিক
খেলা দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি সেই কবে!
তবুও ক্লান্তি নেই - হজম করে নিয়েছি পত্রিকার কলাম।

মহৎ বা অসৎ - আজ এই নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই
মনের ঘরে আবাসন গড়তে পারে নি বিন্দুমাত্র সন্দেহ
মৃতদের নিয়ে বেশি গল্প করার নিয়ম নেই, মানতে পারি না
বন্ধুত্বের অধিকার নিয়ে পাশে থাকার গল্পটুকু অবিশ্বাস
করতে পারি না ঘটনাপ্রবাহ, আঘাতটাকে তো নয়ই!

দরকার কী ছিলো বন্ধুত্বের রেশ নিয়ে অতো টানাটানির
দেখা নাইবা হলে হয়তো বেঁচে যেতো তিনটি প্রাণ
বীভৎস মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসলো তাদের এমন রাতে

আঘাতের পর আঘাতে জর্জরিত প্রাণ, ঈশ্বর অসহায়!
লুটিয়ে পরছে ফায়াজের দেহ, ক্ষতবিক্ষত শরীরে -
উনি নির্বিকার। দাবার শেষ চাল দেখার অপেক্ষায়
ধৈর্যসহ আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে পুরো জাতি।
একটু মুক্ত বাতাস, আর এক চিলতে আলোর আশায়।

আলো সেতো অনেক দূরের পথ, অন্ধকার ছুঁয়েছে কলম
মৃত্যু দেয় নি মুক্তি, দিয়ে গেলো অশুভ আশঙ্কার জন্ম চিহ্ন।

Friday 15 July 2016

অবিন্তা কবির

অবিন্তা কবির
- ইমেল নাঈম

মৃত্যুই ডেকে নিয়ে এলো ধ্বংস উপত্যকায়
ইদের আনন্দ মিশে গেছে রক্তের প্লাবনে
কেই বা লিখেছিলো কালো কপাল লিখন
ভেসেছিলো গুলশান, ক্ষতবিক্ষত রক্তস্রোতে

বন্ধুতার আহ্বান আর ইদ পূর্ব সাক্ষাত
ডেকে নিয়ে গেলো শেষ নিঃস্বাসের খুব কাছে
জানা ছিলো না অমোঘ পরিণতি, ভেবেছিলো
আড্ডায় কেটে যাবে ইফতারের আয়োজন

জানতো না কিশোর পেরুনো মেয়ে, মানুষের
মতো অবিকল অজস্র দুপেয়ে পশুর বাস
বন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলো হতবাক
দৃষ্টিজুড়ে নেমে এসেছিলো আশ্চর্য প্রদীপ
মানুষ কিভাবে হয় অতোটা অমানবিক, ধর্মের
নামে ধ্বংস করতে পারে জীবন্ত একটি প্রাণ!

চাপাতির আঘাতে জর্জরিত হবার সময় কী
মায়ের কথাই ভাবছিলো! মায়ের চোখে দেখা
বাংলাদেশকে মেনে নিতে শিখেছিলো জর্জরিত
দেহ.... অবাক হচ্ছিলো না, পালটে যাওয়া
পৃথিবীর রূপরেখায়, ক্রুসেড খেলায় খেলতে
থাকা মানুষেরা ইসলামকেই চড়ালো শূলে!

এলিজি লিখে এসবের দুঃখ মোচন হয় না
আমরা অবাক হই না, ক্রুশবিদ্ধ ইসলামকে
দেখে, অবাক হই পর্দার পিছনের মানুষগুলো
আজও নাক ডেকে চলেছেন অবলীলায়

ঘুমন্ত অবিন্তা, ঘৃণা করছেন বাংলাদেশকে...