Tuesday 9 October 2018

বৃষ্টিদিন, জানালার কবিতা

বৃষ্টিদিন, জানালার কবিতা
ইমেল নাঈম

একটা মন কেমন করা সকাল দৌড়ে গেলো বৃষ্টি গায়ে মেখে। উদাসী চোখ তখনো আঁকছে দিনযাপনের সালতামামি। প্রেমের ইশতেহারে চুম্বনই শেষ কথা। প্রেমিক মাত্রই ভীষণ স্বেচ্ছাচারী। দিনকে বানায় রাত আর রাতের বেলায় অর্ধ নেশায় জুড়িয়ে নেয় চোখ। ক্লান্তি নামে তোমার দু'চোখে। আপেল বাগানটিও শান্ত। পাইন বনে ঝড়ের পূর্বাভাষ নেই। যদিও অবচেতনে এক কবি তোমাকে লিখে রাখছে  নীরবে। তার কবিতায় তোমার একাকীত্ব কবিতায় অবসাদ হয়ে ঝরে।

পুড়ে যায় নিকোটিন মুহূর্ত। অদৃশ্য ধূমায়িত কফির মগে লিখে রাখছো আত্ম ভাবনা। কাল্পনিক কিছু শব্দ জটের কাছে নতজানু হচ্ছ দুজনেই। কবি পড়ছে তোমাকে। আর তুমি? কাকে পড়ছো? কী ভাবছো? কিছুই জানা হলো না আমার। আমি কবি আর তোমার মাঝে দাঁড়ানো অন্য এক সত্তা, যে নিজেকে আজো চিনতে পারে নি। ত্রিভুজের মতো সম্পর্ক বজায় রাখছে প্রতিটা রেখার সাথে। শুধু ছেদকের থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।

কবিতার শেষে নৈঃশব্দ্য কাটে পাখির গানে। আর নৈঃশব্দ্য কাটলে কেউ কারো নয়। তুমিও নও কবির, কবিও ভাবে না তোমায় একমুহূর্ত। আমিও হঠাৎ সব হারানো যুবকের মতো ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকি সম্মুখে। ভাবি এটা কি ইলিউশান? ডেভিড কফারফিল্ডের আকাশে উড়ে বেড়ানোর মতো মজাদার কিছু? নাকি সিনেমার আবেগময় এক দৃশ্যের শেষে অশ্রু আপ্লুত দর্শকের চোখ?

ভাবতে ভাবতে থেমে এলো বৃষ্টি। যদিও আকাশ ঢেকে আছে মেঘে। নীরবতা ভেঙে তুমিও চলে যাও জানালা ফেলে দূরে। কবিকে খুঁজে পাচ্ছি না অনেকক্ষণ। ভাবছি, সব চলে যাওয়ার পরে আর কেন অপেক্ষায় থাকা? আমার তো কোনো কারণ নেই দাঁড়ানোর। চোখের কবিতা নিয়ে ফিরে গেলে তুমি। প্রাপ্তির খাতায় কী পেলে কেইবা জানে? আমি তো কর্পূর, গোপনে এখানে এমনি এসে দাঁড়াই তোমার, কবি আর কবিতার রসায়নটুকু উপভোগ করতে, আর রোজই মিলিয়ে যাই ঘ্রাণ ছড়াতে ছড়াতে।

No comments:

Post a Comment