Sunday 4 December 2016

পাপ মোচন

পাপ মোচন
— ইমেল নাঈম


সীমানাটুকু খুব চেনা। আকাশের ওপার টা দেখা হয় নি আজও, যেমনটা দেখিনি মাটির নিচ। ঈশ্বরকে চিনিনা অথচ স্বর্গ নরকের দ্বন্দ্ব কাঁপিয়ে দেয় ভিতরের দিক। শৈশবের ধারাপাত খসে পড়ে অবহেলায়। সমাজ টেনে নিয়ে যায় অন্ধকারের পথে। সেও রাক্ষসের মতো খেয়ে ফেলছে মানবিকতা।  অন্ধকারের দিকে যেতে যেতে আবিষ্কার করি, টাকাই পৃথিবীর অলিখিত এক ঈশ্বর।

প্রমাণস্বরূপ, মোহর ফেললেই আয়োজন হয়ে যায় প্রার্থনা পাঠের। প্রতিনিধি এসে গেয়ে যান স্রষ্টার স্তুতি। মোনাজাত আর আমিন শব্দে কতটা কালো পরিষ্কার হয়? জানা নেই। সাপ্তাহিক হাজিরায় নাম লিখে রাখি নিজের। আমার মতো অনেকেই আছে। শেষ কাতারের মুখ। মুখোশটা আল্লাহ চেনেন। প্রতিবেশী নন।

তারুণ্য চলে যায় আরবিয় ঘোড়ায় চড়ে। আমি দৌড়তে দৌড়তে হারিয়ে ফেলি নিজের কক্ষপথ। বুঝতে পারি শরীরের কলকব্জা প্রায় শেষের পথে। পথ খুঁজতেই দেখি ভুল পথের সব আঁকিবুঁকি খেলা। সর্পকুণ্ডলীর মতো পেঁচিয়ে ধরেছে আমাকে। ছোবলে ছোবলে আক্রান্ত করে ফেলছে, তীব্র ব্যথার জন্ম নিচ্ছে। আমি মরছিনা। বেঁচে আছি। ভয় নিয়ে বেঁচে আছি।

আমার স্রষ্টাকে পেতে ইচ্ছে করছে আজ। জায়নামাজ খুলে বসলেই কী পৌঁছানো যাবে আলোতে। কৃষ্ণগহ্বর আমাকে আঘাতে জর্জরিত করছেনা। বরং আমার ভিতরে আলোর কাছে যাবার প্রতিবন্ধকতা জন্ম নিচ্ছে। আমি অন্ধকার খুঁড়ছি আলোর জন্য, তার বিপরীত বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। ভিতরের অজানা এক জায়নামাজ মুছে দিবে শেষ জীবনের সব পাপ।

No comments:

Post a Comment