Tuesday 6 September 2016

সন্ধ্যার বালুঘড়ি

সন্ধ্যার বালুঘড়ি
- ইমেল নাঈম

থেমে যাওয়া দেখতে দেখতে সবটুকু অদৃশ্য হয়
মায়াপাথর আঙুলে জড়িয়ে হেঁটে চলে ছায়া
বড় হতে হতে মিলিয়ে যায় একেবারে; প্রান্তিক
শব্দদের অসহায়ত্বের শ্লোগান শুনিনি কতদিন

পরশপাথরে লিপিবদ্ধ নেই, ধ্রুপদী সঙ্গীতের
আবেশে কল্লোলময় সন্ধ্যার অবসান ঘটে
পরাবাস্তব স্বপ্নের কল্যাণে, এরচে' বেশি প্রমাণ
খুঁজলে ব্যর্থ বিক্রিয়ার জন্ম হয় আশেপাশে...

অবশিষ্ট সময়ের অবসর যাপন, বখে যাওয়া
মনছবি, কোন এক জায়গায় ব্যর্থতার ছাপ
পুষতে পুষতে অকালেই ঝরছে বুনোফুল।
না বুঝেই তাকিয়ে আছি ক্লাউনের অঙ্গভঙ্গি,
বাকি রিং মাস্টারের আঙুলের সুনিপুণ খেলা।

সার্কাসের বাতি বন্ধ হলে স্বপ্নের দরজা বন্ধ হয়...
পরাবাস্তব সময়ের ফাঁকে উঁকিঝুঁকি দিয়ে
সুখটানের নিমিত্তে উড়িয়ে দিই যত দুঃখবোধ
সেই সময়েই নিজেকে সিনেমার নায়ক মনে হয়

যত অদ্ভুত আয়োজনে বসে থাকি চারপাশে
অকারণে, যাজকের মতো অদৃষ্ট মাপতে থাকি
হারাতে হারাতে ভাবতে পারো ছায়ার পিছনে
অন্ধের মতো দৌড়ানোর কঙ্কালসার ব্যাখ্যা।

কিছু অলীক, বাকীটা কল্পনা, জীবনের বালুঘড়ি
এখনো বিরতিহীন ছুটছে বহতা নদীর মতো...

No comments:

Post a Comment