Friday 2 September 2016

হাঁস ও ডিঙি নৌকো

হাঁস ও ডিঙি নৌকো

—  ইমেল নাঈম

পথের দূরত্ব অনেক। থেমে যাওয়া নদীর মতো দীর্ঘশ্বাস। স্রোতহীন বয়ে সময়ের অচেনা প্রতিধ্বনি। সামনে যা দৃশ্যমান, দৃশ্যত তার সবটাই মিথ্যে। ছুটে চলতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছে রাজহাঁস। পানকৌড়িদের শহরে সন্ধ্যা নামে না এখন। মাছরাঙা — সেও ক্লান্ত দিনভর জলের সাথে লুকোচুরি খেলে।

ডাঙায় বাঁধা ডিঙি নৌকো। এখানে কোনো ঘাট নেই। জনসমাগম আসে না, সৌখিন মানুষ ওই ঢালু জায়গায় বসে ছিপ ফেলে মাছ ধরে। আর পুরোটা সময় জলরাশিতে ভেসে বেড়ায় একটা হাঁস। আমি কখনো দেখি নৌকোটিকে দূরে ভেসে যেতে। খুব ইচ্ছে করে একবার জলে ভাসি, ভাসতে ভাসতে যতটুকু ভেসে যাওয়া যায় শব্দ আর ব্যঞ্জনে।

কিশোর বয়সী ছেলেরা এখানে আসে না, যারা আসে তারা সবাই বৃদ্ধ নাগরিক। আমিই মনে হয় ব্যতিক্রম। শরতে ভেসে যাওয়া একদল মেঘের সাথে সাক্ষাত হয়। তার ফাঁকফোকরে উড়তে থাকে অজস্র কথামালা। তারা অবশেষে শ্রান্ত হয়ে ফিরে যায় তাদের দেশে। শুভ্র হংসটি তখনো ভেসে বেড়ায় আপন মনে। এই ছুটে চলার কারণ জানতে ইচ্ছে করে নি কখনো।

আমি তার আনন্দে চিত্তে ছুটে চলার পাশাপাশি, ডাঙায় বাঁধা নৌকোটিকে ভাবি। নিজেকে তার সমতুল্য মনে হয়। একদল শুধুই দেখে চলেছে হাঁসটিকে। আরেক দল দেখছেই না। নৌকোটি নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই, সে না থাকলেও মনোরম দৃশ্যটি ম্লান হবে না শিল্পীর তুলির আঁচড়ে।

No comments:

Post a Comment