Saturday 28 May 2016

পতন পরিক্রমা

থেমে যেতে হয়... নদীর পারে নৈঃশব্দ্যের জয়গান। নেমে যাও ধীরে — পতনের শব্দে যেন ঘুম না ভাঙে গায়ক কোকিলের। ঝিঁঝিঁরাই জানে কারা যেনো আততায়ী বেশে বসন্তের নীল সীমারেখার পা ভেঙে খোঁড়া করে দিয়েছে বৈচিত্র্যহীন সন্ধ্যায়।

স্বপ্নের বাসরে কার্বন ডাই অক্সাইড খেলে যায় অবলীলায়। হড়কে ওঠা সময়ের বৃত্তে আটকে গেছে ঋতু। পা ফসকানো পর্বতারোহীর পতনে কোনো লাইট... ক্যামেরা... অ্যাকশন... থাকে না। পতনের পরে কাট শব্দটি উচ্চারণ করে কেউ হাতে তালি বাজিয়ে শুভেচ্ছা জানায় না। এই ধরনের দৃশ্যের গোপন দর্শক খুব বেশি।

এরকম অদৃশ্য কাটাকুটি শেষে ব্যক্তিগত শব্দটাকে ক্যামন অচেনা লাগে। গ্রামের ভগ্নাংশ বিদ্যায় মুখস্থ করে নিচ্ছি বোকা বাক্সের সকল বিনোদন। বৃক্ষের কাছে নতজানু হতে গিয়ে মুষড়ে পড়ি অনির্বাণ সুরে।

শৈশবে মুখোশ আমার খুব প্রিয় ছিলো। বনের পথে মৌয়ালদের ছুটোছুটিতে দেখতাম। মুখোশ মুখের পিছনে বাঁধা। মুখ সামনে, ঠিক তার পেছনেই  মুখোশ.... দৃশ্যটা এখনো চোখে বাজে।

বর্তমানে প্রাকৃতিক মুখোশের ব্যবহার দেখে থমকে যাই। বৈসাদৃশ্য শুধু একটাই। মুখোশ সামনে মুখ পিছনে। আর এই জিনিসটা বোঝার জন্য আপনাকে একবার পর্বতারোহণ করতে হবে।

No comments:

Post a Comment