নভেম্বরের কবিতা ৫
— ইমেল নাঈম
একবার ভাবুন, জিজ্ঞাসা আর ধমকের পার্থক্য
আক্রমণ আর বিনয়কে একসাথে গুলিয়ে খাওয়ান
সাধারণের মাঝে। ঢুকিয়ে দিন চেতনার ট্যাবলেট।
না না, মোটেও ব্যতিব্যস্ত হবেন না, সাহিত্যের সব
পদক আপনার ঘরে চলে আসবে যেকোনো পন্থায়
আপনি থাকতে অন্যকেউ পাবে পুরষ্কার, এও সম্ভব!
আপনি তো ইজারা দিচ্ছেন সাহিত্যের সব অলিগলি
পাইক পেয়াদা নিয়ে সাজাচ্ছেন অন্ধকার আসর,
পিঠ চাপড়ে দিচ্ছে নবীশ, আপনি পুলকিত হচ্ছেন।
এদের রেখে দিবেন ছোলা লুচি খাইয়ে, বিজ্ঞাপনের
খরচ একেবারে কমে ছোলা লুচিতেই নেমে আসবে।
প্রত্যাশায় না মিটলে মুখবইয়ে রঙচঙে বিজ্ঞাপন দিন
শেষ ভরসা হিসেবেও মিলে যেতে পারে পুরষ্কার
নিন্দুকেরা অনেক কথাই ছড়াবেন, এমন হাবভাবে
দুই একটা বেনসন জ্বালিয়ে মনোযোগী হতে পারেন
ডাকবাক্সে কোনো সুন্দরী রমণীর কবিতার দিকে,
না পড়েই বলতে পারেন পরিচর্যার লোভনীয় গল্প....
তারপর মোবাইল নাম্বার আদানপ্রদান, পরিচর্যাকেন্দ্র
হিসেবে নির্দিষ্ট করে দিন অন্ধকার গলির চোরাবালি
আশেপাশে সবাই বোঝে অথচ কেউ প্রশ্ন করেনা,
প্রশ্ন করা পাপ। এভাবে চলছে অদ্ভুতুড়ে পাঠদান পর্ব।
দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতার সম্পাদকের সাথে
দৈনন্দিন আলাপন হোক — কারণে বা অকারণে
পুরষ্কার আসতে থাকবে ঘরে, পাঠক চেনে আলো
আলেয়া চিনে নেয় নবীন কোনো কবি, মুখ ফুটে
বলতে ভুলে যায়, একসময় এতেই অভ্যস্ত হয় মুখ
এভাবে আপনি হয়ে যান জীবাশ্ম কবির বিজ্ঞাপন!
No comments:
Post a Comment