কৈশোর কথন
— ইমেল নাঈম
টিকটিক ছুটে চলা দেয়াল ঘড়ি, তারপাশেই ধুলোজমা
পোর্ট্রেট, বয়সের নিরিখে বদলে যাওয়া জীবনের অংক
কতটা প্রান্ত ছুঁয়ে নেমে আসে ভোর, শৈশবের কাটাকুটি
খেলা খেলতে গিয়ে ইশকুল পালিয়ে খেলার মাঠ।
প্রথম তামাকের স্বাদ, দমবন্ধ করা সুন্দরী সহপাঠীকে
দুরুদুরু হাতে লেখা প্রথম ব্যর্থ চিরকুট, অজস্র কবিতা
শুধুমাত্র যত্নের অভাবে হারিয়ে গেলো বুক হতে
নৌকো ডুবির মতো ডুবে যাই জোয়ারভাটার হিসেবে
খুব গভীরতা মাপতে বসে শুনশান নীরবতা জমে গেছে
কবিতার খাতায় অনেক না বলা কথা রেখে দিয়েছি,
কাউকে বলা হয়নি, সহজ আর কঠিনের হিসাব বুঝিনি
কৈশোরের ডুবে থাকা তিনগোয়েন্দা সিরিজের ফাঁকে
অন্য নামও বেড়াতে আসে অলস বিকালে চা'র কাপে
অনাবাদী স্বপ্নরা হোঁচট খেয়ে বিদায় নেয়, পাঠ্যবইয়ের
আড়ালে হুমায়ুন আহমেদ'র ফ্যান্টাসি, ডিজ্যুস প্রজন্ম
জন্ম নেয়নি তখনও। সারাদিন হৈহৈ করে বেড়ানো
সময়ের বেড়াজালে আটকে গেছিলো মন ফড়িং।
ঘরের সুবোধ বালক বের হলেই অদম্য এক দুষ্টু ছানা
হুড়মুড় করে ঢুকে যায় বেয়াড়া বাতাস আজ বিকালে।
ব্যাকবেঞ্চার ছাত্র, বেঞ্চে লিখা বর্ণমালার যোগ অংক
কলম খেলার সময়, নানান রঙয়ের বর্ণের স্টিকার
ইট পাথরের সভ্যতায় বিক্রি করে দিয়েছে সমাজ
উঁচু দালানের সারি, বিশুদ্ধ বাতাসের ক্রমাগত ঘাটতি
তবুও ছুটে চলেছি সময়ের টানে নাবিকের বেশে।
সুখে থাকো আমার অদম্য কৈশোর স্মৃতির কোলাজে।
No comments:
Post a Comment