Tuesday 21 February 2017

কাঁঠালচাঁপার জন্য

কাঁঠালচাঁপার জন্য
― ইমেল নাঈম


থেমে যেতেই আবিষ্কার করি কাঁঠালচাঁপা গাছটি আমার ছিলো, অথচ গতকাল পর্যন্ত তার অস্তিত্ব আমাতে ছিলো না। এরপর কয়েক মিলিগ্রাম আক্ষেপের জন্ম হয়। সময়ে সময়ে সেগুলো কিছুটা বাড়ে, পুনরায় কমেও যায়।

কিসের মায়াজাল। পুরনো একটা আঙিনা, কেনোইবা টেনে নিয়ে যায় স্মৃতির মিনারে। কাঁঠালচাঁপা সেও তো মিশে যেতে চায় কুয়াশার চাঁদরে। আমি তো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নই বিগত সময়ের ধুলোমাখা স্মৃতির কার্নিশের কাছে। তবুও এক্কাদোক্কা খেলা, বায়স্কোপের ফাঁক গলে ভেসে ওঠা নায়ক নায়িকাদের ছবি। বাতাসা আর শনপাপড়ির মোহনীয় দুপুর সেও কেনো কড়া নাড়ে আমার দরজায়।

নাটকের সংলাপের মতো নিজেকে আওড়ে ফিরি, কোনো মানে নেই জেনেও বারবার হাতঘড়ির সময় দেখি। মফস্বলের সন্ধ্যায় রেখে দিই পুরনো সব আলিঙ্গন। চেনা ইশকুলের মাঠ, তার মাঝে আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, দূরের হাতছানি দেখে কার ছবি আঁকছো পড়ন্ত  বিকালে।

সাইরেন থেমে যায়, নিয়মানুগ ঘণ্টা বাজে কারখানার। জীবনের বাঁক নদীর মতো সরল নয়, অথচ জীবন বলতেই নদীকে বুঝি। নাব্যতার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত গতি আর এরপর মৃত্যুর মিছিল। কেমন যেনো মিলে যায় জীবনের হিসাব নিকাশ। ক্ষণিকের অচেনা কাঁঠালচাঁপা― তুমি তো কখনোই আমার কাছের কেউ ছিলেনা। তবে... কেনো অদৃষ্টে খেলে যাচ্ছ অপরিচিত খেলা।

প্রকাশকালঃ ৯ ফাগুন, ১৪২৩

No comments:

Post a Comment