সঙ্গীতায়োজন
ইমেল নাঈম
(উৎসর্গঃ মেঘ অদিতি)
সঙ্গীতায়োজনের শেষে বিষণ্ণ সন্ধ্যা নেমে আসে। দূরে কোথাও বাঁশীর সুর। চোখের সামনে সখের পিয়ানো। হারমোনিকা জুড়ে নিস্তব্ধ করা সময়। কোণায় পড়ে থাকা ধুলো জমা সেতার। কারও কাছে কোনও ঋণ নেই।
জি-কর্ড ফেলে চলে যাচ্ছি সীমারেখার বাইরে। ফিউশনে মেতে উঠেছে সৌখিন বাজরিগার, জাপানিজ ক্রেস্টেড। একাকীত্বের শ্লোগানে মুখরিত চারপাশ। কে বাজায় বাঁশী? ধুলোর আস্তরণ মুছে দাঁড়ায়না চৈতালি অবকাশ।
কথা ছিলো, সেতার আর পিয়ানোর ফিকশন হবে আজ। দূরবর্তী মাস্তুলের আলো দেখে সকাল নামাবো স্বল্পকালীন মায়ায়। অথচ চারপাশে কী অদ্ভুত নিস্তব্ধতা! আলো নিভে গেছে, ক্রমশ বাড়ছে বাঁশীর সুর।
দৃশ্যগুলো দূরে কোথায় ভেসে যায়? থেমে গেছে হারমোনিকা। যদিও সেতারের টুংটাং, পিয়ানো আর বাঁশীর সুরের ব্যঞ্জনাময় আয়োজনের ফাঁকে নির্বাক স্থিরচিত্র লেখা হয়ে গেছে, অলক্ষ্যে — অলসতায়।
No comments:
Post a Comment