Tuesday 20 November 2018

বিমূর্ত অঙ্গিকার

বিমূর্ত অঙ্গিকার
ইমেল নাঈম

বিমূর্ত রাত ডেকে চলে নীরবতার হুইসিলে। শুনশান শহর। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা। প্রচেষ্টাগুলো দামী হয় খুব। নিজেকে নিয়ে গল্পকথা শুনি খুব। প্রাত্যহিক জীবনে ডাকাডাকি আর তার বিনিময়ে হেসে ওঠে প্রাগৈতিহাসিক মুহূর্ত। রূপরেখা নেই, শুধুই উড়ে যায়। অভিযোগের তিরগুলো আহত করে। বোকার হাসি হেসে জানিয়ে যায় আমার অবস্থান।

দিনের হিসেবে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ততার মন্ত্র পাঠ করি। নির্বাক শব্দের কাছে ফিরে যাই অন্ধ ঘোড়সওয়ার হিসেবে। তাসের রঙ খেলে যায় দিনান্তের সুরে, দাবার মন্ত্রী নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকে। হাহাকার খেলে যায় আভিজাতিক সত্তায়। মুসাফিরের মতো ছুটে চলি এই দরজা থেকে অন্য দরজায়। আয়নায় প্রতিবিম্ব দেখে ঘাবড়ে গেছি, অচেনা হতে হতে হারিয়ে ফেলেছি ঠিকানা।

দুঃখদের নাম জানা নেই, তারা পাপারাজ্জির মতো পিছনে ছুটে চলে। নীরব থেকে অনুসরণ করে। গোপনে তুলে রাখে আমার ব্যক্তিগত সুখ। আনন্দের রঙগুলো শুষে নেয়, বিনিময়ে লিখে রাখে চুলচেরা বিশ্লেষণ। পাপের পাহাড়, বোঝাগুলো আষ্টেপিষ্টে আকটে ফেলে আমাকে। নড়চড়হীন একটা পৃথিবী ঘোর অন্ধকারে আমায় ডেকে চলেছে মহাজাগতিক শূন্যতায়।

নির্বাক জীবনের গণিতে কেবলই পরাজয় লিখে রাখে। ছুটে যেতে থাকি দূরের পথে। উইন্ড-চাইমে আসা হাওয়াদের গল্প শুনি, ভিজিয়ে দিয়ে যায় আমার উঠোন, উষ্ণতায় ভিজে গেছে দূরের ক্যানভাস। রঙতুলিতে জমাটবদ্ধ প্রহসন। স্পর্শ ভুলে যাওয়া শরীরে এঁকে নিচ্ছো দুইশ বছরের দুঃখ। প্রান্তিক জীবন ডেকে চলে দূরের কক্ষপথে ছায়াদের মিছিলে।


No comments:

Post a Comment