অসময়ের মেঘ
ইমেল নাঈম
ছালবাকল খুললে নতুন কোনো বাতাবরণ থাকে না। পরিযায়ী মেঘেরা ঘরে ফিরে গেলে দিনভর ঘ্যানঘেনে বৃষ্টির ছলাকলায় সূর্যহীন একটা সন্ধ্যা নামে। ময়ূরাক্ষী ছলাৎছলাৎ বয়ে যায় অনেক দূর। সেখানে ডিঙি নৌকো ভাসে অদম্য কিশোরের বুকে। প্রেম নয়। বরং একগুচ্ছ পাখির পালক। সন্ধ্যায় লোডশেডিং এর শহরে কুপি বাতি জ্বলে। সন্ধ্যাদীপ, তাকে নিয়ে কুসংস্কার যতটা লুকোনো ঠিক সেই পরিমাণে কিম্বা তার চেয়েও বেশি রয়ে যায় পারিবারিক রীতিনীতি।
জ্যৈষ্ঠ'র প্রখরতা খুব একটা গায়ে লাগেনা। টানা বৃষ্টিতে নরম মাটি লেপটে গেছে কাদায়। মনে পড়ে কৈশোর। মনে পড়ে আরো গভীর সময়কাল। বুকের বাপাশে তিলটাকে এখন আর আড়াল করি না। শৈশবে বাঁধনছেঁড়া কোনো ফড়িং এর মতো উড়ে বেড়ানোর অনন্য স্বাদ আজও লেগে আছে মননে। ধান কাটা শেষ হলে নাড়া ক্ষেতে সবাই যেন ক্রিকেটার। লম্বা এক টুকরো কাঠের ব্যাট, আর টেনিস বলের আয়োজন।
ভাঙা আধপাকা ইশকুল ঘর। সেখানেই চাষাবাদ হতে থাকে স্বপ্ননিনাদের। বাবা মার খেয়ালে নেই এতকিছু। হয়তো তারা বুঝতেও চাননি অতোটা। খেয়াল বেখেয়ালের বার্তাবহন করতে করতে সময় চলে যায় ছোটো গলি হতে বড় সড়কের দিকে। এইযে শৈশব আর কৈশোরকে নিয়ে এতো জল্পনাকল্পনা তার পিছনেও একটা সূক্ষ্ম কিন্তু লুকিয়ে, যা কখনোই বলা হয় নি আপনাকে, এমনকি তাকেও। না বলা জীবন পার করে দিতে বসে উৎযাপন করছি অসময়ের এই বৃষ্টি বিলাস।
No comments:
Post a Comment