ডান বাম করতে করতে সময় চলে যায়। একদলা কথা গলায় বেঁধেছে সংসার। নিচেও নামে না, আবার বেরিয়েও আসে না। উভয় সংকটে পেরিয়ে যায় সূর্যোদয়। দেখা সাক্ষাতে প্রতিটা মুহূর্ত যেন বিরক্তিকর দাপ্তরিক, কাজের কথা আর কাজ বুঝে নিয়েই বিদায়।
পাশের ফ্ল্যাট, তবুও মনে হয় কতদূর। কোনো একদিন সকালে মর্নিং ওয়াকে দেখা না হলে, মনে হয় কতদিন দেখা হয় নি। আর সন্ধ্যায় ক্লাশ শেষে বাড়ী ফিরে ছাদ আর মামার টঙ দোকানের কৌণিক দৃষ্টিপাতটুকু দেখেও না দেখার ভান...সবটাই বুঝি, মৌন সমর্থন। তবুও আগাতে শিখি দুই পা।
প্রতিদিন ইচ্ছে করেই তোমার ফ্ল্যাটে ডোরবেল বাজাই, কখনো তুমি খোলো আর বাকিটা সময় অন্যকেউ। খোলা মাত্রই ঘরের চাবিটা, নয়তো গতকালের পত্রিকাটা খোঁজ করেই ফিরে আসি। আর তুমি সামনে দাঁড়ালে ভুলে যাই গল্প বিজ্ঞান। তখন নিজের উপরে অভিমান জন্মে। আর তুমিও সব বুঝে মুচকে হাসিতে দরজা বন্ধ করে দাও।
দরজা বন্ধ হলে আঘাতের চিহ্নটুকু উপলব্ধি করি। সুখের আঘাত, আমি ছাড়ক বাকিটা কেউ জানে না। আর জানে পড়শি।
No comments:
Post a Comment