Monday 4 January 2016

অন্ধকার ৮

চলুন বৃক্ষ কেটে গড়ে তুলি সিমেন্ট সভ্যতা। পাহাড় কে সমতায়নের সূত্রে মিশিয়ে দিই মাটিতে। একে একে গড়ে তুলি আকাশ ছোঁয়া বাড়ী। অক্সিজেনের পরিমাণ কমুক আরো। নির্মল বাতাসের কী এমন দরকার! উড়ে চলুক রাস্তা দিয়ে চার চাকার যান। শীশা ভরিয়ে দিক আমার আকাশ। এসিড রেইন কে রূপকথা ভেবে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন করি। বর্জগুলো ঢেলে দিই নদীতে। মাছেরাও শিখুক ভেজাল খেতে।

ওজোনস্তর বাড়া কমায় কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নেই পানির স্তর বাড়া কমায়। আধুনিকতার মোড়কে হারিয়ে গেছে গ্রামীণ সভ্যতা। প্রকৃতি হচ্ছে অসহায়। ওদিকে সভ্যতার দরজা খুলুক, পারমানবিক সভ্যতা। টিকে থাকার মন্ত্রে সেও আজ নির্ভরতার প্রতীক। অস্ত্রের ঝনঝনানি তে বেঁচে থাকুক ব্যবসা। অস্ত্রের বেচাকেনায় টিকে থাকুক অর্থনীতি।

সহ্যের পরীক্ষা দিতে দিতে ক্লান্ত পৃথিবী। বুড়ো শরীরে মানিয়ে নিতে নিতে দুলে উঠছে খুব। প্রতিটা দুলুনি তে কেঁপে উঠছি আমরা। বিভীষিকা পেরিয়ে না যেতেই আবার দুলুনি খাচ্ছি। ভয়ে মিশে যাচ্ছি নিজেরই ভিতরে। দু'দিন বাদে হাসি ঠাট্টায় মাতিয়ে তুলছি চারপাশ।

নিজের স্বার্থে ভুলে যাই প্রকৃতির সব আয়োজন। চারপাশ সাজিয়ে নিই নিজেদের মতো করে। কমে যেতে থাকে সবুজের পাঠশালা। কমতে কমতে শূন্যের কোঠায় পৌছে যায় সবটা সুন্দর্য। আর্টিফিশিয়াল রূপসজ্জায় সাজিত পৃথিবীও জানিয়ে দেয় ক্রোধের সীমারেখা। এরপর খবরের কাগজ আর নিউজ চ্যানেলের কাটতি বেড়ে যায় একে একে। কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে একে নিয়েও করে চলেন নিষ্ঠুর রসিকতা।

No comments:

Post a Comment