Wednesday 24 February 2016

সন্ধ্যার গল্প

মাঝেমাঝে স্পর্শ টুকু পেলেই দাঁড়িয়ে যাই। রাস্তার ওইপাশে ল্যাম্পপোস্ট টা নিয়ন আলো ছড়াতে ছড়াতে বিষণ্ণতার রোগে আক্রান্ত হয় সন্ধ্যালোকে। ঠিক তখনই পরিচিত এক ঝালমুড়ি ওয়ালা তার সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে যান। এরপর ল্যাম্পপোস্ট টা একা। ঠিক ওই চাঁদটার মতো। কবিরা একা হয় না, সবসময় কেউ না কেউ তার পাশে থাকে। এই শহরে শালিক নেই, দোয়েল নেই, রঙবেরঙ এর পাখি নেই। যা আছে তার নাম ইট পাথর আর দেয়ালের সভ্যতা।

এই সভ্যতা টুকু কে নদীর জলে ভাসিয়ে দিলে নাকি নাগরিক জীবন পরিপূর্ণতা পায়। মাঝেমধ্যে ভাবি এই তত্ত্বের জনক কে? তার মাথায় এমন অদ্ভুতুড়ে সূত্রের জন্মের কারণ কি? নাহ! দাঁড়িয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। খালি পায়ে হাঁটা একদমই ভালো নয়। তাতে নাকি নানারকম রোগশোক হয়। তাতেও ক্ষান্তি নেই কোনো। বারবার উচ্ছন্নে যেতে কারই বা এতো ভাললাগে।

আগে ওই যে বিশাল অ্যাপার্টমেন্ট সেখানে নাকি একটা খেলার মাঠ ছিলো। এখন আর নেই। সভ্যতা এগুলো প্রকৃতি কে বিসর্জন দিতেই হয়। এরপর মাস্টারপ্ল্যান নামের এক প্রহসন তো আছেই। কিছু হলেই গলা খুলে ঝাড়ি মারা যায় সবটা প্রয়াস ভুলে।

এই শহর টা আমার প্রেমিকা নয়, তবে সে প্রেমিকার মতো লেপটে গেছে শরীরের সাথে। আমার অভিযোগের তির তাকেই আহত করে যায় বারবার। আর বিনিময়ে সে আমাকে কিছুই দেয় না। একবার আমি তাকে গোলাপ দিয়ে জিজ্ঞাস করেছিলাম আমার সাথে প্রেম করবে? প্রতিউত্তরে মৌন দৃষ্টিতে তাকিয়ে। রাত বাড়লে মনে হয় ঘরে ফেরা দরকার, অথচ ঘর সেও আমার নয়। তবুও ফিরতে হয়...

No comments:

Post a Comment