ধরুন আপনি জলজ প্রাণী। জলের গভীরে চোখ পড়লেই একটা কুমির হা করে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। তার হাত থেকে রক্ষা পেতে আপনি নেমে যেতে পারেন আরো এক স্তর নিচে। সেখানেও রেহাই নেই। ক্ষুধার্ত কুমির সেখানে তাড়া করবে না বরং উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে হাঙর। তার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে নেমে যেতে হবে আরো গভীরে একেবারে তলদেশে। সেখানে নীল তিমির সাথে দানবিক সাক্ষাৎ হলে বিন্দুমাত্র অবাক হবেন না।
জলের মাঝে খুব কম সংখ্যক বন্ধু পাবেন তাদের এক কথায় প্রকাশ ডলফিন। বিপদের সময় তাদের অধিকাংশকেই পাবেন না। দু' একজন সত্যিকার অর্থে সবকিছু ছুঁড়ে ফেলে আপনাকে আগলে ধরবে। বিপদ উত্তরণের সাথে সাথে নাচতে নাচতে তারা হারিয়ে যাবে আপনার থেকে। এরপর বাদবাকি ডলফিনগুলো দল বেঁধে পাশে এসে দাঁড়াবেন। অথচ এদের কোনো প্রয়োজন নেই এই মুহূর্তে। সামাজিক জলজ প্রাণী হিসেবে একটু উষ্ণ আলিঙ্গন, সে দোষের কিছু নয় ভেবে তাদের বুকে জড়িয়েই নিতে পারেন।
জলে যে সকল ফড়িং বাস করে তাদেরকে জলফড়িং বলে। এমন কোনো ফড়িং এর খোঁজ প্রাণী বিজ্ঞান দেয় নি, তবুও কল্পনার জগতে তারা টিকে আছে রাজা, প্রজা, উজির, সৈন্য সামন্ত এমন কি জনগণ সমেত। এই ফড়িংরা আবার সবার চেয়ে আলাদা। এতোটাই সংখ্যালঘিষ্ঠ যে, জাতিসংঘের স্পেশাল জোনে আওতাভুক্ত। তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তারা কুমিরের সাথে অবলীলায় খেলতে বসে যায় পাঞ্জা। হাঙ্গর কে নাকানিচুবানি দিয়ে ছিনিয়ে আনে বিজয়ের সুবাস। আর তিমির সাথে গড়ে তোলে বুদ্ধিদীপ্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক, আর মৌন সংগ্রামে, কৌশলে ছিনিয়ে আনে বিজয় মাল্য।
জলজ জীবনচক্রে যে সকল জলফড়িংদের নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়, তার অনেক বেশি জলফড়িং টিকে থাকে আলোচনা থেকে বহু দূরে —নিভৃতে। কেউ জানে না এদের কোনো খবর। তবে আশাব্যঞ্জক খবর কুমির, হাঙ্গর আর তিমিদের সমাবেশে কেনো জানি এই ফড়িংদের গল্পই ফুটে ওঠে বারবার।
জলজ জীবনচক্রে যে সকল জলফড়িংদের নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়, তার অনেক বেশি জলফড়িং টিকে থাকে আলোচনা থেকে বহু দূরে —নিভৃতে। কেউ জানে না এদের কোনো খবর। তবে আশাব্যঞ্জক খবর কুমির, হাঙ্গর আর তিমিদের সমাবেশে কেনো জানি এই ফড়িংদের গল্পই ফুটে ওঠে বারবার।
No comments:
Post a Comment