সেবক শব্দটির মধ্যে আমি কিছুটা গ্রিক মিথলোজির নিদর্শন পাই। এমন কিছু যা দৃশ্যত অদৃশ্য, কিংবা আভিধানিক পাতায় খুঁজে বের করা কোনো স্বপ্নকল্প। তৃতীয় বিশ্বে সেবক হলেন অঘোষিত ঈশ্বর। তাকে সন্তুষ্টিকরণে মোসাহেবি করেন রাজা থেকে প্রজা, মুচি থেকে শিল্পপতি।
পত্রিকার পাতায় মাঝেমাঝে ঈশ্বরকে নিয়ে প্রতিবেদন বের হয়। আমরা ওনার ক্ষমতা বিস্মিত চিত্তে পড়ি। শিহরিত হই। ঈশ্বরের বিপক্ষে কিছু বলা মহাপাপ। আর এখানে সবাই মহাপাপী। কারণ, প্রকাশ্যে নয়, অপ্রকাশ্যে রেখে যায় যতসব আলোচনা আর মাতামাতি।
আমরা বাধ্যগত। তাই মেনে নিই সবটা ফলাফল। মেনে নিয়েও শান্ত নই। নিজেকে ভাগ্যবান ভাবি। প্রবোধ দিই, এরচেয়েও নাকি খারাপ কিছু হতেও পারে। অথচ যাঁতাকল পিষ্টে যাচ্ছে সারা দেহ।
সহ্যসীমার অতিক্রম করার পূর্বেই ঈশ্বর বলে বসেন সহ্য করুন আর একটু। আমরা তো আপনারই সেবক।
No comments:
Post a Comment