Friday 26 February 2016

কবিতা যাপন

কবিতা আমাকে অপমান ছাড়া কখনোই কোনো কিছু দ্যায় নি। তবুও লিখি...! রক্তকরবীদের দলে একবার নিজের নাম দেখে  চমকে উঠেছিলাম। আমি কেন এখানে—এই প্রশ্নের উত্তর দিতে শেখে নি কল্পতরু। পৃথিবীর মানুষগুলোকে বড্ডবেশি নির্বোধ মনে হয়। তারা জানে না, প্রতিটা কবিরই একটা পরশ্রীকাতরতার দোকান আছে। সেখানে তারা পুশ সেল করেন হিংসে, ঈর্ষা, বিদ্বেষ, আর নিজের আত্মগরিমা তো আছেই। আর বড় কবির দোকানের পরিসর বড়ো। সেখানে মিলবে আরো অনেক কিছু, যেগুলো লিপিবদ্ধ না করাই শ্রেয়।

গত বসন্তে যেই লোকটি ভুল করে ঢুকে পড়েছিলো এলিট শ্রেণির সম্প্রদায়ে। তাকে ধ্বসে দেয়ার খেলায় নির্ভুল গুটি চালানোয় পারঙ্গম খেলোয়াড় ঠিকই মিলে যাবে। তারাই হাসতে হাসতে সাহিত্য রক্ষায় নামেন প্রতিনিয়ত। হাস্যোজ্জ্বল ভাবেই ব্যক্তিসম্পর্কের জের টানতে থাকেন, যেন কমার্শিয়াল মুভির শেষ দৃশ্য। আর সম্পর্কের এদিক সেদিকের সূক্ষ্ম ট্রাজেডিটা কেউ দেখে না। অনেকেই জানে না গভীর দুঃখ থেকে উড়ে আসা হাসির রহস্য।

কর্ণফুলীর জলে লীন হবারও কিছু স্বপ্ন থাকে। সেগুলো বিনা অনুমতিতেই ছিন্নভিন্ন করে ফেলে আমাকে। সুযোগ পেলেই কাঁটা ছেঁড়াই তাদের একমাত্র কাজ। আমি নির্জনতা বিলাসী। নির্জনতা পেলেই আমি ধ্যানে বসি। শব্দের সাথে গড়ে তুলি তীব্র সহবাস। এরপর জন্ম নেয় আমার অপরিপক্ব শস্য খেত।

আমার শব্দমালা। আমার কবিতারা। বাণিজ্যিক মোড়কে আর কত অপমান সহ্য করবো। কর্পোরেট কালচারে আর কতো অপমান সহ্য করলে রূপকথা সত্য হয়ে ধরা দ্যায়।

বলো...

No comments:

Post a Comment