মনোলগ
ইমেল
নাঈম
বাঙালি
মানেই প্রেমিক, সে বর্ষা পড়ুক আর নাই পড়ুক। সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
একটু দৃষ্টি বিনিময়। একটু স্পর্শ। একটু কাছে আসা। একটু ছুঁতে চাওয়া। একটুর জন্য
পৃথিবীর সকল রোম্যান্টিসিটি উপচে পড়ে। এরপর দূরত্বের গল্পটা ভূগোল ক্লাসের মতো
জটিল যেনো গহীন অ্যামাজনে রহস্যময়ী পিরামিড। চমকে দেয়ার কী অদ্ভুত মানসিকতা! কে কার
মনে আঁচড় কাটতে গিয়ে অন্ধকারে ফিজিক্স বুঝিয়ে ছাড়ছে তার রেশটুকু আঁচ করাটা সত্যি কষ্টের। রসায়নের
পরেও সেই একটুতেই আটকে যাচ্ছি, মনে হচ্ছে আর একটু বেশি সময় কাছে থাকা...
উদাসী গলায় প্রেমিক শোনায় "আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো"
আর প্রেমিকার গলায় গুনগুন "আমি কূলহারা কলঙ্কিনী..."
অন্ধকারের
দিকে অনিচ্ছাকৃত হাঁটার অভ্যাসটা আমাদের প্রাগৈতিহাসিক। কিছু হলেই ঋণাত্মক
প্রান্তের দিকে টেনে নিয়ে যাই সবাইকে। নিজে অন্ধকারে নিমজ্জিত অথচ বলি আলোয় আলোকিত
চারপাশ। একটুর কাছেই ফিরে যাই আমি আবার। রহস্য ভেদ করে তাকাই তোমার দিকে। কালোয়
নিছক মজা করতে থাকো। বেনামা প্রেমিক হয়ে যাও এক মুহূর্তে। রাঙিয়ে দাও নিজেকে। ভুল
শুদ্ধ বিচার করো না। শেষ প্রান্তে চলে গেলে চুপ হয়ে যাবে সবাই। নিরাপদ ভ্রমণ শেষে
আবার ফিরে এসো শুরুর বিন্দুতে। মুখোশের শেষটুকু দেখতে বসে ক্লান্তি নামুক চোখে।
একটা স্প্যানিশ গিটার লিখে রাখুক আমার দুঃখের কবিতা।
পাখিদের
কাছে ফিরে যেতে চাই। প্রেমিক মন কিন্তু শুদ্ধ নই একদমই। সুযোগের অপেক্ষায় থাকি, রাত
নামলে অন্ধকারে মুখ লুকাই। আয়নায় বিম্ব দেখে ভয়ে চুপসে যাই। আহা... কামুক হতে
শিখেছি, প্রেমিক আর হলাম কই? নিজের
অজ্ঞতা দেখে অবাক হই। শিক্ষাদীক্ষার বিনিময়ে লাগিয়েছি মুখোশ। শিক্ষিত নয় বর্তমানে অর্থের জোর। আর মুখোশ খসলেই সবাই ছিঃ ধ্বনিতে মত্ত হয়। তারাও আমার মতো মুখোশ পরে
সমাজকে আগলে রাখে।
প্রকাশকালঃ
২৩ শ্রাবণ ১৪২৪
No comments:
Post a Comment