Saturday 15 April 2017

দ্বীপ দর্শন

দ্বীপ দর্শন
ইমেল নাঈম

ফুলের থেকে পাপড়ি খসে পড়তে জন্ম হয় দ্বীপের। প্রতিটি পাপড়ি একেকটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দ্বীপ। মুঠোর সাথে মুঠোবদ্ধ থাকা মানুষগুলো খসে যায় মুক্তোর মালার মতো। মুখ দর্শন করেনা শালিকের দল। যোগাযোগ মাধ্যম কিনে নিয়েছে আমাদের মিলনের সময়। সাংসারিক ব্যস্ততা দূরে সরিয়ে দেয় একে অপরের থেকে অনেক দূরে। অসময়ের সাক্ষী কালের পথিক, পানকৌড়ির মুখের আহারে কেনোইবা আঁকছো নিঃসঙ্গতা?

শুরুর উদ্যমে পরিণতি লেখা থাকেনা বলেই উদ্দেশ্যহীন চোখের মাঝে গড়ে ওঠে প্রাণবন্ত আড্ডার ইতিকথা। উদ্দেশ্য এলেই থেমে যায় যাবতীয় আয়োজন। ফলবতী বৃক্ষ হয়ে যায় নিষ্ফলা। উদ্দেশ্য লিখতে হয় বলেই বৃন্ত চ্যুত হয় পাপড়ির দল। পেটের বৃত্ত পূরণ করতে হারিয়ে যায় অনেক মুখ। 

খালি চোখে অদৃশ্য থাকে অনেক কিছু। ব্যস্ততার মোড়কে খুন হয় সময়। হার্দিক যোগাযোগটুকু থেকে যায় প্ল্যানচ্যাটে। মোমবাতির নিভু নিভু আলোতে চলতে থাকে নিজেকে অন্বেষণ। পাড়ার নিয়নবাতির প্রহেলিকা আলোয় মুখগুলো শুধুই অদৃশ্য হতে থাকে। মুষ্টিবদ্ধ হাত সমাবেশ ভুলের বিচ্ছিন্নতার পাঠ শিখে নেয়। প্রজাপতির দল বিরহের গান গাইতে থাকে জনারণ্যে।

বৃন্ত চ্যুত প্রতিটি মুখ একেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, মুখ বইয়ের দর্শনেই ভেসে থাকে মনের দর্পণে। 

প্রকাশকালঃ ০২ বৈশাখ ১৪২৪।

No comments:

Post a Comment