এলিজি
ইমেল নাঈম
"আমায় ডেকোনা, ফেরানো যাবেনা
ফেরারি পাখিরা কুলায় ফেরেনা"
কাকে ডাকবো! ডুবে যাওয়া নগরীর শোকগাথা দেখার কেউ নেই।
পাহাড়ে জমে গেছে নীরব অভিমান। অভিযোগের স্তর পেলবতা ক্ষয়ে হয়ে উঠেছে রুক্ষ। পাহাড়ি
মাটি অনুর্বর হয়ে ফিরলো এক রাতের মাঝেই। কিশোরটির কী দোষ! তাকে পুড়িয়ে দিলো জলপাই রঙা
পাখি। আগের অধ্যায়টুকু অব্যক্ত থাকুক। প্রকাশিত হলে জীর্ণশীর্ণ মানচিত্র সামনে এসে
দাঁড়ায়।
পাহাড়ের প্রতিও আমার অনেক অভিযোগ। বাংলার সব রূপ একাই
নিয়েছে ব'লে নয়— ওখানেও চাষাবাদ হয় হায়েনার। চাঁদাবাজি চলে সমতলের মানুষের উপর। অত্যাচার,
নিপীড়নের খবর ভেসে আসে সমতলে। অসহায়ত্বের গল্প শোনায় রক্ষকের পোশাকধারী। তবুও চাইনি
নিভে যাক প্রাণের স্পন্দন। ষোড়শ জীবন পূর্ণতা খুঁজেছিল। রাষ্ট্র এমন পূর্ণতার গল্প
শোনাবে তা হয়তো ভাবেও নি।
ভেসে গেছে চট্টগ্রামের রাজপথ, কাপ্তাই লেকও আজ জলে টলমল।
ছুটির দিন। নাগরিক স্পন্দন থমকে আছে। এমন সন্ধ্যায়, শোনা যায় প্রস্থানের গল্প। স্রষ্টার
মৃত্যুর খবর ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমাকে। বাদলা দিনের রোমান্টিসিজম মুছে যায় ভূমি পুত্র
রমেলের জন্য। মানতে পারিনা, লাকী'র পাখি জীবনের গল্প।
ফেরেনা কেউ। দানবও ফেরেনা — পিছনের দিকে আগানোর গল্প
লিখা হয়। আমার শহরে মন খারাপের মিছিল। এশা'র আযানে ভেসে যায় বুক, আমি লিখি শোকসঙ্গীত।
প্রাপক রমেল আর লাকী, কেউ পরিচিত নয় আমার, অথচ... তাদের মৃত্যু আমাকে আহত করে। সত্যের
সামনে আনত মস্তিষ্কে দাঁড়িয়ে থাকি।
প্রকাশকালঃ ০৮.০১.১৪২৪
No comments:
Post a Comment