Friday 28 April 2017

আর্টিস্ট

আর্টিস্ট
ইমেল নাঈম

কিছু বিষাদ আঁকা হোক। দেয়ালের আর্দ্রতা ভিজিয়ে গেছে নাগরিক উঠান। জানালার থাইগ্লাস আটকে মাপছি বৃষ্টিপাতের পরিমাপ। কদিনের বৃষ্টি ভিজিয়ে গেলো রাস্তাঘাট। নোনাজলের নিত্য আসা যাওয়ার দৃশ্যপটে লাগেজ গোছাতে গোছাতে ভেসে আসছে নতুন এক সঙ্গীত। অপেক্ষার নামতা শিখতেই জ্বলে ওঠে নগরীর ল্যাম্পপোস্ট। ব্যস্ত রাস্তা ধরে ছুটে চলি স্মৃতি কাতর মুহূর্তগুলোকে পাশ কাটিয়ে।

প্রার্থনাঘর, দিনের বেশিরভাগ সময় নিঃসঙ্গতার আবাদে ব্যস্ত। ক্ষতবিক্ষত শরীরে ভেসে ওঠে জন্মদাগ। এগুলো ক্রমশ আলাদা করেছে আমাকে তোমাদের থেকে অনেক দূরে। জলরঙা কালিতে ভাগ্য লিখি। মানুষ আঁকতে গিয়ে এঁকে বসি শূন্যদ্যান। সেখানে তপ্ত সূর্য কিরণ আঁকি, চারপাশ ঘিরে আঁকি রেইনট্রি, আর ম্যাগপাই। ময়ূর আঁকি। পেখম মেলবার বদলে সে ঘিরে রাখে তার পা। এটা অসুন্দরকে ঢেকে রাখার অবিরাম প্রচেষ্টা।

রঙতুলি ফেলে লিখতে বসি, নোনাধরা দেয়ালজুড়ে কবিতার চর্চা হোক। দেয়ালে দেয়ালে লেখা হোক প্রেমের কথা। বিদ্রোহ চুমু খাক প্রেমিকার ঠোঁটে। প্রেম হোক মানুষের নৈতিক অধিকার। ফিনিক্সের অস্থিরতা কমুক কবির কলমে। প্রেম নামুক পাহাড়ে, হাওড়ে আর সমতলে। মানুষ ভালোবাসতে শিখুক মানুষকে।

মোরাকাবায় বসি, অটোসাজেশন দিয়ে বলিঃ 
পাহাড় শান্ত হও, 
নদী উদ্বেল হও, 
হাওড় শান্ত হও,
রাষ্ট্র মানবিক হও,
মানুষ তুমি মানুষ হয়ে ওঠো,
জলপাই বাহিনী অমানবিক কঠোরতা পরিহার করো,
ধর্ম তুমি সহনশীল হও,
ঋতু স্বরূপে ফিরে এসো,
সর্বশেষে বলি, বাঙালি তোমরা সৃষ্টিশীলতায় মনোনিবেশ করো...

মোরাকাবা থেকে উঠে দেখি, সমগ্র চিত্রপট আর লিখিত শব্দগুলো ধূসর হতে হতে মুছে যাচ্ছে। আমি আবার রঙতুলি নিয়ে আঁকতে বসি...

প্রকাশকালঃ ১৫ বৈশাখ ১৪২৪

No comments:

Post a Comment