ইমসোমনিয়ার রাত
ইমেল নাঈম
নির্ঘুম রাত। মুঠোফোনের
মৃদু মন্দ আলো, খুলে রাখা অ্যাপ আর ম্যাসেঞ্জারে কিছু গল্পের অসুন্দর সমাপ্তি ঘটে।
কৈশোর ঘর মানে অগোছালো জীবনপাঠ। ঘরের কোনায় অ্যাকোরিয়ামের আলো, বুদ্বুদ জল তরঙ্গ।
ভিতরে দুটো মাছের পায়চারী, আকাঙ্ক্ষার বিন্দুগুলো জমছে। আবার ক্ষণিক বাদেই হারিয়ে যাচ্ছে কর্পূরের মতো।
কল্পনা করি যদি বৃষ্টি
হতো, কেউ একজন ভিজে চলেছে খোলা ছাদে, নিক্বণের শব্দে নতুন কোনো সুরের জন্ম। আবার ভাবি,
প্রেমিক প্রেমিকারা রোজকার কী এমন কথা বলে! দৈনন্দিন কথার ভিড়ে নতুন কী এমন গল্পের
জন্ম হয়? নাকি গৎবাঁধা কিছু সংলাপেই লিখা হয়ে যায় প্রেমের উপন্যাস।
নির্ঘুম রাত মানেই হেডফোন
গুঁজে রাতের সমাপ্তি। আর হরেক ছায়াছবির ভিড়ে নিজেকে খুঁজে ফেরা রূপক কোনো গল্পে।
সুবহে সাদিকের অনেক আগে,
ইনসোমনিয়ায় ভোগা রাত পাহারা দেয় চারটি নেড়ি কুকুরকে। নির্মাণাধীন অট্টালিকার পাশেই
বালুর স্তূপ। সেখানেই সংসার পেতেছে তারা। জানালা দিয়ে প্রতি রাতেই ভেসে আসে ঘেউ ঘেউ
ডাকাডাকি। আমার কখনো জানতে ইচ্ছে করেনি, তাদের বাক্যালাপ। কেবল তারা নয়, আমি বুঝিনা
অন্যান্য কোনো প্রাণীর এমন চিৎকারের মানে।
রাত বুড়ো হতে হতে হঠাৎ
ভেসে আসে সুমধুর ধ্বনি...
"আসসালাতু খাইরুম মিনান
নাওম..."
আমার চোখ দুটো বুজে আসে
তন্দ্রায়।
প্রকাশকালঃ ২৬ চৈত্র ১৪২৩।
No comments:
Post a Comment