শেষকৃত্যর আয়োজনে...
ইমেল নাঈম
বিষণ্ণতা গিলে খাচ্ছে আকাশের পুরোভাগ। থমকে দাঁড়িয়েছে দেয়ালঘড়ি। পলেস্তারা খসলে জন্ম নেয় প্রান্তিক জীবনের আদিরূপ। আঘাতে জর্জরিত হচ্ছি বারবার। ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে দাঁড়াচ্ছি। পরিযায়ী জীবন আনন্দ উৎসবে মত্ত। ক্লান্তি ছুঁয়েছে আমায়। ভাদ্রের উষ্ণতা কীভাবে জানান দেয় নিঃসঙ্গতা!
আকাশের বুকে মেঘ জমেছে থোকায়থোকায়। কোথাও বাজছে প্রিয় গান। কোথাও উড়ছে পাখির দল। শান্ত নদীতে ভেসে বেড়ায় পানকৌড়ি। ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র জানিনা। শিখিনি আহত হবার পরে ক্রোধের চিৎকারটুকু। অসহায়ের সঙ্গীতেও শেষটুকু রয়ে গেছে আজো।
চারপাশে তাকিয়ে দেখি জীবনের ব্যস্ত রঙগুলোকে। নিজেকে নিয়ে সময় কাটাই। প্রশ্ন ছুঁড়ে দিই শূন্যতায়। গল্পের মতো ভেবে নিজের কানকে শোনাই আয়োজনগুলো। হাত ছুঁয়ে দেখে আঙুল। অটোসাজেশন দিই, নীতিবাক্যগুলো খাতায় লিখি।
এরপর পথে নামি। খালি পায়ে হাঁটতে থাকি। মানুষ দেখি। ফুটপাথের পাশে চা খেতে খেতে আবিষ্কার করি জীবনের গল্প। নিকোটিন শলাকা জ্বালিয়ে অভিসম্পাত করি নিজেকে। জীবনের রঙ ফিকে হতে হতে মিলিয়ে গেছে একেবারেই। সাদাকালো আয়োজনে লিখা হয় কেবল পরাজয়।
অন্ধ ও বধির অরিসিস। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে নিচ্ছেন রাত। মৃত্যু বরণ করে নিচ্ছে আমাকে প্রতিদিন। প্রতিনিয়ত সামাজিকতার আবডালে হাসছে যে মুখ সেও তার অন্তষ্টিক্রিয়া হয় প্রতিরাতে।
প্রকাশকালঃ ২২ ভাদ্র ১৪২৪
No comments:
Post a Comment