আনন্দ নগর
― ইমেল নাঈম
অন্ধকারের একটা শক্তি আছে। বর্ণনার শেষে রেখে যায় এর রেশ। পথের পাশ দিয়ে যেতেই কানে ভেসে আসে আনন্দ নগর। ভেসে যাওয়া ভেলায় উঠে বসি আমরা সকলে। নোঙর ফেলেছি কে কোথায় জানা নেই। শহর থেকে চলে যাই মেঠো পথের কাছে। মাটির সুরে রেখে দিয়েছি জীবনের আয়োজনে। রাত ফুরোলেই অনেক গল্প থাকে। কিছুটা বর্ণনার মাঝে লুকোনো থাকে অমিতশক্তি।
কারা যেন গেয়ে বেড়ায় মাটির গান। সোঁদা গন্ধে মৌ মৌ করে ওঠা স্বপ্নঘোর। পশ্চিমা বাদ্যে কে যেনো গেয়ে ওঠেন লালনফকির । আবার হাসন রাজার মরমিয়া সঙ্গীত খেলে যায় অন্ধকারে আলোর খেলা। ভেলায় চড়ে বসি আমরা। ভেসে যাই দূরান্তর। শার্ট পেন্ট পরিহিত গায়ক গেয়ে চলেন একের পর এক। দশ পেরিয়ে যায় অন্য দশের কাছে। দশের মাঝে আলো নয় অন্ধকারও ছড়ায় একের পর এক।
সত্য মিথ্যের খবর কেইবা রাখে। কার কাছে রেখে দিয়েছো সততার পারদ। আহা উঁহু শব্দটা শোনার খুব ইচ্ছে জাগে রাত বিরেতে। সমগ্র রাত কাটে কুকুর শুয়োরের অনবদ্য সাধনায়। নেশার গল্পে বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি। কষ্টিপাথরে খোঁজখবর নিয়ে বেড়াবে কয়জন। সকালের গল্পটা অন্যরকম। রূপ প্রকাশে ভীত হয়ে পড়েন গত রাতের স্রষ্টা । ঈশ্বরের নাম জপতে থাকেন সারাটা সময়। বিপদ কাটলেই সেই পুরনো রূপে ফিরে আসেন।
আনন্দ নগর থেমে যায় নগরীর কোনো ডাস্টবিনের সামনে। হায় মরমিয়া, মাটির গান আলো নয় আঁধারই নিয়ে আসে। অন্ধকারের সমান্তরালে দাঁড়িয়ে আলোর বার্তা ছড়াচ্ছে কারা এই অসময়ে? কী হবে লালন আর হাসনের গান গেয়ে যদি না মনের বাতিঘর না খুঁজে পায় আনন্দ নগর।
প্রকাশকালঃ ৩ চৈত্র ১৪২৩
No comments:
Post a Comment