Thursday 30 March 2017

অন্ধকারের গান

অন্ধকারের গান
— ইমেল নাঈম


পথ ঝরানো অনেক গল্প, মানুষের কাছে ফিরতে হয় এপথ ধরে। অন্ধত্ব অনেক ভালো, সারাদিন অতৃপ্ত বাসনায় পেরোয়। পলেস্তারা খসলেই জেগে থাকে জীর্ণ চেহারা। তাকে ভুলতে পারি ভ্রমণের জীবন বৃত্তান্ত লিখে। ভয় পেও না বললেও ভীত হতে হতে ঢুকে গেছি অন্ধকারের ডেরায়। লীন হতে গিয়ে আবিষ্কার করি পরনের পোশাকের জোড়াতালি। হাভাতে মিটে গেছে খাবারের চাহিদা।

সহিষ্ণুতার পাঠ ভুলে গেছে ভূগোল। শোনা যায়, অন্ধকারের শ্লোগান। নায়িকার কণ্ঠে বেজে ওঠে অসহায়ত্বের গল্প। দাঁতাল মানবের বিকারহীন প্রলাপ, ছিঁড়ে খেতে চায় মানচিত্রের আঁচল। অন্ধকারের গুহায় গান গাইছে কারা যেনো... হায় ঈশ্বর, তোমাকে খুঁজতে চায়নি ওরা প্রেমে, অন্ধ অনুকরণে দাসত্ব মেনে নিয়েছে তোমার। অলীক আর বাস্তবের ফারাকটুকু ভুলে গেছে।

মানব অবয়ব দেখতে প্রায় একই রকম। পার্থক্য নেই, রেখে যাওয়া সময়ের শ্লোগানে মিছিল নেই। এখানে শাদা পায়রা ওড়েনা — মোমবাতির আলো রাজপথে হঠাৎ জ্বলে ওঠে - আর সেটির ফুটেজ খেতে ব্যস্ত একদল লোক। মসজিদ, গির্জা, প্যাগোডা আর মন্দিরে সভ্যতার মশাল জ্বালিয়ে কারা যেনো নিঃসঙ্গতার গান গাইছে যে যার মতো করে। নিজ অনুসারী নিয়ে তারা বিচ্ছিন্ন, কিম্বা নিজ অনুসারীর নানা দর্শন নিয়ে তারা বিচ্ছিন্ন।

এসবের মাঝেই কারা যেনো গায় ভিন্নধর্মী গান। মতবাদের বাইরে গিয়ে দাঁড়ান সবকিছু ভুলে গিয়ে। তাদেরকেও অন্ধকারের দিকে টেনে নিতে চায়। বাতাস গায়ে লাগতেই বুঝি উলটো স্রোতে গা ভিজছে এখন। এক সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্ছল তরুণটিও আজ নিজেকে বৃত্তবন্দী করে ফেলেছে নানা অনুশাসনে।

এসবে হতাশায় মুষড়ে পড়ে ভিন্ন কোনো মুখ, হয়তো লজ্জাও পায় — যেমনটি পায় লজ্জাবতী ফুল।

প্রকাশকালঃ ১৬ চৈত্র ১৪২৩

No comments:

Post a Comment