পলাশের অপেক্ষা
― ইমেল নাঈম
দুপুরবেলা। এলেবেলে পায়ে কেউ বুঝি এলো পলাশের ভিড়ে। জানালা খুলে দিই সুবাতাসের অপেক্ষায়। কোনো কারণ নেই অপেক্ষার। প্রেমের পরিমাপক যন্ত্রের নাম আবিষ্কার করতে ব্যস্ত ভূগোলবিদ। সংজ্ঞাহীন থাকার মাঝেও একটা জিপসি আনন্দ আছে। অদ্ভুতুড়ে সাজে সজ্জিত কোনো এক ষোড়শী মেয়ে। গলায় পরেছে নক্ষত্রখচিত কাঠের হার। আমি আনমনে তাকিয়ে দেখি দূরান্তের দৃশ্যপট।
শহরতলী পেরিয়ে যেতে হয় পলাশের গাছের সন্ধানে। মন ― তাকে প্রবোধ দিই কী করে... উড়ুক্কু সময়ের খড়িমাটিতে লিখা একটি শব্দ। বারবার পড়ার চেষ্টা করি ― ব্যর্থ হই। সান্ত্বনার ভাজে ভাজে নিজেকে সিক্ত করি। হাপিত্যেশ ঝড়ানো প্রলেপে অপেক্ষায় থাকি। কেউ কী এলো পলাশ পেরিয়ে। এমন কারো দেখা মিললো যাকে দেখি নি আগে কখনো এই পথে।
থেমে যেতে হয়, তবুও থামি না। সকালের কুয়াশায় ঝরে যায় অজস্র পাপড়ি। তাদের কে বাঁধিয়ে রাখি বুকে? মেঠো পথ, লাল মাটির পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আহ্বান, সেসব কী প্রেমের কোনো বিজ্ঞাপন নয়! জিপসি সমাজ, অদ্ভুত আয়েশে পালিয়ে যায় আমার থেকে।
সবকিছুই মনের ভুল। কোনো ভাবেই এড়ানো যায় না। ঝরে যাওয়া পলাশও আমার মতো আক্ষেপ নিয়ে বাঁচতে শিখেছে। আগন্তুকের মুখ দেখতে না পেয়ে ফিরে গেলো সবাই ― শুধু পলাশ সে এখনো প্রতীক্ষায় রয়ে গেলো।
প্রকাশকালঃ ২৩ ফাল্গুন ১৪২৩
No comments:
Post a Comment