Friday 31 March 2017

জিগলো

জিগোলো
ইমেল নাঈম


“তোমাকে আসতেই হবে আমার কাছে,
তোমাকে বসতেই হবে আমার পাশে”

মোবাইলের মিউজিক প্লেয়ার থেকে ভেসে আসে জয় শাহরিয়ার । নয়টা – সাতটা অফিসের শেষে ঘরে ঢুকতেই নয়টা ছুঁয়েছে দেয়ালঘড়ি। মোবাইলের টুপটাপ ম্যাসেজ জানিয়ে দেয় রাত এগারোটায় মিটিং। এমন মিটিং এ সময় লাগে কম, আয় রোজগার ভালো। শর্তাবলি আর স্বাস্থ্য সচেতন থাকলে সুখের ঘরে কোনো আঘাত আসেনা।

ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে পড়ে – গন্তব্য জানে মুঠোফোন। শহরের রাজপথ ক্লান্ত, বাড়ী ফিরছে একদল লোক, আবার আরেকদল তারই মতো। পাবলিক বাস ছুটে চলে। জানালা দিয়ে দেখে নগরীর ফুলের দোকানের পাঠ সমাপ্তি। নিয়ন বাতি জ্বলছে অলিগলি বেয়ে, আর দুই পা বাকি পৌছুতে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের। পৌঁছোবার আগ মুহূর্তে সময় মিলিয়ে নেয়।

এগারোটা বাজতে বাকি সতেরো মিনিট। অপেক্ষা নাকি আবারো ফোন – ভাবতে ভাবতে মুঠোফোনের আলো জ্বলে ওঠে। বার্তা খুলে দেখে 16D লেখা, মনে মনে হাসতে হাসতে ভাবে 36D হলে বেশ ভালোই হতো…লিফট পেরিয়ে উঠে যায় পনেরো তলায়। ডোরবেল বাজলে খুলে যায় দরজা…

প্রথমে হালকা পরিচয় আর এক পেগ শিভাস রিগালের পরে শুরু হয়ে খেলাধুলোর প্রদর্শনী। সিনেমার দৃশ্যগুলো ঘর্মাক্ত হয়, নানা রকম শারীরিক কসরতের পরে এক পিস গুদাং গারাম টানতে টানতে হাতে গুঁজে নেয় তিনটি কচকচে নোট। আর স্নান পর্ব শেষে আবার ফিরে চলে একই পথে অলিগলি দিয়ে রাজপথে….

রাত তিনটে, পাবলিক বাস নেই। ফিরতে হলে ক্যাবই একমাত্র ভরসা। হঠাৎ কে যেনো শিষ বাজিয়ে ওঠে, ফিরে তাকাতেই দেখে তার দিকে তাকিয়ে কেউ ইঙ্গিতপূর্ণ হাসিতে গাইছে, we…we…we will rock you… এই দৃশ্যে হঠাৎ ঘৃণায় গা গুলিয়ে ওঠে।

এটি মিলানের কোনো রাতের গল্প, নায়কটিকে রূপক শব্দেই রাঙিয়ে দিলাম আজ।

প্রকাশকালঃ ১৭ চৈত্র ১৪২৩

No comments:

Post a Comment