Monday 22 January 2018

বীজগণিত ১
ইমেল নাঈম

"শূন্যতার শোকসভা,
শূন্যতার যত গান
দিলাম তোমার মুকুটে
আমার যত অভিমান।"

গল্পের ভাজে লুকোনো অনেক প্রশ্নবোধক। একেকটি সুবিশাল চোরাবালি। গভীর খন্দক পেরিয়ে যেতে লাগে অসীম সাহস। নির্বাক জীবনের প্রাপ্তিটুকু মিলিয়ে যায় ঘরোয়া সাজগোজের আয়োজনে। এরই মাঝে কেউ তো ডাকে, একাধিক যোগ অংকের সমষ্টিকে নিয়ে। অস্পষ্ট ডাক। কণ্ঠটি চেনা আর অচেনার মাঝামাঝি। কোনো এক যাদুশিল্পীর পরাবাস্তব হাতের মূর্ছনা।

অপেরায় ধ্বনিত হওয়া সুর, ভায়োলিনে ভেসে আসা বিদুর সঙ্গীত, নির্মোহ হয়ে শুনতে থাকি। শীত রাতের প্রখরতাও বাড়ে। নিজের সাথে কথোপকথন, কোথাও যেনো সুরটি তাল কেটে যায়। ভোকাট্টা ঘুড়ির মতো বারবার পাক খায় একই বৃত্তে। সাবকনসাস মাইন্ড মুহূর্তে বদলে ওঠে, চারপাশ তাকাই। কপালের ঘাম মুছি। দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি।

এই সম্পর্কের কোনও সংজ্ঞা নেই, শুধুই তাড়না আছে। অনেকটা যোগ বিয়োগের খেলা। প্রতিশোধ পরায়ণ হতে পারি অবেলায়, অবহেলায়। রঙিন সময়টাকে বদলে দিতে পারি সাদাকালোয়। আকাশের রঙটিও হতে পারে ধূসর। গল্পের ভাজে ফাঁকফোকর খোঁজা আত্মাগুলো ফ্যাকাসে হয়ে ওঠে। কিন্তু ঐকতানে কেবলই অমিল, হাতকড়ায় সুখ।

পুণ্য নেই, পাপবিদ্ধ হচ্ছি প্রতিমুহূর্ত। ব্যস্ত দিনের ভাজে গণিতের খাতার ভাজে জমাটবদ্ধ শুকনো পাপড়ি প্রশ্নবিদ্ধ করছে আমাকে। নীরবে হাসছে ভুল করা বীজগণিত। সূত্রের মাঝে লাল বৃত্ত, আমাকে দেখে বিদ্রুপ করে।

চোখের ঝাপসা লেন্সে চোখ পড়ে, x3+y3=(x+y)(x2-xy+y2) মুহূর্তেই আমার তোমার মুখ মনে পড়ে...

No comments:

Post a Comment