Tuesday 8 December 2015

অন্ধকার ৪

আকাশ বন্ধ করে দাও বোতাম টিপে। বিকল্প পথযাত্রীদের রক্তাক্ত করো নানা অযুহাতে...কথায়...চোখে...মুখে...অঙ্গভঙ্গিতে। ঘুম ভাঙলেই খুঁজে পাওয়া যায় রহস্যের ঘেরাটোপ, শিঘ্রি আলো আসবে অথচ দৃষ্টিসীমায় আলোকবর্তিকা নেই। মাস্তুল জুড়ে অন্ধকার চাদরে ঢেকে দিয়েছে। নিরাপদ যাত্রাপথের এটাই এক অভিন্ন উপায়।

টিভি দেখি না বিজ্ঞাপন গিলতে হবে বলে। এরই মাঝে টি.আর.পি'র অংকে সামনে চলে আসে নানা অপ্রীতিকর খবর। ম্যানহোলে ডুবে যাওয়া শিশু, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত শরীর, বিল্ডিং ধ্বসে কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। ক্ষত বিক্ষত শরীরে কেউ হয়তো ফিরে, বাকিরা নয়...জনগণের বন্ধু বলে পরিচিত মুখগুলোর আচরণ শত্রুর মতো। নেভি ব্লু চোখ রাস্তার মোড়ে মালবাহী ট্রাকের দিকে তাকিয়ে থাকে দিনের অনেকটা সময়।

সেবক শব্দটাকে বড্ড অসহায় মনে হয়। ঠিক আভিধানিক অর্থটা মেলাতে পারি না। তারা নিজেদের নিয়ে প্রচারে এতো মগ্ন, ভুলে গেছেন প্রকৃত কাজ। কক্ষপথ হীন একটা কণা খুঁজে ফিরে তার মূল কেন্দ্র।

এ'দিকে দখল হয়ে যায় খেলার মাঠ। কিশোর ছেলেটির ভিতরের পশুটিও প্রকাশ পায় সুযোগ বুঝে। আটাশ দিনের বাচ্চা শিশুটিও পরীক্ষাকেন্দ্রে। কে বোঝায়? এই শহরে আজ সব রাজার শাসন। সবাই নিজেকে নিয়ে এতো মগ্ন যে দেখেনি তার চারপাশের প্রকৃতি। নিজের দোষ ঢাকতে চলে যায় পিছনের পথে। বন্ধ করে দেয় সব দরজা জানালা।

মতের অমিল মানেই আঘাত করো সজোরে। ছিন্নভিন্ন করে দাও সেই সকল মুখ। আত্মপ্রচারের এটাই অতি উত্তম পথ। পথিক হিসেবে আমি দেখি ঝরে যাওয়া কতগুলো পাখির পালক যারা গান লিখতে বসে হারিয়ে গেছে অজানা পথে।

No comments:

Post a Comment