Wednesday 30 December 2015

স্বপ্ন

অহর্নিশ ডাকাডাকি। কোমল মখমল জড়ানো রাত। ঘরের চাঁদ ডুবে গ্যালে মন হয়ে ওঠে চিত্রশিল্পী। খোলা ক্যানভাসের বুকে অদৃশ্য কালি তে তৈল ছবি। নগ্ন কোনো শরীর, লম্বা চুল, ভারি নিতম্ব, আর সুউচ্চ স্তন, নাহ....আর কোনো কিছু আঁকা নেই, ভাবনা নেই, কল্পনা নেই, বাস্তবতা বলে কোনো শব্দ নেই। ব্যর্থ শরীরের অনুরণন। মুখ ভিজে যাওয়া ঝর্ণাধারা। ব্যর্থতাটুকু মুছে দিতে দরকার আলো।

আলো জ্বালালে স্বপ্নেরা হারিয়ে যায়, বন্ধ ঘরে জানালা দিয়ে আসে হেমন্তের বাতাস। শিউলি ঝরা উৎসবের শেষে, ক্লান্তি ঝেড়ে দিলে প্রান্তিক ঘামের বুকে চিঁড়ে নেমে আসে কুয়াশা। শুনেছি, এখানে আগে তাঁতি পাড়া ছিলো। এখানে বোনা হতো মসৃণ কাপড়। এখানে শুনেছি বারো মাস অভাব ছিলো, ছিলো খামখেয়ালী প্রাকৃতিক আবহাওয়া। এখানে কোনো কবি আসেন নি কখনো।

সময় বদলে গ্যালে, তাঁতঘর বিলুপ্ত, আবহাওয়া এখনো খেলে যায় তার নিষিদ্ধ খেলা। এখানে এখন ইন্দ্রজাল দেখানোর মতো অনেকেই আছেন, প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে যাচ্ছেন একেকটি জাদু। এখানে একজন চিত্রশিল্পী এসেছেন, উনি নারীদেহ আঁকেন না, অশ্লীলতার অভিযোগ মাথা পেতে নেবার ভয়ে।

এখানে কোনো কবি আসেন নি, তাই অন্ধকারে এখনো ছবি আঁকতে হয় দরজা জানালা বন্ধ করে, আর মাঝপথে লাইন ছিটকে যায় বারবার। এই শহরের সাধারণ মানুষ স্বপ্ন দেখেন এই শহরে একদিন একজন কবি আসবেন, খুব শীঘ্রই।

No comments:

Post a Comment