Tuesday 9 August 2016

বিষণ্ণতার কবিতা

প্রাত্যহিক জীবনের স্পন্দন, ছুঁড়ে ফেলা সময়ের বেশ। প্রান্তিক সময়ের হাঁসফাঁস। উত্যক্ত জীবনের রেশ, ভুল পথে উড়ে চলা রঙিলা ফানুশ। আমাদের স্বপ্নের পরিধিতে আঁকা কালো দাগ। কিছুটা দুঃখের অনুরণনে বাকিটা স্মৃতির রোমন্থন। রোমাঞ্চকর পরিবেশে কিছুটা শৈল্পিক আঁচড়। ভ্যানগঘের কানকাটার গল্প। সাঁওতালী অন্ধকার নেমে আসে পাহাড়ি পাদদেশে। লাল মাটির বুকে জল জমে না অনেক বছর।

কোনো রাবিন্দ্রিক বিকেল, টুংটাং সময়ের হাতেখড়ি। মেঘ জমে আসে স্বপ্নের কৃষ্ণচূড়ায়। একটা লাল পাড়ে শাড়ি। নানান রঙ এর কল্যাণে প্রেমিক সন্ন্যাসজীবনে ব্রত। আবৃত করে রেখেছো নিজের সবটুকু কোমলতা। ইদানীংকাল, আমার বলে কোনো শব্দ নেই। যা ছিলো তাও লিখে নিয়েছে কোনো প্রেমিক পুরাণের গল্পে। আমার তীর্থ পথে কোনো যুদ্ধের ইতিহাস নেই। পানিপথের যুদ্ধে লিপিবদ্ধ সব রক্তের ইতিহাস। জলতরঙ্গের মায়ার মোহে আমিও পথে থাকি সূর্যাস্তে।

সন্ধ্যা নামলে থেমে যায় আমাদের আয়োজন। হারিয়ে যাও তুমিও। চোখের আড়াল শব্দটিও মূল বিন্দুতে এসে দাঁড়ায়। ক্লান্ত আমি ফিরে যাই পিছনের পথে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ঐকতান হারায় গিটারের সবগুলো তার। অবহেলিত পিয়ানোর সুরে বিষণ্ণতার জয়গান। পরিচিত অনেকের ভিড়ে আমি পালিয়ে যাই দূর থেকে দূরে। দূরত্ব দিয়েই পরিমাপ হয় প্রেমের গল্পের। দাঁড়াতে দাঁড়াতে থেমে যায় আদিবাসী চাঁদ। পাহাড়ি মদের আয়োজন। থামতে থামতে থেমে যায় অকর্ষিত স্বপ্ন।

চুপচাপ শেষ হয় সাঁওতালি রাত, কোনো এক প্রেমিক কবির দৈনিক রুটিনে সকাল নামে না। তার সবটুকু সময় পার হয় অন্বেষণে। এভাবেই ব্যস্ত কবি তার কলমকে ছুটি দেন প্রেমহীন জীবনের আলিঙ্গনে।

No comments:

Post a Comment