Friday 15 July 2016

তারিশি জৈন

তারিশি জৈন
- ইমেল নাঈম


তোমার আকাশ দেখার সময় যখন দরজা খুলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো, তখনই তুমি মেঘের সাথে মিতালী পাতলে।এই মিতালীর ইচ্ছেকৃত নয় জানি। তুমি তো ঘুড়ি ওড়ানোর জন্যই আকাশ দেখতে চেয়েছিলে। তারা তোমাকে আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলো ঈশ্বরের নাম করে ঈশ্বরের কাছে। মৃত্যুর রঙ জানা হোলো না এক পৃথিবী কারাগারের মানুষদের। খোলামেলা আকাশ দেখি, সেখানেও প্রাণখোলা হাসি হাসতে ভুলে গেছি। অজানা একটা আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে আমাদের। কতটা অসহায় মানুষ, কতটা অসহায় ঈশ্বর।

সৃষ্টির সেরা জীব বলেই হয়তো নখ আর ড্রাকুলার দাঁতের অহংকার। তোমার শরীর জুড়ে ফিনকি দিয়ে ওঠা রক্তের দাগ। আল্লাহ্'র নামে তোমার শরীরের প্রতিটা জখমকে চিনে রাখো, দেখা হলে ক্ষতস্থান দেখিয়ে বোলো কিন্তু, আমি আপনাকে ভালবাসি, আর প্রতিদান হিসেবে রক্তের বিন্দুকণাগুলো খুঁজে নিও। চাপাতির দাগগুলো সরিয়ে মসৃণ শরীর ফিরিয়ে দিতে বলো। ভুলেও বোলো না ওনার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার অবসানের গল্প। মানুষ সৃষ্টিতেই উনি ওনার ক্ষমতা হারিয়েছেন ভুলেও বোলো না। এটা বলতে পারো, ওনার জন্যই নরকের জন্ম হচ্ছে পৃথিবীতে।

এরপর, উনিশের তরুণীর মতো চলে যাও... যাবে কোথায় তুমি? স্বর্গে? না নরকে? নাকি মেঘদলে ভেসে নিচে তাকিয়ে দেখবে পৃথিবী নামক নোংরা জায়গাটায় রক্তের হোলি উৎসব। ক্ষমতার রাজনীতির, প্রভাবের রীতিনীতি দেখবে। ভুলেও নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে দেখো না একবারও। দেখবে আঘাতে আঘাতে তোমার নিজেকে খুব অচেনা লাগবে। বিশ্বাস করতে পারবে না নিজেকে এতোটা বদলে গেছো। আসলে পৃথিবী বদলে গেছে। উনিশের চোখ বুঝলো, বুঝলো না পৃথিবীর ঈশ্বররা।

তোমার মৃত্যুতে কোনো স্মারকলিপি নেই, ক্ষমা চাওয়ার আর্তিও নেই, শুধু অসহায় মানুষের আত্মসমর্পণের গল্প আছে। আবার যদি ঈশ্বরের সাথে দেখা হয় তবে বোলে দিও, পৃথিবীর মানুষেরা এখনো ওনাকে ভালোবাসে আর বিনিময়ে লাশ হয়ে ফিরে আসে মেঘের দেশে। জাগতিক ঈশ্বরের কাছে ওনার হেরে যাওয়ার কথাও বলতে পারো, শুধু বোলো না, সাহায্য করতে...

No comments:

Post a Comment