বিবর্তিতের বিবর্তন
ইমেল নাঈম
১।
ডারউইন পড়তে পড়তে আবিষ্কার করলাম
মেঠোপথ কে কবেই ছুঁয়ে দেখেছে রাজপথ
প্রত্যাশার সীমারেখা টানতে গিয়ে পালটে
গেছে আশা, আকাঙ্ক্ষা, চাওয়া, পাওয়া
বদলাতে চাই নি, সময় শুধু জুয়াড়ি সাজলো...
২।
আলতা দেয়াটা শখ ছিলো, কত আনন্দের
সাথে মাখতে তুমি পায়ের গোড়ালি ছুঁয়ে
লাল রঙ মানেই রক্ত নয়, স্বপ্ন হয় কারো
তুমুল অসম বৃষ্টিতে মুছে গেলো পায়ের দাগ
বদলে যাওয়া দেখতাম চোখের কোণে...
৩।
ইশকুল পালালে খেলার মাঠ হাতছানি দেয়
খেলতে গেলে তোমাকে মনে পড়ে,
সাপ্তাহিক হাটবার এলে মনে পড়ে
আলতার শিশির কথা, অপেক্ষায় কাটে
মধ্যমা জীবন। কৈশোর তুমিও খুনে প্রেমিক...
৪।
তখনো বৈদ্যুতিক খুঁটি বাসা বাধেনি জনপদে,
সন্ধ্যা নামলে কুপি বাতি জ্বালিয়ে পড়তে
বসতাম, আর অপেক্ষায় থাকতাম নির্জন
ইশারার। কাছারিঘর পেরুলে খেলাধুলোর
আসর, সেখান থেকে দৃশ্যমান তোমার ঘর।
৫।
চুল বাঁধতে বাঁধতে বিকাল নামিয়ে আনো
এখানে দেখি সন্ধ্যা নেমে আসে অবেলায়।
৬।
পালকি এলো একদিন, সবার আয়োজনে
মত্ত সারাবাড়ী, আমার কোনো উত্তাপ নেই
সারাদিন যাত্রী দেখি, তোমাকে অচেনা লাগে
সম্পর্কটা পালটে গেলো, বাহ্যিক সবই ঠিক
বিচ্ছেদটা কেউ জানলো না, ব্যথা তো নয়ই...
৭।
মুখবইয়ের সেলফিতে তুমি আজও অচেনা।
No comments:
Post a Comment