Sunday 31 July 2016

রুই সিমোদাইরা

রুই সিমোদাইরা
- ইমেল নাঈম

১।

কিছু ঋণ অপরিশোধিত থাকে,
বন্ধুত্বের বিনিময়ে এমন প্রাপ্তিতে স্তম্ভিত
হয় নি ষোলোকোটি মুখ। মূকাভিনয়
দেখতে দেখতে বুঝতে পারে নি
প্রতিবাদের ভাষা কতটা জরুরি।
আর্টিজান শব্দটা আমাকে বোঝালো
নীরবতা মানে অন্ধকারের দিকে যাওয়া।

২।

সন্ধ্যা হারালে কবিতাদের বিষণ্ণতা নামে
মুখ বইয়ের পাতাজুড়ে ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন,
ঝুলতে থাকে কবিতার মতো অনেক
আবেগময় কথারম্ভ। পচন দেখতে পাইনি;
খসে পড়ছে পলেস্তারা। নির্মাণকুশলতায়
প্রখর বলে হিসেব করে বলতে পারো
ইট, সিমেন্ট, পাথর আর রডের পরিমাণ।
অন্ধ হওয়ায় জন্ম নিলো এতো রক্তপাত।

৩।

ঠিকই হিসেব করছো ইট পাথরের হিসাব
অন্যদিকে মৃত্যুর হিসাব আঁকছে কেউ
মাহাত্ম্য গাইতেই মৃত্যু পরোয়ানা জারী
ঈশ্বর তার জন্যই এতো আয়োজন, কাকে
দেয় বাঁধা কাকে। কেইবা শোনায় ধর্মবাণী।

বিবেক অন্ধ হলে তার দায় ঈশ্বরের নয়
তার পুরোটা দায়ভার মানুষের। কিছু
অপরাধ কবিতার কাঁধে। বিষণ্ণতার
পাশাপাশি সে লেখেনি মানবতার বিজ্ঞাপন।

৪।

রুই সিমোদাইরা,
নিজ অপরাধ ঢাকার জন্য নয় এলিজি নয়।
পচে যাওয়া শরীরের রক্তক্ষরণ বোঝাতে
আর ধর্মের নামে অধর্মের বিস্তারে নীরবতাকে
আঙুল দিয়ে দেখাতে দুই একটা শোঁকচিহ্ন
আঁকছি মানবতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।

No comments:

Post a Comment